![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঠিক পঁচিশ বছর আগের কথা। স্কুলে পড়ি, নীচের ক্লাসে। শীতকাল, স্কুল বন্ধ, তাই নানা-বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে ক’দিন থাকব। অন্যদের শুনতাম নানা-বাড়ী যায় দেশের একদিক তো দাদা-বাড়ী যায় আরেকদিক। আমার সবই ঢাকায়। সেসময় বাসা থেকে বের হয়ে ডানের রাস্তায় উঠলে বুঝতাম এলিফ্যান্ট রোডে নানাবাড়ী যাই, আর বামের রাস্তা ধরলে বুঝতাম গোপীবাগে দাদাবাড়ী।
তা সেই পঁচিশ বছর আগের সেই ছুটির দিনে, মামা মামী দের মধ্যে একটা টিভির অনুষ্ঠান দেখার প্রস্তুতি, অনেকটা ঈদের মত। এযুগের যারা, তারা ঠিক বুঝবেনা একটা চ্যানেলের আমলে টিভি অনুষ্ঠানমালা দেখার প্রস্তুতি বলেও একটা ব্যাপার থাকত। সেদিন থেকে টানা তিনদিন টিভি ছাড়া ছিল। অনুষ্ঠান চলল, যে যে যার যার মত এসে বসে যাচ্ছে। আড্ডা, খাওয়া সব টিভির ঘরেই, যার আরেক নাম ড্রয়িং রুম।
ছোট ছিলাম বলে রাত জেগে দেখতে পারতাম না, ঘুম চলে আসত। আবার বিকালে খেলতেও মন চাইত। এই টানাপড়েনে সে সময় দেখেছিলাম “এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী”, “মুখরা রমণী বশীকরণ”, “ইডিয়ট”, “ছুটির ঘন্টা”। একটা সিনেমায় নায়ক বুলবুল আহমেদ কে পাউরুটি ডিমে ভিজিয়ে তেলে ভেজে খাওয়ার নাম “ফ্রেঞ্চ টোস্ট” কেনো সেটা অনেককে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সবাই বলে এইটাই নাম, কোন কারন নাই।
জেনেছিলাম সেটা নাকি ডি.আই.টি থেকে রামপুরার পথ চলার পথে “বাংলাদেশ টেলিভিশন” এর “রজত জয়ন্তী”র অনুষ্ঠান, মানে বি.টি.ভির বয়স পঁচিশ বছর। তখন জেনে ঠিক করেছিলাম, সুবর্ণ জয়ন্তী তে আমি বড় হয়ে যাব, তখন চাকুরি করব। আমিও রাত জেগে অনুষ্ঠান দেখব।
আজ বাংলাদেশ টেলিভিশন এর সুবর্ণ জয়ন্তী, পঞ্চাশ বছর। মাঝে পঁচিশ বছর পার হয়ে গেছে। অনেক চ্যানেল, অনেক ব্যস্ততা …আর…আমি বড় হয়ে গেছি
জীবনের অনেক অনেক আনন্দদায়ক আর রোমাঞ্চকর মুহুর্ত দেয়ার জন্য ধন্যবাদ “বাংলাদেশ টেলিভিশন”।
শুভ পঞ্চাশতম জন্মদিন বি.টি.ভি।
#BangladeshTelevision
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
এনটনি বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমাদের জেনারেশনের জন্য বিটিভি একটি সুখময় সুন্দর স্মৃতি।
শুভ জন্মদিন বিভিটি।