নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এনটনি

শুধু দেখে যাচ্ছি। চাকরি করি। খাই, ঘুমাই আর দেখি। একদিন কিছু করবো। লোক খুজছি

এনটনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্পোরেট মহাভারত!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৩

এত বছর চাকুরী করে অনেক পদের মানুষ দেখেছি। কিছু গুরু কিছু শিষ্য, কিছু ভালো কিছু মন্দ। চরিত্রগুলো মিলিয়ে দেখেন তো আপনার অফিসে কয়টা আছে এমন!

দ্রোণাচার্য: ইনি গুরু, সবার গুরু। কাজ কম করেন বা করেননা, কথা বেশি বলেন। সাধারণত একটু পুরনো কর্মচারী। নতুন কেউ অফিসে যোগদান করলেই ইনি সেধে দায়িত্ব নেন সবকিছু “বুঝানোর”!

ভীষ্ম: ইনি অনুগত। একটু বয়সী বা পদস্থ কর্মচারী। “বস” অকর্মা জেনেও খুশি খুশি বসের কাজ করে দেন (কিছু সুবিধাও পান হয়ত!)

ধৃতরাষ্ট্র: অন্ধ মনিব, কর্পোরেট এর “বস”। ইনারা সাধারণত ভুল জেনেও কোন পরিবর্তন ছাড়াই কাজ টা করে যান!

গান্ধারী: মূলত চামচা। কর্পোরেট এর ভাষায় “বসের ডাইরেক্ট ডেপুটি”। সাধারণত নোংরা পরিকল্পনাগুলো এরা জানে, কাজে অংশও নেয়, কিন্ত চেহারায় হাবাগোবা ভাব ধরে থাকে তখন।

যুধিষ্ঠির: নৈতিকতা সম্পন্ন কর্মচারী! সবসময়ই কাজ নিয়ে বাটে থাকে, আর অসুস্থ্য হয়ে মৃত্যুর আগ মুহুর্তে ছুটির দরখাস্ত করে ২ দিনের; আধাবেলা মঞ্জুর হয়, তাই নিয়েই খুশি থাকে।

ভীম: অফিসের রগচটা কর্মী। সারাক্ষণই অফিসের কারো না কারো সাথে তার ঝামেলা চলেই। চাই সে সহকর্মী, বস বা অধঃস্তন কেউ হোক!

অর্জুন: এরা হলো অফিসের “Cool dude”। ভালো কাজ জানে, করেও। সে জানে কিভাবে নিজেকে আর নিজের কাজ উপরমহলে বেঁচতে হয়। এদের চেহারা-সুরৎ খুব সুবিধার না থাকলেও সাধারণত মেয়েরা এদের আশে-পাশে ঘুরঘুর করে। অফিসে অনেকে এদের ঘটকালিও করতে চায়। দেখতে শুনতে ভালো হলে তো কথাই নেই…

নকুল ও সহদেব: গড়পড়তার একটু উপরের দিকের কর্মী এরা। সাধারণত নজরে পড়েনা কারো। নিজের মত কাজ করে যায় আর ফি’বছর গড়পড়তা বেতন বাড়ে। (অবস্থা এতই সাধারন যে স্ট্যাটাসেও এদের দুইজনের আলাদা জায়গা হয়নি)।

দুর্যোধন: উৎপীড়ক, ঝামেলাপূর্ণ আর কথা শোনানোয় ওস্তাদ। কিন্ত খুব ভালো করে কাজ আদায় করে নিতে জানে। “নকুল-সহদেব” দের সে একাই “ফাঁপর” এর উপরে রেখে অনেকসময় কাজের বাইরেও কাজ করিয়ে নেয়।

কর্ণ: নেপথ্যের নায়ক, নেপথ্যেই থেকে যায়। কাজ করে, কিন্ত নিজে সামনে আনেনা, সিনেমাটিক কিছু না হলে সামনে আসেওনা। এরাই হলো “Unsung Hero”।

শকুনি: অশুভ চক্রান্তকারী! উপরমহলকে কপি না দিয়ে ইমেইল লিখতেই পারেনা। ছোট থেকে ছোট ব্যাপারগুলিও কর্তা পর্যায়ে না জানিয়ে থাকতে পারেনা। নিজের ঝামেলা হতে পারে বুঝলে অবশ্যই চেপে যায়, অন্যের কিছু জানলে ধরে নিন রাতে খবরেও দেখতে পারেন!

ধৃষ্টদ্যুম্ন: এরা এক আজব জিনিষ। হয়ত কোনভাবে জীবনে একবার একটা কাজ করেছে যেটা বেশ প্রশংসা পেয়েছিল। এরপর সারাজীবন সুযোগ পেলেই সেই গল্পের অবতারনা “আরে, আমি একবার….”

দ্রৌপদী: ইনি সবার জন্যই কাজ করেন। ইনার কাজের ভাগ সবাইকে দেন (মূলত ঊর্ধ্বতন কর্তা পর্যায়ে)।

কৃষ্ণ: ইনি হলেন আসল মানুষ। C.E.O, M.D, Country Manager একেক জায়গায় তিনি একেকরকম। পুরো জিনিষটাই তার। শুদু সবাইকে বুঝ দেন যে তারা খুব গুরুত্ববাহী, তবে শুধু যতক্ষণ দরকার। শুধু ইনি করলেই সেটা “লীলাখেলা”, আর অন্য কেউ করলেই…

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভালই সাজিয়েছেন।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

এনটনি বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.