![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সবারই অতিপরিচিত দুটি বৃক্ষ হলো আকাশমনি (একাশিয়া) ও ইউক্যালিপ্টাস। যা আমাদের নিজস্ব বৃক্ষ নয়, পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশ খেকে আনা (বা বলা যায়, বিদেশ থেকে পাঠানো)। সর্বপ্রথম অস্ট্রেলিয়া খেকে এগুলিকে বিশ্বের অন্যান্য যায়গায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। তখন মূলত এর উদ্দেশ্য ছিল কাঠ সংগ্রহ করা। এর অপর একটি উদ্দেশ্য ছিল, ভূগর্ভস্থ পানির স্তরকে নিচে নামিয়ে দেয়া। কেননা, বিশ্বের অনেক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার ফলে ম্যালারিয়া মারাত্নক আকার ধারন করে।বাংলাদেশে এগুলো আসে বিভিন্ন এজিও'র মাধ্যমে কিন্ত এগুলো আমাদের জলবায়ুর জন্য মোটেই উপযোগী নয় উপরন্তু মাটি থেকে অতিমাত্রায় পানি শোষন করে মারাত্নকভাবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটাচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী সম্প্রতি এসম্পর্কে বলেন, "এত দিন বিদেশি দাতা সংস্থার পরামর্শে সামাজিক বনায়নের নামে এ ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। এই গাছগুলোর নিচে অন্য কোনো গাছ জন্মায় না, এমনকি পাখিও বসে না। আকাশমণি গাছের রেনু নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে গেলে অ্যাজমা হয়। এর কাঠ জ্বালানি হিসেবে বা আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যায় না।" তিনি আরও বলেন; "দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নতুন চরগুলোর মধ্যে যেগুলো টিকবে, সেগুলোতে সামাজিক বনায়ন করা হবে। ধানি জমির দুই পাশে ধইঞ্চা গাছ লাগানো হবে। এতে জমির পুষ্টি ও উর্বরাশক্তি বাড়বে।এনজিওরা সামাজিক বনায়নের নামে দেশের প্রধান সড়কগুলোর দুপাশ দখল করে আছে সাধারণ মানুষ এই জমিগুলো ব্যবহার করতে পারছে না।" (তথ্য: প্রথম আলো)
আরেকটি কথা বলে রাখা ভাল যে, ডেসটিনি ২০০০ সামাজিক বনায়নের নামে হাজার হাজার একর পাহাড়ী জমিতে এসব পরিবেশ বিরোধী গাছ রোপন করছে। যার পরিনতি হবে আরও ভয়াবহ। কেননা পাহাড়গুলি সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে অনেক উপরে। এখানে পানির একমাত্র উৎস হলো বৃষ্টি। যা পাহাড়ের উপরিভাগের মাটিতে সঞ্চিত থাকে। কিন্তু এসব গাছ পানির এই সামান্য উৎসকেও পর্যায়ক্রমে নিঃশ্বেষ করে দিচ্ছে।
আসুন আমরা যারা পরিবেশকে ভালবাসি তারা কিছুটা সচেতন হয়। অন্তত আমাদের পরিচিতজনদের এসব বৃক্ষরোপনে নিরুৎসাহিত করি।
(এটা আমার প্রথম ব্লগ, ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী)
©somewhere in net ltd.