![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নভেম্বর এর শেষ সপ্তাহের সাথে একটা জেনেটিক ঝামেলা আছে। যতই সারা বছর লাফাই আর দাবড়াই, নভেম্বর এর শেষ আসার সাথে সাথেই মনে হয় শীতকাল চলে এলো, আর ছুটি শুরু।
ছোটবেলায় এ সময়টা বার্ষিক পরীক্ষা শেষ বা শেষের দিকে থাকত। এরপর রেজাল্ট বের হওয়ার আগে পর্যন্ত ছুটি। যতই স্কুলে যেতে সকালে কষ্ট হোক, এ সময়ে ঘুম ভাঙতো “সুয্যি মামা জাগার আগে”।
তখনো শীতকালের মানে বন্ধুদের সাথে খেলা। বাবার কাছ থেকে ভাল ছাত্র হওয়ার তাগাদা; তিনি বলতেন “সিনিয়ার ক্লাসের কারো কাছ থেকে বই এনে বিশেষ করে অংক বই টা এই ছুটিতে এগিয়ে রাখলেও তো পারো। ক্লাসে যারা ফার্স্ট হয় তারা দেখো তোমার মত খেলে সময় নষ্ট না করে পরের ক্লাসের লেখাপড়া এগিয়ে রাখে।” মনে হতো ভালো ছাত্ররা যত না সারা বছর পড়ে এর বেশি পড়ে এই নভেম্বর -ডিসেম্বরে! কি জানি, হতেও পারে। বেশি ভালো পড়ুয়া ছাত্ররা সবসময়ই কেমন যেন হয়, অস্বাভাবিক আর স্বার্থপর।
বড় হতে হতে জীবনের হিসেবগুলো সূর্যের আলো আর প্রকৃতির হিসেবের বাইরে যেয়ে পুরোটা স্থান করে দেয় ঘড়ির কাঁটাকে। শৈশব-কৈশোরের সারল্যের জায়গায় স্থান নেয় শীতকালের রোমান্টিসিজম। যেটা একসময় পরিবর্তন হয় অফিস, বাচ্চার স্কুল, কিংবা বাজার করায়।
তবু প্রতি নভেম্বর আর ডিসেম্বরেই একবার করে বড় হয়ে পাওয়া রোমান্টিসিজম ফেলে দিয়ে ওই কৈশোর পেতে ইচ্ছা হয়। তাই হয়তো সারা সপ্তাহে ঘুম ভাঙতে না চাইলেও শুক্রবার আর শনিবারে ঘুমটা ভোরেই ভাঙে।
সবাইকে শীতকালের শুভেচ্ছা!
©somewhere in net ltd.