নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মহত্যার শাস্তি “ডিরেক্ট জাহান্নাম" এই কথা আপনি কিভাবে বলতে পারেন?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩০

"ভাই, একজন মানুষ আত্মহত্যার আগে কলিমা পড়েছে - আমরা জানি মৃত্যুর আগে কলিমা পড়লে সে জান্নাতি। আবার আত্মহত্যা করলে সে জাহান্নামী। এখন আপনিই বলেন, উনি কি জান্নাতে যাবেন? নাকি জাহান্নামে?"
"এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছেন কেন? আপনিও কি কলিমা পড়ে আত্মহত্যা করবেন নাকি?"
"ছিঃ ছিঃ ভাই। কি যে বলেন। এমনিই জানতে চাওয়া।"


অথবা "এক মহিলা দুইটি বিয়ে করলো। হাশরের ময়দানে উনি কোন স্বামীর সাথে থাকবেন? প্রথমজন, নাকি দ্বিতীয়জন?"
"আপনিতো পুরুষ, আপনি এটা জেনে কি করবেন?"
"এমনিই, মনের আগ্রহে জানতে চাওয়া।"

উত্তর দিয়ে লেখার মূল বিষয়ে আসি। “আত্মহত্যা মহাপাপ” কথা সত্য, আল্লাহ কুরআনে স্পষ্ট নিষেধ করেছেন কেউ যেন তাঁর রহমতের উপর বিশ্বাস না হারায়, কেউ যেন নিজের প্রাণ না কেড়ে নেয়। আত্মহত্যা তাই অতি অতি বড় গুনাহ। কিন্তু এর শাস্তি “ডিরেক্ট জাহান্নাম" এই কথা আপনি কিভাবে বলতে পারেন? মূর্খ হুজুর আর পড়াশোনা করা আলেমের পার্থক্য এখানেই, মূর্খরা কিছু না বুঝেই ফয়সালা বলে দিবে। প্রকৃত আলেম বহু চিন্তাভাবনা ও রেফারেন্স ঘেটে বলবে, “সিদ্ধান্ত আল্লাহর। উনি বিচার করবেন।”
কুরআনে বা হাদিসের কোথাও কিন্তু লেখা নেই, আত্মহত্যাকারী কাফের হয়ে যায়। তারউপর যুক্ত হয় অনেক কিছু, আত্মহত্যা যে করেছে, সুস্থ মাথায় চিন্তাভাবনা করেই নিজের প্রাণ নিয়েছে, নাকি সে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল, তাঁর নিজের ব্রেনের উপর কন্ট্রোল ছিল না? “ন্যায় বিচারক" সবদিক বিবেচনায় এনেই সিদ্ধান্ত নিবেন।
এখন এই লেখা পড়ে কলিমা পড়তে পড়তে আত্মহত্যা করতে যাবেন না যেন। বাঙালির উপর ভরসা নাই। দেখা যাবে সুইসাইড নোট লিখে যাবে, “মঞ্জুর ভাই বলেছে আত্মহত্যা করলেও বেহেস্তে যাবার সুযোগ আছে।”
অমন ছাগলামি বাদ দিয়ে বরং আল্লাহর রহমতের উপর বেশি বেশি করে ভরসা রাখুন, এবং যে মারা গেছে, তাঁকে যেন আল্লাহ ক্ষমা করেন, সেই দোয়া করুন। আপনি অন্যের জন্য দোয়া করলে আল্লাহ আপনাকেও মাফ করে দিবেন।

তা এই এমন বেহুদা জিনিস জানতে চাওয়া আমাদের একটা মানসিক রোগ। আমার কোনই কাজে আসবে না এই তথ্য, তারপরেও আমাকে জানতেই হবে। নাহলে আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। এদিকে যা জানা জরুরি, সেটার ব্যাপারে আমরা উদাসীন। আমার সাথে বিতর্ক করা লোকজন প্রায়ই অমুক তমুক বইয়ের রেফারেন্স দেন। আমি যে কুরআন এবং বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ থেকে কথাগুলো বলি, সেটার কোনই গুরুত্ব নেই উনাদের কাছে। এমন না যে উনারা কুরআন পড়েনা, কিন্তু কতটা বুঝে পড়ে, সেটাই প্রশ্ন।
যেমন ধরেন, সমাজে অতি পরিচিত কেউ একজন মারা গেলেন। এমন কেউ যাকে সবাই সম্মান করতেন, ভাল মানুষ ছিলেন এবং তিনি অমুসলিম ছিলেন। প্রতিদিন কুরআন পড়া লোকজন শেষ বিচারের মালিক হয়ে ঘোষণা দিয়ে বসে, "ওতো দোজখে যাচ্ছে। কারন আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য ধর্ম একমাত্র ইসলাম।"
দোজখে যাবার এই ঘোষণার জন্য ভিন্ন ধর্মেরও হতে হবে না। নিজ ধর্মেরই কেউ যদি মারা যায়, আমরা বিচার সভা বসিয়ে দেই।
"নাটক সিনেমা করতো, মানে দোজখী!"
"মদ খাইতো, গান গাইতো, দোজখী।"
"নামাজ পড়তো না। পর্দা করতো না। দাড়ি ছিল না। জাহান্নামী! জাহান্নামী!! জাহান্নামী!!!"
আমি নিজেই যে কতবার জাহান্নামী হলাম। আমপারা সিপারা যে পড়ে নাই, সে বলে বেড়ায় আমি নাকি বানোয়াট ফতোয়া দেই, আমি দাজ্জালের এজেন্ট ইত্যাদি।
কথা হচ্ছে, ইসলামী মতবাদে, কে দোজখে যাচ্ছে এবং কে জান্নাতে, আপনি আমি ঘোষণা দেয়ার কেউ না। সেটা সম্পূর্ণই আল্লাহর সিদ্ধান্ত। আমার কথায় যেমন কেউ দোজখে যাবেনা, তেমনই আমি বললেই কেউ বেহেস্তে যাবেনা। শুনে অবাক হতে পারেন, কিন্তু অথেন্টিক ইসলামী বিশ্বাস ও জ্ঞানে, সাহাবীদের ব্যাপারেও আমরা কনফিডেন্সের সাথে বলতে পারি না খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) বেহেস্তি, আবু সুফিয়ান(রাঃ) বেহেস্তি, উসামা বিন যায়িদ (রাঃ) বেহেস্তি। কেন? কারন মাত্র দশজনের ব্যাপারে বেহেস্তের ঘোষণা এসেছে আল্লাহর পক্ষ থেকে, বাকি সবার ইয়া নফসি অবস্থা। ঠিক এই কারণেই তাঁরা নিজেরা সারাক্ষন আল্লাহর ভয়ে তটস্থ থাকতেন। আমরা আশা করতে পারি তাঁরা বেহেস্তে যাবেন, কিন্তু বিচারের মালিক আল্লাহ। এই হচ্ছে সাহাবীদের ব্যাপার, আর আমরা সেখানে আমাদের নিজেদের নিয়ে কতই না আত্মবিশ্বাসী!
আল্লাহ বিচারকের দায়িত্ব নিজেই পালন করবেন, আপনাকে আমাকে সেই দায়িত্ব দেননি। এই জ্ঞান কুরআনের শুরুতেই, সূরা ফাতেহা, যে সূরা ছাড়া এক ওয়াক্ত নামাজও হয় না, সেখানেই আল্লাহ বলে দিয়েছেন। তারপরেও আমরা ভুলে যাই।
বিচারক আল্লাহ বলেই প্রতিটা মানুষ, ইনক্লুডিং বড় বড় নবী রাসূল পর্যন্ত সেদিন ভয়ে আতংকিত থাকবেন, কারন সবাইকেই নিজ নিজ কর্মের জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে।
কিন্তু শুধুমাত্র আমাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় আমাদের কোনই টেনশন নেই। আমরা চিন্তিত অমুক তমুককে নিয়ে। “অমুক দোজখে যাবে।” “ফি নারে জাহান্নামা…”
আখিরাতে কি হবে, সেটা আল্লাহর ব্যাপার। তিনি আমাদের বলেছেন পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে বাঁচতে। ঠিক এই কারণেই আমাদের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলা সেট করে দিয়েছেন। এইভাবে চললে আমরা সভ্য হয়ে চলবো। কিন্তু আমরা কি সেটা মানি?

ধরা যাক আপনার বাবা মারা গেছেন। আপনি অবশ্যই চাইবেন তিনি যেন পরকালে জান্নাতি হন। এখন যদি কেউ আপনাকে বলে, "ওকেতো কবরে সাপ কামড়াবে। ও দোজখের আগুনে পুড়বে।"
তখন আপনার শুনতে কেমন লাগবে?
তাহলে এই কাজটাই অন্যের ব্যাপারে আপনি করেন কেন? মুখ খুললে যদি দুর্গন্ধ বের হয়, তাহলে মুখ খোলাটা কি অতি জরুরি? ইসলাম কি বলেনা "প্রশংসা করতে না পারো চুপ করে থাকো, তবু বদনাম করো না"?
খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস স্যালভেশন আসবে কেবলই যীশুর (আঃ) মাধ্যমে। সেই হিসাবেতো ওর দৃষ্টিতে আমি আপনি সব মুসলিমই জাহান্নামী। এখন যদি আপনি কোন খ্রিষ্টানপ্রধান দেশে থাকেন, যেমন আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, এবং আপনার পরিচিত কারোর মৃত্যুর পরে সব এলাকাবাসী বলা শুরু করলো "জাহান্নামী! জাহান্নামী!!" - কেমন শোনাবে? আপনিতো ওর ধর্ম মানেন না, এইটা আলাদা কথা। কিন্তু আপনার কি মেজাজ খারাপ হবেনা? ঠিক এইটাই ঘটে আপনার আচরণে।
এই যে ভারতে কিছু ধর্মান্ধ কুকুরের সামনে এক হিজাবি মেয়ে “আল্লাহু আকবার” বললেন বলে আনন্দে মেতে উঠেছেন, কখনও কি ভেবেছেন, আপনি নিজেও অমন ধর্মান্ধ কুকুরের মতন আচরণ করেন কিনা? কেউ মরলো বলে একজন শোক পোস্ট করলো, আর আপনি কমেন্টে লিখলেন “দোজখে যাচ্ছে” আপনার আচরণটা কেমন হলো তখন?

নবীর জীবনীতে আমরা কি পাই? নবীর (সঃ) সময়ের কাফিরের নানান ক্যাটাগরি ছিল। যেমন আবু জাহেল, আবু লাহাব ওরা ছিল এক ক্যাটাগরির, প্রকাশ্য শত্রু। অন্যদিকে আবু তালিব, মুতইম ইবন আদি প্রমুখরাও কাফির ছিলেন, কিন্তু উনাদের প্রতি নবীর ব্যবহার, আচরণ ইত্যাদি লক্ষ্য করুন। বদর যুদ্ধে বিজয়ের পরে কুরাইশ সর্দাররা যখন যুদ্ধবন্দী, আমাদের নবী (সঃ) বলেছিলেন, "যদি মুতইম বেঁচে থাকতো এবং আমাকে একবার বলতো ওদের সবাইকে মুক্তি দিয়ে দিতে, তবে আমি তাই করতাম।"
একজন প্রয়াত "কুরাইশী কাফিরের" (বদর যুদ্ধের প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি বা মুসলিমদের চরম শত্রুপক্ষ ছিল এই কুরাইশরাই) প্রতি এরচেয়ে বড় সম্মান আর কি হতে পারে? কেন? কারন এই "কাফিরের" প্রতি আমাদের নবীর কৃতজ্ঞতাবোধ ছিল। অমুসলিম হয়েও তিনি আমাদের নবীকে অনেক সংকটে অনেক বড় বড় সাহায্য করেছেন।
পিতৃসম চাচা আবু তালিবের মৃত্যুর পরে নবীজি (সঃ) হজরত আলীকে (আঃ) (তাঁরই সন্তান) পাঠান দাফন কাফন সহ মৃত্যু পরবর্তী যাবতীয় ব্যবস্থা যেন ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন হয়। আলী (রাঃ) ইসলাম বহির্ভূত পৌত্তলিক কোন ইবাদতে অংশ নেননি, কিন্তু পিতার কবরের অন্যান্য কাজকর্মের দেখাশোনা ঠিকই করেছেন। এই রেফারেন্সের উপরই ইসলামী অনুমোদন আসে কোন অমুসলিমের জানাজায় শরিক হবার। আপনার ইহুদি/খ্রিষ্টান/হিন্দু সহকর্মী/বন্ধু মারা গেছে। অবশ্যই তাঁর শেষকৃত্যে আপনি উপস্থিত থাকতে পারবেন। কেবল পূজা বা ধর্মীয় আচার পালন করবেন না।
এখন যদি লোকে হজরত আলীর (আঃ) চাইতে নিজেকে বড় মুসলিম বিবেচনা করে, তাহলে ভিন্ন কথা। কিছু পন্ডিত অবশ্য তাই ভাবে।
এক ইহুদির জানাজা যাচ্ছিল নবীর পাশ দিয়ে। ইহুদিদের সাথে তখন মদিনার মুসলিমদের টেনশন চলছে। আল্লাহর রাসূল (সঃ) দাঁড়িয়ে মৃতের জানাজার প্রতি সম্মান জানালেন। সাহাবীরা বললেন, "সেতো ইহুদি ছিল।"
নবীজি (সঃ) বলেন, "সে কি মানুষ ছিল না?"
এইটা সাধারণ সামাজিক ভদ্রতা ও সৌজন্যতা। এজন্য "ধার্মিক" হতে হয়না, জ্ঞানী আলেম হতে হয়না, ভদ্রলোক হওয়াই যথেষ্ট। ভিন্নধর্মের কোন ভাল মানুষ মারা গেলে, আপনি যদি ইসলামের সীমানার মধ্যে থেকে তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করেন, তাহলে আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই দোজখে পাঠাবেন না। কিন্তু আজাইরা ফালতু কথা বলে ইসলামের নামকে বদনাম করলে, আপনার মাধ্যমে ভিন্ন ধর্মের কেউ ইসলাম সম্পর্কে ভুল ম্যাসেজ পেলে আপনাকে জবাবদিহি করতে হতে পারে। যার যার একশনের জন্য যে যে দায়ী। নবী সাহাবীদের জীবনীতেই এমন বহু উদাহরণ আছে। তখন আপনার জবাব কি হবে?
এনিওয়েজ, এইসব লেখা লিখে লাভ নাই। যে ইতর প্রাণী, ওর মাথায় এসব ঢুকবে না। আর যার মাথায় ঢুকবে, সে এমনিতেও এমন আচরণ করেনা।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যারা এধরণের কথা বলেন, তারা হয়তো নিজের অজান্তেই নিজের জাহান্নাম কনফার্ম করছেন।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৫

সাসুম বলেছেন: যারা এই ধরনের উগ্রপন্থী টেরোরিস্ট তাদের সবার একটা জিনিষ কমন- তারা জানেনা, পড়েনা, কম বুঝে এবং গালি আর মা বোন রে ১৪ গোষ্টি উদ্ধার করে জান্নাত প্রাপ্তির আশা করে। এরা এক বইয়ের মুখস্ত পাঠক এবং হুজুরের মুখে সূন্নী বয়ান শুনে শুনে মোসলমান। এরা তিল থেকে তাল বানাতে ওস্তাদ এবং খালি এর ওর কল্লা চাই আর ফাসি চাই এর দাবি করে রাত দিন। এরা সন্ত্রাসী এবং এরা সমাজ জাতি সভ্যতার জন্য ভয়ানক।

আপনার লিখা সুন্দর হইছে। বাংগাল জীবনেও মানুষ হবেনা। এরা মোসল্মান ই থেকে যাবে আর দুই দিন পর পর এর ওর কল্লা চাইবে আর একে ওকে জাহান্নামে পাঠাবে কারন আল্লাহ সেই বাংগুর সাথে কথা বলেই ঠিক করবে কে জান্নাতে আর কে জাহান্নামে যাবে।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: জান্নাত জাহান্নাম পরে। কোনো মানুষই শখ করে আত্মহত্যা করে না। প্রতিটা আত্মহত্যা আসলে হত্যা।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

জাদিদ বলেছেন: পোস্টের সাথে সহমত জানাই।

ব্লগার সাসুম বলেছেন - একে ওকে জাহান্নামে পাঠাবে কারন আল্লাহ সেই বাংগুর সাথে কথা বলেই ঠিক করবে কে জান্নাতে আর কে জাহান্নামে যাবে। =p~ =p~ =p~

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

সাগর শরীফ বলেছেন: সেই ব্যক্তি আত্মহত্যার কারণটা না খুজে তাকে সোজা জাহান্নামে পাঠানো বা তার জানাযায় না থাকা ইত্যাদি কোন সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন মানুষের কাজের উদাহরণ হতে পারে না।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
জাহান্নামী নাওতো হতে পারে। যেহেতু কালিমা পড়ে আত্মহত্যা করেছে তাই আত্মহত্যার জন্য সাজা হবে তারপর জান্নাতে যাবে অথবা আল্লাহ মাফ করে দিলে সরাসরি জান্নাতে যাবে।

না জেনে না বুঝে মানুষ যে প্রতিদিন কত জনরে দোযখে পাঠাচ্ছে তার তার হিসাব বড় লম্বা।

৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১৯

জ্যাকেল বলেছেন: অন্য মানুষের কর্মফল কি হবে সেটা ভাবার মত দুঃসাহস কোন সু-বিবেকবান মানুষ করতে পারে না। কারন কেয়ামতের দিন ইয়া নফসি ইয়া নফসি করতে থাকবে সকল মানুষ। কেহ নিজের লিংগের দিকে তাকাবার মত চিন্তাও করবে না(ন্যাংটা থাকবে সবাই), কারন সিরিয়াসনেস জিনিসটা তখনই একজন মানুষ আওত্ত করতে সক্ষম হইবে। সেখানে অমুকের ঈমান, তমুকের সুইসাইড এইগুলা বহুত দুর কি বাত।
তাই যারা যারা কেতাব পড়িয়া বিভিন্ন ফতোয়া জাহির করে ফেলতেছেন তাদের জন্য বড়ই করুণা।

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০২

বিটপি বলেছেন: আপনি যদি গুনাহসমূহের তালিকা করেন, তবে সবচেয়ে বড় গুনাহ হচ্ছে আল্লাহ্‌র সাথে কাউকে শরীক করা - এটা এমন গুনাহ, যা কখনও মাফ হয়না।

এই তালিকায় দ্বিতীয় হচ্ছে, কোন নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করা। তবে, যুদ্ধের ব্যাপারটা আলাদা। সেখানে কে অপরাধী, কে নিরাপরাধ - সেটা বাছাই করে দেখার সুযোগ নেই। আর যে কোন হত্যার ক্ষেত্রে বিচারের রায়ের মাধ্যমে করতে হবে। কিন্তু হত্যা করেও কেউ যদি তওবা করে, তো আল্লাহ মাফ করে দিতেও পারেন।

আত্মহত্যা হচ্ছে গুনাহের তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুনাহ। এই গুনাহ করে তওবা করার কোন সুযোগ নেই। তাই খুব সহজেই বলা যায় যে এই ব্যক্তি জাহান্নামী হতে যাচ্ছে। তবে তার জানাযা পড়তে অস্বীকার করা যাবেনা।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:১৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: Click This Link

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

নতুন বলেছেন: আমরা বর্তমানে আরবদেশীদের চেয়েও বেশি ইসলাম বুঝি তাই।

১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪০

এম এ কাশেম বলেছেন: আচ্ছা - বিসমিল্লাহ বা কলেমা পড়ে কেউ যদি চুরি-ডাকাতি বা নারী ধর্ষন করে তবে কি সেই জান্নাতে যাবে???
নিশ্চয় যাবে না।
আত্মহত্যা - তার চেয়ে অনেক বড় অপরাধ।
ধর্মীয় ফয়সালা বা ফতোয়া কি আপনি দিবেন নাকি
কোরান হাদীছে বিশেষজ্ঞ আলেমরা ওলামারা দিবেন?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:১৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: Click This Link

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৫

জাদিদ বলেছেন: @এম এ কাশেমঃ যিনি এই পোস্ট লিখেছেন তিনি যদি এই সকল বিষয়ে উপযুক্ত জ্ঞান রাখেন এবং তিনি যদি এই বিষয়ে বলেন, তাহলে সমস্যা কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.