নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবীজির (সঃ) জীবনী, আমাদের ঘটমান জীবনে সেটার সম্পর্ক এবং নানা প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আমার দুই খন্ডের বই "রিসালাত মক্কা ও মদিনা পর্ব"

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৯

মুসলিম হয়ে জন্মেছি। তাই নবীজির (সঃ) প্রতি আপনাতেই একটা ভালবাসার কাজ করে। কিন্তু সেটা না জেনে বুঝেই, অন্ধভাবে।
অনেকে উনার নামে অনেক পজিটিভ নেগেটিভ কথা বলে, আমি বেকুবের মতন মাথা নাড়ি। মনে মনে আফসোস হয়, "আমি এত নরাধম! আমার নবীকে নিয়ে বলছে, অথচ আমিই জানিনা!"

ধীরে ধীরে শুরু হলো তাঁকে জানা।

তাঁর জীবনী গ্রন্থের অভাব নেই দুনিয়ায়। পৃথিবীতে এমন কোন ভাষা আছে কি যে ভাষায় তাঁর জীবনী লেখা হয়নি? মুমিন থেকে শুরু করে কাফির, সবাই তাঁকে নিয়ে লিখেছে। সত্য মিথ্যার মিশ্রনে গদগদ লেখা আছে, কাঠখোট্টা খরখরে শুষ্ক আবেগহীন লেখাও আছে, প্রশ্ন হচ্ছে, কারটা পড়বো? কয়টা পড়বো? মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো।

এই সময়ে বুখারী শরীফের একটি হাদিস জানলাম, যেখানে আল্লাহ বলেছেন, বান্দা যখন তাঁর দিকে এক পা এগোয়, রাব্বুল আলামিন তখন সেই বান্দার দিকে দশ কদম এগোন। বান্দা যখন তাঁর দিকে হেঁটে রওনা দেয়, আল্লাহ তখন তাঁর দিকে দৌড়ে আসেন।
এরচেয়ে বেশি মোটিভেশনাল আর কি হতে পারে?

ভাল কথা, আমি আগেও বহুবার বলেছি, আমার সাথে একটি মিরাকেল নিয়মিতই ঘটে। সেটা হচ্ছে আমার ঘটমান জীবনের ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে আমি কুরআন খুলে পড়ি, মাত্র দুই পৃষ্ঠা, এবং এর মধ্যেই আমি জবাব পেয়ে যাই। প্রতিবার! আগের লেখাগুলিতে বহু উদাহরণ দিয়েছি, এই যে অতি সম্প্রতি ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতা ইত্যাদি নিয়ে বাংলাদেশে তোলপাড় উঠলো, আমি তখন ধারাবাহিকভাবে কোন সূরায় ছিলাম জানেন? সূরা আরাফ। কো ইন্সিডেন্স? অবশ্যই না। আমি অন্য আরও অনেক সূরায় থাকতে পারতাম, কিন্তু আরাফেই কেন? মহাজগতের নিয়ন্ত্রকের সূক্ষ্ম কৌশলের একটি হচ্ছে এই রহস্যময়তা। কিভাবে কিভাবে যে তিনি মিলিয়ে দেন! তা হজরত লুতের (আঃ) ঘটনা শেষ করেই আল্লাহ টেনে এনেছেন শোয়াইব (আঃ) প্রসঙ্গ। যেখানে তাঁর কওমকে আল্লাহ ভূমিকম্পে ধ্বংস করেছিলেন কারন ওরা বাজারে লোক ঠকাতো, অন্যের হক নষ্ট করতো। তখন মাথায় চিন্তা এলো, আমরা যে কওমে শোয়াইব (আঃ) হয়ে বসে আছি, সেটা কি আমরা উপলব্ধি করছি? আমাদের উদ্ধার করবে কে?
আপনাদের কি ধারণা? আমি আন্দাজেই শোয়াইব (আঃ) নবীকে নিয়ে সেদিন লিখেছিলাম? নারে ভাই, কোরআনে আমি এইভাবেই নির্দেশনা পাই।
এবং কিছু মূর্খ ধরে নিয়েছে আমি সমকামিতাকে সাপোর্ট করি। আমি অন্যদিকে ডাইভার্ট করার চেষ্টা করছি! হায়রে!

তো যা বলছিলাম, পবিত্র কুরআন একেকজনের সাথে একেকভাবে মিরাকেল হিসেবে কাজ করে। আপনার সাথেও ভিন্নভাবে কাজ করছে। একটু চিন্তা করলেই ঠিকই বের করতে পারবেন।

নবীজিকে (সঃ) নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলাম। উনার জন্ম, উনার বেড়ে ওঠা ইত্যাদি সবই কমন ঘটনা, আমরা মোটামুটি সবাই জানি। কিন্তু আল্লাহর ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল। তিনি চাইলেন আমি লিখি কিভাবে তাঁর জীবনী আমাদের ঘটমান জীবনের সাথে মিলেমিশে যেতে পারে। সেই সূত্রেই আমার ছোটবেলার স্কুল বন্ধু রাজাউল আকমল সাজিদ আমাকে ইয়াসির ক্বাদীর ইউটিউব ভিডিও সাজেস্ট করলো। টেনিসির মেমফিস শহরের এক অখ্যাত মুসাল্লার এক অখ্যাত ইমাম, ইউটিউবে নবীজির (সঃ) জীবনী পড়ান। জন্ম বেড়ে ওঠা টেক্সাসে, পড়াশোনা ইয়েল ও মদিনা ইউনিভার্সিটিতে, কেমিকেল সায়েন্সে ডিগ্রিও আছে, কাজেই এই লোকটা আজগুবি গালগপ্প শোনাবে না, সেটাতো জানা কথাই।

অনেক ডিটেইলে আলোচনা করেন, এবং আমি ঠিক যেটা চাইছিলাম, কিভাবে আমরা সেইসব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান জীবনে এপ্লাই করতে পারবো, সেটাই তিনি সেখান।
মন্ত্রমুগ্ধের মতন তাঁর লেকচার সিরিজ শুনতে শুরু করলাম। ধীরে ধীরে আবিষ্কার করলাম, আমিও তাঁর মতই চিন্তাভাবনা করি। কোন কিছু আমার সামনে হাজির করলেই হয় না, কতটা লজিক্যাল, কতটা অথেন্টিক এসবকিছু বিবেচনায় নেই।

আমি ইয়াসির ক্বাদীর ভক্ত হয়ে গেলাম। ইচ্ছা করলো ছুটি নিয়ে মেমফিস চলে যাই, দেখা করতে। উনার পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে। উনার লাইভ লেকচার শুনতে।
কিন্তু আমরাও পরিকল্পনা করি, এবং আল্লাহও করেন। এবং তাঁর পরিকল্পনাই বেশি সুন্দর।

উনি আমার পাশের শহরেই এক মসজিদে ইমাম হয়ে এলেন!
কিন্তু পাশের শহর হলেও গাড়িতে যেতেই কমসে কম তিরিশ মিনিট সময় যেত। দূরত্ব অনেক। চেষ্টা থাকে জুম্মার নামাজে যেতে, ঈদের জামাতে যেতে।
এরপরে ঘটনা আরও এগুলো। প্যান্ডেমিক এলো, মানুষ মরলো, ইনফ্লেশন এলো, রিয়েল এস্টেটের মার্কেটে আগুন ধরে গেল, সরকার বদল হলো, আমারও আগের বাড়িটা ভাড়া দিয়ে নতুন বাড়ি কেনা হলো, এবং এখন আমি সেই মসজিদ থেকে মাত্র দশ মিনিটের দূরত্বে থাকি। ঐ আগুনগরম রিয়েল এস্টেট মার্কেটেও আমি আমার বর্তমান বাসাটা পেয়ে গেলাম।
আবারও বলি, কো ইন্সিডেন্স?
ঐ যে উপরের হাদিসটা বলেছিলাম, আমরা এক কদম তোলারও আগে আল্লাহ দশ কদম আমাদের দিকেই বাড়িয়ে থাকেন?
আমার রবের দরবারে কোটি কোটি সিজদাহ, তিনি তাঁর প্রিয়তম বান্দার (সঃ) জীবনী তাঁর উম্মতের মাঝে থেকে এক সাধারণ গুনাহগারকে দিয়ে লিখিয়েছেন। ওপারের জীবনে এই একটা উসিলা দেখানোর চেষ্টা করবো। বাকিটা পরমকরুণাময়ের করুনার উপর নির্ভরশীল।

তা মূর্খ কিছু পাবলিক কিছু জেনে বেশিরভাগই না জেনে বলে আমি নাকি সেমি নাস্তিক, গোমরাহী, আরও সব ভারী ভারী উর্দু ফার্সি আরবি শব্দ ব্যবহার করে। ওদের ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের দেয়ালের বাইরে ওরা চিন্তা করার ক্ষমতাই রাখেনা।
জবাবে আমি গালি দেই, গরু, ছাগল, বলদ! আরে গাধা! এইটা ঠিক আমি গুনাহগার, আমি তথাকথিত সুন্নতি লেবাসধারী মুসলিম না। কিন্তু আমি আমার জীবনের ঘটনাগুলি দেখার পরেও চাইলেও কি নাস্তিক হতে পারবো? আমার কি মাথা তোদের মতোই এতটা নষ্ট?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


শুভ কামনা রইলো।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইউটিউব ভিডিও দেখে নিজেই স্কলার, কিতাব লিখে ফেলা ...।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: নারে ভাউ, "ইউটিউব ভিডিও" দেখেই সাড়ে সাতশো পৃষ্ঠার বই লেখা সম্ভব না। ইউটিউব ভিডিওগুলি ব্যবহার করা হয়েছে "ব্যাখ্যা" বুঝতে, আর পরিশ্রম করা হয়েছে কুরআন, হাদিস গ্রন্থগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করতে। বেয়াক্কেলের মতন ভুল একটা উপসংহার টানলে মেজাজতো খারাপ হবেই।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৬

মোঃ রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: পুরো লেখাটি পড়লাম। ভালো লেগেছে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যাবাদ!

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫০

আলামিন১০৪ বলেছেন: ভাই একটা কথা বলেন তো, নবী সঃ কি কখনো Offensive জিহাদ করেছিলেন? নাকি সবগুলোই Defensive?
‘‘ যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয় তাদেরকে যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল, কেননা তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম।’ (আল-হাজ্জ ২২ : ৩৯)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: বইয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ভাই। কিনে পড়তে পারেন, আরও বহু প্রশ্নের জবাব আছে।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট। দারুন একটা কাজ করেছেন।
হুমায়ূন আহমেদ আমাদের নবীজিকে নিয়ে একটা বই লেখা শুরু করেছিলেন। কিন্তু প্রথম পর্ব লিখেই, তিনি মারা গেলেন। আফসোস বইটা তিনি শেষ করতে পারলেন না।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যাবাদ! জ্বি, উনি যদি বেঁচে থাকতেন একটা বহুল বিক্রিত বই প্রকাশ হতো, কিন্তু কতটা অথেন্টিক হতো, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। প্রথম কয়েক পৃষ্ঠাতেই কিছু সমস্যা চোখে পড়েছিল। যেমন উনি লিখেছিলেন নবীজির ছায়া মাটিতে পড়তো না, উনার উপর মেঘ ছায়া দিত ইত্যাদি। আমি এইটা সহ আরও বহু কুসংস্কার যা তাঁর নামে প্রচলিত আছে, সব নিয়ে আলোচনা করেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.