![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চারপাশ থেমে যায় বদলে যায় সময়,মিথ্যে যখন সত্যি হয়।
অনেকেই সারাদিন ধরে কিবোর্ড ব্যবহার করেন। কম্পিউটারে বা স্মার্টফোনে কিছু লেখতে বা ইমেইল করতে অহরহ কিবোর্ড টেপাটিপি চলছেই। কিন্তু ইংরেজি অক্ষরগুলো ক্রম অনুসারের না লিখে QWERTY কিবোর্ড কেন ব্যবহার করা হয়? তাও কিবোর্ডের ওপরের দিকের বাম দিকের ৬টি অক্ষর কেন ব্যবহার করা হয়? ম্যানুয়েল টাইপরাইটারে কিগুলো সাজানো হয় মানুষ সবচেয়ে বেশি যে অক্ষরগুলো ব্যবহৃত হয় তার ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু মানুষ ক্রমেই দ্রুততার সঙ্গে লেখতে শুরু করলো। তখন ওই কিবোর্ডটি বাধা হয়ে দাঁড়ালো।
প্রথম টাইপরাইটারের প্যাটেন্ট করা হয় ১৮৬৮ সালে। তখন অক্ষরগুলো সাজানো হয় পিয়ানোর আদলে। টাইপরাইটারের কি-এর বারগুলো একটি-অপরটির খুব কাছাকাছি থাকে। অনেকেই বলেন, QWERTY কিবোর্ড আসলে বানানো হয় লেখার গতি কমিয়ে আনতে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে টাইপরাইটার জ্যাম হয়ে যায় না। আগের টাইপরাইটারের দ্রুতগতিতে লেখতে গেরে তা জ্যাম হয়ে যেত। ওই কিবোর্ডের বেশি ব্যবহৃত কি-বারগুলো একে অন্যের বেশি কাছাকাছি ছিল। এতে লেখার সময় ঘন ঘন আটকে যেতে হতো। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ১৮৭০-এর দশকে বাজারে আসে QWERTY কিবোর্ড। এই কিবোর্ডের ডিজাইন করেন এক পত্রিকার এডিটর ক্রিস্টোফার ল্যাটহ্যাম সোলস। তিনি আসল টাইপরাইটার বানানোর অন্যতম হোতা ছিলেন। তিনি এ কিবোর্ডের বোতামগুলো এমনভাবে স্থাপন করেন যেখানে যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো সামলে দ্রুত লেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে তিনি রেমিংটনের সঙ্গে চুক্তি আসেন। তৈরি হয় অতি জনপ্রিয় রেমিংটন নম্বর ২ মেশিন। এ কিবোর্ডের ওপরের বোতামগুলো ব্যবহার করে টাইপরাইটার লেখা যাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা ভিন্ন তত্ত্ব দেন।
২০১১ সালে কোইচি ইয়াসুয়োকা এবং মটোকো ইয়াসুয়োকা যুগান্তকারী মোর্স কোড যুক্ত করে কিবোর্ডে। তারা বলেন, আগে যারা টাইপরাইটার ব্যবহার করতেন তারা ছিলেন মূলত টেলিগ্রাফ অপারেটর। তাদের নতুন কিবোর্ডে লেখতে বেশ সমস্যার সৃষ্টি হতো। পরে আধুনিক কম্পিউটারেও যোগ হয় QWERTY কিবোর্ড। এখনো তা দারুণ জনপ্রিয় কিবোর্ড হিসাবে প্রচলিত। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
©somewhere in net ltd.