![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বিগত বেশ কিছুদিন থেকে হরতাল-অবরোধ, নৈরাজ্য-সহিংসতা-ভাঙচুর আর জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাকার জাতিবিধ্বংসী কাজকর্ম ক্যান্সারের মতো সম্প্রসারিত হয়েছে দেশে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের কয়েক চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের আওতায় এনে বিচার শুরুর পর থেকেই মূলত এ নৈরাজ্যের সৃষ্টি। বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে। এই ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মানসম্মত ত বটেই, বলা যায় এর মান আরও উঁচুতে। কারণ বিশ্বের কোন দেশে ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ নেই; শুধু বাংলাদেশে সে সুযোগ আছে। এই ইস্যুটির সঙ্গে পরবর্তীতে যুক্ত হয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটি | জামায়াত-শিবির সেই ট্রাইব্যুনাল ও তার রায়কে কেন্দ্র করে যে তান্দব চালাচ্ছে কিছুদিন থেকে, যখন-তখন হরতাল দিয়ে যেভাবে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে তা কারও কাছে প্রত্যাশিত হতে পারে না। আইনের মোকাবেলা আইনের মাধ্যমে না করে হরতাল-সহিংসতা আর মানুষ হত্যার মাধ্যমে করতে গিয়ে তারা দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিসহ সার্বিক অগ্রগতির চাকাকে যে কিভাবে মন্থর করে দিয়েছে, তা তারা না বুঝলেও প্রতিটি সচেতন মানুষ আজ এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ও দুর্ভাবনাগ্রস্ত। হরতালের কারণে সন্ত্রাসী হামলা আর নাশকতার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখতে পারেন না। ট্রেন চললেও চলে না দূরপাল্লার বাস-ট্রাক। ফলে ব্যাপকভাবে বিঘিœত হয় মালামাল পরিবহন, যা পণ্যমূল্য তথা সার্বিক অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই এই সর্বনাশা ‘খেলা’ বন্ধ করার তাগিদ এখন সবার মধ্যে আগের চেয়ে অনেক তীব্র। জনগণ এখন বুঝতে পেরেছে হরতাল তাদের কোন উপকারে আসে না। তাই জনগণ ও ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যেই হরতাল প্রতিহত করতে শুরু করেছে। এই ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে তারা যে কঠিন সঙ্কল্পে স্থিত, তার সঙ্গে শান্তিপ্রিয় ও উন্নয়ন-প্রত্যাশী প্রতিটি মানুষের শুভেচ্ছা এবং একাত্মতা থাকবে, এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা-প্রতিরোধ ব্যাপকভিত্তিক ও সুসমন্বিত হলে জাতিস্বার্থবিরোধী কোন অপশক্তিই আগামীতে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-সহিংসতার বিস্তার ঘটাতে সাহসী হবে না বলে আশা করা যায়।
©somewhere in net ltd.