![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
আজ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সাড়ে চার বছর পূর্ণ হলো । গত ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটি সরকার গঠন করে। এর আগে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ৪৯ ভাগ ভোট পেয়ে ২৩০টি আসনে বিজয়ী হয়। শরিকরা বিজয়ী হয় ৩২টি আসনে।চার বছরের সরকার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের মতে অনেক সফলতা ও ব্যর্থতা উভয়ই লক্ষ করা যায়।বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস এবং গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেকটাই সফলতা লক্ষ করা যায়। লাগামহীন দ্রব্যমূল্য এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। চলমান বিশ্বমন্দা মোকাবেলা করে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের অনেকটাই সমাধান, রফতানি ও রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, খাদ্যে অনেকটাই আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন,কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় এগিয়ে যাওয়া, এবং নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতি এই সরকারের সময়ে লক্ষ করা যায়। তথ্য প্রযুক্তির অভূতপূর্ব ব্যবহারের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এগিয়ে চলেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু, সামপ্রদায়িক রাজনীতি সংহত এবং চার মূলনীতি প্রতিষ্ঠায় যে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছিল সে লক্ষ্যেই মহাজোট সরকার অগ্রসর হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বাজার মূল্য, দুর্নীতি উঠা-নামা করলেও স্বাভাবিক বিবেচনায় খারাপ বলা যাবে না।তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি,এবং আগামী সংসদ নির্বাচন কিভাবে হবে সে ব্যাপারে একটা অনিশ্চয়তা আছে বলে অনেকে মনে করেন।সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া সেক্ষেত্রে অনেক কিছুই বাস্তবায়নের পদক্ষেপ সরকার হাতে নিয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। শিক্ষাখাতে অনেক সাফল্য দেখা যায়, বিগত ৪ বছরে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে ৯২ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে।তবে দুর্নীতি কমিয়ে আনা, দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখাসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কম সাফল্য এসেছে।শিক্ষাক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জিত হলেও বৈষম্যমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা রয়ে গেছে বলে অনেকে মনে করেন। এখন পর্যন্ত অভিন্ন শিক্ষানীতি চালু করা সম্ভব হয়নি। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বৈদেশিক নীতি ও কানেকটিভিটিতে সাফল্যের কারণে গার্মেন্টস শিল্প লাভবান হয়েছে বলে জানান অনেকে। রেমিটেন্স বৃদ্ধি ও কালমানির হার কম সামষ্টিক অর্থনীতির অবস্থা ভালো বলে অনেকে জানান।
©somewhere in net ltd.