নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!
"ইসলামে উৎসব নেই" এই ধরনের কিছু পোস্ট ইদানিং ফেসবুকে উড়াউড়ি করছে।
সেই পোস্টের মূল বক্তব্য অনেকটা এমন যে আমরা খুবই ডিপ্রেসিং একটা জাত, নিজেরা আনন্দ ফূর্তি করিনা, তাই অন্যকে ফূর্তি করতে দেখলে মুখ প্যাঁচার মতন করে ফেলি।
তো এ নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।
এই কথা সবাই মানেন যে বছরে আমাদের ঈদ দুইটা। যদিও ঐ লেখিকার মতে ঈদও আসলে ইবাদত, আমরাই ফুড ফেস্ট বানিয়ে ফেলি। তা এক্সট্রা যে নামাজ সেটা খুৎবা সহ আদায় করতে বড়জোর আধা ঘন্টা বেশি লাগে, সেটাও উৎসবেরই অংশ। এরপরের গোটা দিনইতো ফূর্তি। এতটাই যে ঈদের দিনে রোজার মতন ইবাদতও নিষিদ্ধ। ঈদ শব্দের মানেই হচ্ছে উৎসব বা ভোজ। মানে যে উৎসবে খাওয়া দাওয়া চলে। আপনি ঈদের দিন শুধুই খাবেন। রোজা রাখলে উল্টা গুনাহ হবে।
ইসলাম বলে, শুধু নিজে না, অন্যের পাতেও যেন ভোজ উঠে, সেই ব্যবস্থা করতে। যে কারনে ঈদুল ফিতরে যাকাতুল ফিতরা এবং কুরবানীতে সবাইকে মিলে মাংস খাওয়ার নিয়ম। অভুক্তের পাতে খাবার তুলে দিলে, বা ওদের ক্ষনিকের আনন্দের উপলক্ষ হতে পারলে এমনিতেই আনন্দ বহুগুন বেড়ে যায়। মানুষ নিজের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভূরিভোজ করে, তারপরে আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশীদের বাড়িতে খেতে বেরোয়। খেতে খেতে পেট নেমে যায় অনেকের। কত খাওয়া যায়?
দুই ঈদের তিনদিন তিনদিন করে মোট ছয় দিন ধরে চলে এই উৎসব।
আপনি যদি নিজের ঈদকে আনন্দময় করতে না পারেন সেটা আপনার ব্যর্থতা। আপনি মানুষের সাথে মিশছেন না, আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখছেন না, আপনি নিজেই ডিপ্রেসড লাইফ কাটান। দোষটাতো আপনার।
গেল ঈদের কথা।
রমজান মাসের তিরিশটা দিনই যে উৎসব এই কথা মুসলিম মাত্রই জানেন, যারা ঐ পোস্ট লিখেন ও শেয়ার করেন, তারাই কেবল জানেন না।
রমজানে সেহরি এবং ইফতার এমনিতেই বিশেষ কিছু। লোকজন আগ্রহের সাথে নিজ বাড়িতে ইফতার বানায়, কিনে, চক বাজারেতো কোটি কোটি টাকার শুধু ইফতার ব্যবসাই চলে। চলে ইফতারের দাওয়াত পর্ব। এ ওর বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে যায়। আত্মীয়, প্রতিবেশীদের বাড়িতে ইফতার বানিয়ে পাঠায়।
এখন যুক্ত হয়েছে সহুর ফেস্ট। পুরোই হালাল একটি ব্যাপার। মানে সেহরির সময়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে মেলা বসে, সেখানে শুধু খাদ্যপণ্য বিক্রি হয়। হাজার হাজার মানুষ স্বপরিবারে সেহরি খেতে আসেন।
গোটা রমজান জুড়েই খাওয়া দাওয়ার এই মহোৎসব চলে।
এর সাথে যুক্ত হয় তারাবীহর নামাজ। লোকজন নিজের পরিবার নিয়ে মসজিদে আসেন নামাজ আদায় করতে। মেয়েরা মেয়েদের অংশে, ছেলেরা ছেলেদের অংশে নামাজ পড়ে। বাচ্চারা নিজেদের অংশে ফুর্তিতেই শেষ।
বাংলাদেশের মসজিদে ইমাম তিলাওয়াতের নামে রেলগাড়ি ছুটায়, কিন্তু আমার কাছে তারাবীহর নামাজের আসল সৌন্দর্য্য এর তিলাওয়াত। কুরআন শরীফ তিলাওয়াতও যে একটা মহাশিল্প, সেটা উপলব্ধি করি তারাবীহর নামাজে। একে রমজানের পরিবেশ, মন মানসিকতা থাকে আধ্যাত্মিকতায় পরিপূর্ণ। মসজিদ গিজগিজ করে মুসল্লিতে। সবাই নিজের রবের করুণাপ্রত্যাশী। শুরু হয় ক্বারীর তিলাওয়াত। ধীরে ধীরে, টেনে টেনে সুর করে করে নির্দিষ্ট লয়ে তিলাওয়াত এগুতে থাকে। যারা আরবি বুঝেন তাঁদের কথাতো বাদই দিলাম, আমরা যারা আরবি বুঝিনা, কিন্তু কুরআন শরীফ অর্থ বুঝে পড়ি, হঠাৎ কিছু কিছু আরবি শব্দ কানে বাজলেই বুঝতে পারি এখন এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে....তখন নামাজে এমনিতেই মনোযোগ চলে আসে। এরপর তিলাওয়াত যত এগুতে থাকে, মুসল্লিরা নিজেদের জীবনের সাথে মিলাতে শুরু করে। এখানে কেউ সাধু সন্ত না, আমরা সবাই ছোট বড় গোপন প্রকাশ্য নানান পাপের পাপী। নিজেদের রবের দেয়া উপহার, রমজান মাসকে কাজে লাগাতে যাই নিজেকে স্রেফ আরেকটিবার সুযোগ দিতে। কেউ আসেন বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে। নানা সমস্যার একমাত্র সমাধানকারী আমাদের মালিকের কাছে সাহায্য চাইতে। আমরা টের পাই আমাদের রব তাঁর রাসূলের মাধ্যমে বহু আগেই আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলে ফেলেছেন। আমরাই তাঁর বাণীকে মলাটবন্দি করে শেল্ফে সাজিয়ে রাখি, খুলে পড়ি না। আবেগ তখন সবাইকে স্পর্শ করে। ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠেন কেউ কেউ। আশেপাশের অনেকের চোখের পানিতে গাল ভিজে। এ এক অসাধারণ, অতুলনীয়, অভাবনীয় এবং অবেগময় অভিজ্ঞতা।
লোকে কনসার্টে যায় না? কেন যায়? গানের কথা জীবনের সাথে মিলে যায় বলে, কিংবা স্রেফ সুরের টানেতো?
এখানেও অনুভূতি এক তবে তা আরও গ্র্যান্ড স্কেলে। তিরিশটা (চাঁদ আগে দেখা গেলে ২৯) রাত ধরে চলে এই উৎসব। ঐ পোস্টের লেখক/লেখিকা কখনও এসেছেন মসজিদে? তারাবিতে? নিজের রবের কাছে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমপর্ণের অভিজ্ঞতা তাঁর কখনও হয়েছে? বুঝবেন কিভাবে কোন নেশায় সাড়ে চৌদ্দশো বছর ধরে কোটি কোটি মুসলিম প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে প্রতি রমজানে মসজিদে গিয়ে দুই/তিন ঘন্টা পড়ে থাকে?
রমজান ও ঈদ ছাড়া আছে আমাদের "সাপ্তাহিক ঈদ" শুক্রবার বা জুম্মা। নবী (সঃ) নিজে বলেছেন আমাদের জন্য প্রতি শুক্রবার ঈদ। এরপরে আর কোন যুক্তি তর্ক থাকে না। আমরা এদিন ঈদের মতই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেহ ও পোশাকে নামাজে যাই, পরিবারের সাথে ভুরিভোজ করি, এবং আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশী বন্ধুবান্ধবদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়াই বা যাই। প্রতি সপ্তাহে দাওয়াত, পার্টি, উৎসব! আমাদের এখানেতো কিছু বাঙালি দাওয়াত খেতে খেতে হাপিয়ে উঠেন। কারোর কারোর একই দিনে দুই তিনটা দাওয়াত থাকে, এক পার্টি থেকে আরেক পার্টিতে ছুটে বেড়ায়। বছরে ৫২-৫৪ টা শুক্রবার পাচ্ছেন।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, রমজানের তিরিশ দিন, দুই ঈদের ছয়দিন এবং শুক্রবারের ৫২-৫৪ - মোট নব্বই দিনের মতন বা তিন মাস (বছরের এক চতুর্থাংশ) আপনার কেবল উৎসবেই কাটে। এরপরেও বলবেন ইসলামে উৎসব নেই? কত পার্টি লাগবে আপনার?
হ্যা, আপনারা যদি বলেন "মুসলিম উৎসবে কোন মদ্যপান চলে না তাহলে কেমন উৎসব পালন হলো?" তাহলে ভিন্ন কথা। ইসলামে শুধু মদই না, কারোর জন্য ক্ষতিকর এমন যেকোন কিছুই হারাম। মদ খেতে শুধু ইসলামই নিষেধ করে না, ডাক্তাররাও নিষেধ করেন। ধূমপান, গাঞ্জা ফোঁকা ইত্যাদি সবই ইসলামে এই কারণেই নিষেধ কারণ এগুলি সেবনকারীর শরীর স্বাস্থ্যের জন্যই খারাপ। সেসব বাদ দিয়ে মানুষের আনন্দের আর যা যা উপকরণ, খাওয়া খাদ্য, আড্ডা, হাসি, উল্লাস, সবইতো হালাল।
হ্যা, আপনি আরেকজনের বিবির সাথে রং তামাশা করতে চাইলেও ইসলাম নিষেধ করবে। সেটা নিয়ে কমপ্লেন করতে চাইলে ঐ বিবির স্বামীর কাছে করুন। ঘুষি মুষি খাইলে আমাকে দোষ দিতে পারবেন না।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:০৯
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: বিয়ে বাড়িতে এক পিস্ বাড়তি মুরগির রোস্ট আর খাসির মাংসের রেজালা খাওয়ার সময় কাড়াকাড়ি করতে গিয়ে অন্যের জামায় ঝোল ফালায় দেন, আর কোরবানির সময়েই দরদ উথলে উঠে! হিপোক্রেসি মন্তব্য দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:০১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঈদে মিলাদুন্নবীও খুব জাঁকজমক করে পালন করা হয়ে থাকে।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৫:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যারা উৎসব মানে নারী-পুরুষের ঢলাঢলি, নাচানাচি, ঘষাঘষি, রং মাখামাখি, শরীর দেখাদেখি বোঝে, তাদের কাছে এই পোষ্ট অরন্যে রোদনের মতো মনে হবে। তবে আয়রনি হলো, যারা এই ধরনের উৎসব পছন্দ করে, তাদের মোটামুটি সিংহভাগই আবার তাদের পরিবারের কোন নারী সদস্যের এই ধরনের উৎসবে যোগদানকে পছন্দ বা সমর্থন করে না।
এই মনোভাবকে আপনি কি বলবেন........হিপোক্র্যাসি?
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:১০
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: নিজের বেলায় ষোল আনা বুঝে, ওদেরই বৌ বা বোনের সাথে কেউ ঢলাঢলি করলেই খাঁটি মুমিন হয়ে যায়।
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আর খেজুর ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা মদ ও উত্তম খাদ্য প্রস্তুত কর, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।
-সুরা নাহল, আয়াত-৬৭
আল্লাহ স্বয়ং মদের প্রশংসা করেছেন। মদ হচ্ছে উত্তম পানীয়।
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর লেখা। সরাসরি প্রিয়তে রাখলাম। আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন
উত্তম প্রতিদান দিন।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমিন!
৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫০
মায়াস্পর্শ বলেছেন: সুন্দর লেখা। আমাদের উৎসবগুলো অনেক মার্জিত এবং সুন্দর।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক।
৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ইমাম সাহেব তারাবির নামাজে ফাইভ জি গতিতে কোরান তেলওয়াত আসলে কারে শোনায়? মুসুল্লিদের না আল্লারে? মুসুল্লিদের যদি শোনানের উদ্দেশ্য থাকে তাইলে তো কয়জন মুসল্লি তা বোজে? আর যদি তেলওয়াত আল্লারে শোনানোর উদ্দেশ্যে হয় তাইলে আল্লারে আল্লার বানি শোনাইলে ফায়দাটা কার হয়?
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ভাল বলেছেন। আমাদের দেশের লোকে তারাবীহ পড়তে চায়, ২০ রাকাতই পড়তে চায়, কিন্তু সময় দিতে চায়না। হুজুর ধীরে পড়লে চাকরি চলে যাবে।
৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
অগ্নিবেশ বলেছেন: ব্লগে ইসলামের নামে মুনাফেকি চলছে। কোরান হাদিস দিলে মুসলমানেরাই তাহা মুছে দিচ্ছে। আজব। হালুয়া রুটির আশায় কাফের দেশে পার্মানেন্টলি বসবাস করছে আর নিজের সুবিধামত ইসলাম বানিয়ে তাহা আবার প্রচার করছে। আফসোস।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০২
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আসলেই মুনাফেকি হয়ে গেছে। এত গুরুত্বপূর্ণ হাদিস শেয়ার করেছিলি। আসলেইতো, রাস্তায় তোর বাপ যখন অন্য বেটি দেখে নুনু উঁচা করবে, তখন ঘরে এসে যদি তোর মাকে না লাগায়ে সেই বেটির সাথে কিছু করার চেষ্টা করে, তখনতো স্যান্ডেলের বাড়ি একটাও জমিনে পড়বে না। এই শিক্ষা পাওয়ার জন্যইতো সেই হাদিসটার গুরুত্ব অনেক। কেন যে ব্লগ মুছে দিল, বুঝলাম না। চারিদিকে মুনাফেক!
৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৩২
বিষাদ সময় বলেছেন: ”কোনো কোনো ধর্ম নারীকে দেখেছে বিষের নজরে, আর কোনো কোনো ধর্ম ততটা না গেলেও সঙ্গীত-নৃত্যের মারফতে নারীকে ঘিরে যে ইন্দ্রজাল সৃষ্টি তাতে জানিয়েছে ঘোর আপত্তি। সঙ্গীত নৃত্য ইত্যাদি তার কাছে কামেরই আয়োজন, কামের উন্নয়ন নয়। ফলে সূক্ষ্ম উপভোগের সহায় না হয়ে নারী স্কুল ভোগের বস্তু হয়েই রইল, নব নব উন্মেষশালিনী বুদ্ধির প্রেরক ও উচ্চতর জীবনের সহায় হতে আর পারল না।”.................মোতাহের হোসেন চৌধুরী
১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩০
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিয়ে বাড়িতে এক পিস্ বাড়তি মুরগির রোস্ট আর খাসির মাংসের রেজালা
ভাইজান বিয়ে বাড়ির মুরগি বর খাসিকি প্রকাশ্য রাস্তায় জবাই করা হয় ? সেখানে কি পূণ্যের লোভে মাদ্রাসায় পড়া শিশুর হাডে চাপাতি দিয়ে জবাইয়ের কাজটি করা হয়!
ভাইজান খালি যার লাগাইতে মন চাইবে তার ইচ্ছাই যথেষ্ঠ, যাকে লাগাবে তার ইচ্ছা বা অনিচ্ছার কি দাম থাকবে ? এই শিক্ষাটাও কি ঐ হাদিসে ছিল ?
১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০২০
লেখক বলেছেন: আসলেই মুনাফেকি হয়ে গেছে। এত গুরুত্বপূর্ণ হাদিস শেয়ার করেছিলি। আসলেইতো, রাস্তায় তোর বাপ যখন অন্য বেটি দেখে নুনু উঁচা করবে, তখন ঘরে এসে যদি তোর মাকে না লাগায়ে সেই বেটির সাথে কিছু করার চেষ্টা করে, তখনতো স্যান্ডেলের বাড়ি একটাও জমিনে পড়বে না। এই শিক্ষা পাওয়ার জন্যইতো সেই হাদিসটার গুরুত্ব অনেক। কেন যে ব্লগ মুছে দিল, বুঝলাম না। চারিদিকে মুনাফেক!
আপনার মত একজন প্রবাসী ভদ্রলোকের কাছে এই জাতীয় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আশা করিনি।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৩
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আপনি কি জানেন নবীকে (সঃ) এই বরাহশাবক কি মন্তব্য করেছিল? আমিতো কুরুচির জবাব কুরুচি দিয়েই দিয়েছি, লোকে এর পিছনে তলোয়ার নিয়ে তাড়া করবে।
১২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৩৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: আমি নবীর হাদিস কপি পেস্ট করেছিলাম মাত্র, এতেই আপনি ক্ষেপে গেলেন? বস্তত আপনি নবীকেই গালি দিলেন। নবী এই সময় জন্ম নিলে হাদিস বয়ান করার অপরাধে আপনারা সত্যিই তলোয়ার নিয়ে তাড়া করতেন। সেকুলার দেশে থেকে হালু্য়া রুটি খেয়ে মনে মনে শরীয়া কায়েম করার খোয়াব দেখেন। মুখোশ পরে মধুর মধুর পোস্ট লেখেন, একটু টোকা দিলেই দাঁত নখ ন্যাজা বের করে ফেলেন। আফসোস। ভিন্নমত ভালো না লাগলে আমাকে ব্যান করে দেন, ল্যাঠা চুকে যায়।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৭
মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমি খেপলাম কই? উল্টা হাদিসের শিক্ষাটা ব্যাখ্যা করলাম। আসলেইতো, তোর বাপের যদি অন্য কাউকে দেখে খাড়ায়, তাইলে সেখানেই লুঙ্গি উচা করে মহিলার পিছনে না দৌড়ায়ে তোর মায়ের কাছে আসাটাইতো উচিত। নাকি তুই সমর্থন করিস লুঙ্গি উচা করে তোর বাপ ঐ অন্য বেটির পেছনে দৌড়াবে?
১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০
হাসান১৯ বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
আর খেজুর ও আঙ্গুর ফল হতে তোমরা মদ[১] ও উত্তম খাদ্য গ্রহণ করে থাক, এতে অবশ্যই বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নিদর্শন।
[১] এই আয়াত তখন অবতীর্ণ হয় যখন মদ হারাম হয়নি, সেই জন্য হালাল (পবিত্র) জিনিসের সাথে তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এতে سكرا এর পর رزقا حسنا এসেছে যার মধ্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে মদ উত্তম খাদ্য নয়। তাছাড়া এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ। যার মধ্যে মদ অপছন্দনীয় পানীয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে মদীনায় অবতীর্ণ সূরাগুলিতে ধীরে ধীরে তা হারাম করা হয়েছে।
১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৩০
অগ্নিবেশ বলেছেন: এই মুমিনের মুখোশ খসে পড়েছে, যুক্তিতে না পেরে এখন মা বাপ করছে। আমরা যারা নিজেরা সভ্য মানুষ মনে করি তারা নিজেকে কন্ট্রোল করতে জানি। রাস্তায় নারী দেখলেই ভাদ্র মাসের কুত্তার মত আচরন করি না। নিজের যত ইচ্ছাই থাকুক না কেন বৌয়ের ইচ্ছা না থাকলে ঝাঁপিয়ে পড়ি না। মিয়া খলিফাকে দেখে উত্তেজিত হয়ে মগজে তার ক্থা চিন্তা করে বঊয়ের সাথে সেক্স করা একটা প্রতারনা। অন্য কোনো পরপুরুষের শরীরের কথা চিন্তা করে উত্তেজিত হয়ে আপনার বঊ যদি আপনার কাছে আসে আপনার কেমন লাগবে? মুমিন হতে গেলে কি মগজ লাগে না? যুক্তি থাকলে যুক্তি দিন, না থাকলে আউ ফাউ না বকে ব্লক করে দিন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৩
কামাল১৮ বলেছেন: কোরবানীর দিন অমানবিক দৃশ্য দেখা কি আনন্দ।এর নাম যদি আনন্দ হয় তবে আর বলার কিছু নাই।নিষ্ঠুরতা কাকে বলে!