নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবিরাম সাগরে ভাসমান একজন ক্লান্ত নাবিক !!!!

সজীব আহমেদ শামীম

I am a Bangladeshi Marine Engineer, Ex Cadet of Bangladesh Marine Fisheries Academy (BMFA), Ex Captain of NCC.

সজীব আহমেদ শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংবিধানের মারপ্যাঁচে বাংলাদেশী মেরিনার

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩০

১৪তম সংসদীয় সংবিধান জাতির প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ, এবার নতুন করে সংবিধান করতে হবে, বাঙালী জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে, তাদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। বাংলার কতিপয় মানুষ নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থার উপর হাল রাখতে পারলেন না, কেননা তারা জাতির প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হন, তাই তাদের কাছে আর কোনোভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর করা যাবে না।

শুরু হল প্রত্যাশা পূরণের পালা। জাতি নতুন সংবিধান রচনা করলেন। ১৫তম সংসদীয় সংবিধান, যেখানে প্রধানমন্ত্রী সর্বদা উচ্চ আসনে অবস্থিত, ক্ষমতায় থাকলেও প্রধান, ক্ষমতায় না থাকলেও প্রধান। আমরা সংবিধান করেছি, আমরাই প্রধান হবো, আমরাই জাতির কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা পূরণ করব, অন্য কোনো দ্বিতীয় শক্তি জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে সমর্থ হবে না।

ঠিক একই মারপ্যাঁচে আজ বাংলাদেশী মেরিনার। পুরনো সংবিধান বাঙালি মেরিনার এর প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ, তারা বিভিন্ন সমসসায় জর্জরিত, তারা বিভিন্ন ভাবে বঞ্চিত, তাদের আমাদের আলোর পথ দেখাতে হবে, তাদের আমাদের উদ্দার করতে হবে এই দুঃসময় থেকে, একমাত্র সংবিধান পরিবর্তন-ই পারে বাঙালি মেরিনারকে এই ক্রান্তিকাল সময় থেকে উত্তরণ করতে। তাই আসুন আমরা নতুন সংবিধান রচনার মাধ্যমে বাঙালি মেরিনারের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ করি। তারা মেরিনারদের জন্য নতুন সংবিধান রচনা করলেন, যা ২৭ই অক্টোবর ২০১৩ ইং সনে রচিত হল। একবার দেখে নিন, কি সংবিধান তারা মেরিনারদের জন্য রচনা করলেন যা মেরিন ইউনিভার্সিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য...

১২ নং অনুচ্ছেদে – ভাইস- চ্যান্সেলর নিয়োগ – (১) চ্যান্সেলর তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, বাংলাদেশের নৌবাহিনীর রিয়ার এডমিরাল বা তদূর্ধ্ব পদবীর চাকুরিরত বা অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যে কোন কর্মকর্তাকে ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য ভাইস- চ্যান্সেলর নিযুক্ত করিবেন।

১৪ নং অনুচ্ছেদে – প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ – (১)চ্যান্সেলর প্রয়োজনবোধে, তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, মেরিটাইম শিক্ষা বিষয়ে সিলেকশন গ্রেডভুক্ত কোন অধ্যাপক বা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমোডর পদমর্যাদা সম্পন্ন কোন কর্মকর্তাকে ৪ (চার) বৎসর মেয়াদের জন্য প্রো-ভাইস- চ্যান্সেলর নিযুক্ত করিতে পারিবেন।

এছাড়া ট্রেজারার এবং রেজিষ্টার নিয়োগের ক্ষেত্রেও শুধুমাত্র নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করার কথা উক্ত সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।



উপরোক্ত সংবিধান রচিত হল, বাঙালি মেরিনারের যাবতীয় সমস্যার সমাধান রচনা করলেন সংবিধান প্রণেতারা।

১৫তম সংবিধান থেকে কি পেয়েছি আমরা জানি না, শুধু দেখেছি শত মানুষের লাশ, হাজারো মানুষের আগুনে পোড়া, লাখো মানুষের আহাজারি। মেরিনাররা লাখ মানুষ নয়, তারা গুটি কয়েক হাজার। কিন্তু এই গুটি কয়েক হাজার মানুষ লাখ মানুষের মুখে হাসি ফোটায়। ২৭ই অক্টোবর ২০১৩ ইং সনে রচিত সংবিধান বাঙালি মেরিনারের ক্ষমতাকে খর্ব করেছে। মেরিন ইউনিভার্সিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যে আইন তারা নৌবাহিনীর কর্মকর্তার সুবিধার্থে করেছে, তাতে মেরিনারদের অসম্মান করা হয়েছে যা বাংলাদেশী মেরিন সম্প্রদায়ের জন্য কখনো কাম্য নয়। এমন সংবিধান হাজারও মেরিনারদের ধ্বংসের কারণ হতে পারে। সংবিধানের মারপ্যাঁচে হারিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশী মেরিন সম্প্রদায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.