নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এনটনি

শুধু দেখে যাচ্ছি। চাকরি করি। খাই, ঘুমাই আর দেখি। একদিন কিছু করবো। লোক খুজছি

এনটনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাকাত ও ফিতরা!

১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

প্রশ্ন: সম্পদের যাকাতের পরিবর্তে কাপড় ইত্যাদি প্রদান করা কি জায়েজ হবে?
===================================
উত্তর: না, তা জায়েজ হবে না।

প্রশ্ন: যাকাত ও ফিতরার হকদার কারা ?
===================================
উত্তর: ফিতরা পাবার যোগ্য কারা বা ফিতরার হকদার কোন্ কোন্ প্রকারের লোকেরা ? এ বিষয়ে ইসলামী বিদ্বানগণের মতভেদ রয়েছে।
একদল বিদ্বান মনে করেন যারা সাধারণ সম্পদের যাকাতের হকদার তারাই ফিতরের যাকাতের (ফিতরার) হকদার। আর তারা হল আট প্রকারের লোক:
১- ফকীর
২- মিসকিন
৩- সাদাকা আদায়ের জন্য নিযুক্ত কর্মচারী
৪- যাদের অন্তর ইসলামের পথে আকর্ষণ করা প্রয়োজন
৫-দাস-মুক্তির জন্যে
৬- ঋণগ্রস্তদের ঋণ পরিশোধের উদ্দেশ্যে
৭- আল্লাহর রাস্তায়
৮- মুসাফিরদের সাহায্যার্থে ( সূরা তওবা /৬০]

প্রশ্ন: খাদ্য দ্রব্য দ্বারা ফিতরা না দিয়ে টাকা-পয়সা দ্বারা ফিতরা দেওয়া
উত্তর: প্রত্যেক মুসলিম ভাইকে জানা দরকার যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে মুদ্রা হিসেবে দীনার এবং দিরহামের প্রচলন ছিল। এবং সে কালেও ফকীর ও মিসকিনদের তা প্রয়োজন হত। তা দ্বারা তারা জিনিস-পত্র ক্রয়-বিক্রয় করত। তা সত্ত্বেও নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুদ্রা দ্বারা ফিতরা নির্ধারণ না করে খাদ্য দ্রব্য দ্বারা নির্ধারণ করেছেন। তাই উপরে হাদীসে বর্ণিত খাদ্য বস্তু দ্বারাই ফিতরা আদায় করা সুন্নত। আর এটাই জমহুর (অধিকাংশ) উলামায়ে কেরামের মত। কারণ বর্ণিত খাদ্য বস্তুর বদলে মূল্য তথা টাকা-পয়সা দ্বারা ফিতরা দিলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদেশকে উপেক্ষা করা হয়।
যারা মূল্য দ্বারা ফিতরা দেয় তাদের সম্পর্কে ইমাম আহমদ (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতের বরখেলাফ হওয়ার কারণে আমার আশংকা হচ্ছে যে, তা যথেষ্ট হবে না। [মুগনী, ইবনু কুদামাহ, ৪/২৯৫]
মূল্য দ্বারা ফিতরা দিতে গেলে আরও একটি বড় বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়। তা হল, প্রতি বছর প্রতি অঞ্চলে এমন একদল লোকের প্রয়োজন আছে যারা ফিতরার মূল্য নির্ধারণ করে সাধারণ লোকদের জানাবে। কারণ স্থান ও কালের ভেদে দ্রব্যের মূল্য কম-বেশী হতে থাকে। তাই প্রতি বছর ফিতরার মূল্য নির্ধারণ করার প্রয়োজন হয় অথচ সোয়া চৌদ্দশ বছর পূর্বে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরিমাণ নির্ধারণ করে গেছেন। মানুষ এত সব করতে ইচ্ছুক কিন্তু যা কিছু দ্বারা নবীজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফিতরা দিয়ে গেছেন তা দ্বারা ফিতরা দিতে অনিচ্ছুক!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

এনটনি বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.