নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অবিরাম সাগরে ভাসমান একজন ক্লান্ত নাবিক !!!!

সজীব আহমেদ শামীম

I am a Bangladeshi Marine Engineer, Ex Cadet of Bangladesh Marine Fisheries Academy (BMFA), Ex Captain of NCC.

সজীব আহমেদ শামীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিভাবে একজন মেরিনার আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

অনেক মেরিনারই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে চান। কিন্তু কিভাবে কি কি করতে হবে তা জানেন না। আমি আজ আমার আয়কর রিটার্ন দাখিল করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।
আপনারা যারা দেশে আছেন তারা সবাই অবগত আছেন যে, আয়কর মেলা -২০১৭ (১ম নভেম্বর -৭ নবেম্বর) চলছে। আমি সেই সুযোগেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সিদ্বান্ত নেই।
মেলা প্রাঙ্গণে পৌছাই সকাল ১১ টা নাগাদ। হেল্প ডেস্ক থেকে আয়কর রিটার্ন ফরম নেই। (প্রথম আয়কর রিটার্ন দাখিল করছি এটা জানালে তারা নির্দিষ্ট ফর্ম দেন)। প্রথম পাতা থেকে শেষ পাতা পর্যন্ত আমার ইনফরমেশন গুলো দিয়ে দেই। সব শেষ বছর (১লা জুলাই ২০১৬-৩০শে জুন ২০১৭) আমার জাহাজ থেকে প্রাপ্য বেতন (যা আমার স্যালারি সার্টিফিকেটে উল্লেখ আছে) তা উপস্থাপন করি। ২য় পাতার ৩৩ নং কলামে উল্লেখ করি আমি একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। আমার কোন সম্পত্তি নেই, বিধায় কোনো জমির দলিল বা আমার সম্পদ দেখাতে হয়নি। ফর্ম এর যা নিজে জানি তা পুরণ করে হেল্প ডেস্ক এ আবার চেক করতে দেখাই। তারা আমার ৩ নং ফর্ম এ যাবতীয় আয় উল্লেখ করেন। রেমিট্যান্স হিসেবে মেরিনারদের টাকা আসে আপনারা সবাই অবগত আছেন। তাই কোনো মেরিনারের আয়কর দিতে হয়না। তার মানে আপনাকে কোন টাকা দিতে হবে না। কিন্তু প্রতি বছর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। আপনার পূরণকৃত ফর্ম এর সাথে যা যা সংযোগ করতে হবে :
১. জাহাজ / কোম্পানি থেকে স্যালারি সার্টিফিকেট
২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট (১লা জুলাই ২০১৬-৩০শে জুন ২০১৭)
৩. পাসপোর্ট কপি (কোনো ভিসার যদি মেয়াদ থাকে, তার পাতা সমুহ সহ)
৪. সি ডি সি এর কপি
৫. জাতীয় পরিচয় পত্র কপি
৬. সম্পদের দলিলের কপি (জমি/ফ্লাট/আসবাবপত্র ক্রয়ের কপি)
৭. সর্বশেষ কন্টাক্ট লেটার
উল্লেখিত কাগজাদি সহ এবার আপনি ফরমটি আপনার নির্দিষ্ট কর অঞ্চলে জমা দিবেন। তারা সকল কাগজাদি চেক করে আপনাকে রিটার্ন গ্রহণের একটি পেপার দিবে। উক্ত পেপারটি আপনার ভবিষ্যৎ এর জন্য সংরক্ষণ করুন। মেলা উপলক্ষে উক্ত পেপার দেখিয়ে ট্যাক্স কার্ড দেয়া হচ্ছে।
এভাবে একজন মেরিনার খুব সহজেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : আমার সব কাগজাদির কাজ শেষ করতে পারলেও আমি রিটার্ন দাখিল করতে পারিনি। কারণ আমার কর অঞ্চল বগুড়া। আমাকে জানানো হয়, আমাকে আমার কর অঞ্চল এই রিটার্ন দাখিল করতে হবে। কর অঞ্চল পরিবর্তন করা অনেক ঝামেলা এবং সময় সাপেক্ষ। আমার এখন সেই সময় নেই বলে আমি আর জমা দিতে পারিনি। আমার সাথে আমার একজন সিনিয়র ছিলেন। তিনি উপরে উল্লেখিত উপায়ে তার সব কাজ শেষ করে কর দেয়ার ট্যাক্স কার্ড সংগ্রহ করেন)
ধন্যবাদ সবাইকে।
ই-টিন কিভাবে করবেন তা নিচে ক্লিক করে দেখে নিন Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.