![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবসময় বাবাকে দেখেছি ৯ টা ৫ টা অফিস করতে। কর্মস্থল যে এলাকাতেই হোক, সকাল ৮:২০-৮:২৫ এ বাসা থেকে বের হতেন, দুপুরে ১:৩০ টায় বাসায় ফোন করে বুঝতেন সব ঠিক আছে কি না। বিকেল ৪:৩০ টায় আরেকবার ফোন করতেন বাসায় মেহমানদারি বা অন্য কোন কারনে কিছু আনতে হবে কি না। বিকেলে ঠিক ৬টা থেকে ৬:২০ এর মধ্যে চলে আসতেন।
বলতে দ্বিধা নেই, বিকেলের ফোন যখন আম্মার বদলে আমরা ধরা শুরু করলাম, মাঝে মাঝেই বলতাম “আম্মা বলছে কেক-প্যাটিস নিয়ে আসতে”। অবশ্যই এটা বলতাম নিজেদের খাওয়ার জন্য। যদি ভুল করে মেহমান চলে আসত তাহলে “বুদ্ধি” করে নাশতা আনার জন্য আম্মা আব্বাকে ক্রেডিট দিত, আমার হতো মেজাজ খারাপ।
কখনো কখনো ক্রেডিট পেতে পেতে আব্বার হয়ত সন্দেহও হতো, হঠাৎ জিজ্ঞেস করতেন “কয়জনের জন্য আনতে বলছে তোমার আম্মু”! আমি বেকুবের মত বলতাম “৩ জনের জন্য”!
সন্ধ্যায় নাশতা বাসায় খাওয়াটা একটা সংস্কৃতির পর্যায়ে ছিল, যেখানে সারাদিনের অভিযোগ, সাফল্য (প্রায় অনুপস্থিত) আর ব্যর্থতা (সর্বাধিক উপস্থিতি) আলোচনা হতো।
আব্বা প্রায়ই বলতেন, “ঠিকমতো লেখাপড়া টা করো, নাহলে ৯টা ৫টা চাকরী করে খেতে হবেনা”।
সময়ের পরিক্রমায় আমি এখন চাকরী করি। শুক্র-শনি ছাড়া শেষ কবে অফিস থেকে ফিরে বাসায় মাগরিবের আযানের শুনে নাশতা বাসায় করেছি মনে পড়েনা। ধরে-ছেড়ে চাকরী কয়েকটাই করলাম গত প্রায় ১২ বছর। এই ৯টা-৫টা চাকরীর দেখা তো পেলাম না!
আসলেই কি লেখাপড়া টা ঠিকমতো করা হয়নি?!!
১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০
এনটনি বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
টেক সমাধান বলেছেন: আহারে...