![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিচারে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের রায়কে সামনে রেখে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ দলটির অন্যান্য নেতার আপিলের চূড়ান্ত রায় প্রক্রিয়াধীন। এই প্রক্রিয়াধীন রায়কে বানচাল করতে জামায়াত-শিবির দেশজুড়ে আবারও তাণ্ডব চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। জামায়াত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রায়ের আগে ও পরে তারা রাজপথে পুরোমাত্রায় সক্রিয় থাকবে। হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার পাশাপাশি এ সময়ে ঝটিকা মিছিল, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, এমনকি চোরাগোপ্তা হামলার মতো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডও চালাবে তারা। সময়মতো তারা রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশালসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে সর্বোচ্চ শক্তি প্রদর্শন করবেন। যা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাছাড়া জামায়াত-শিবিরের নাশকতার সঙ্গে আমরা পরিচিত। সংবিধান, আইন-আদালত ইত্যাদির প্রতি তাদের ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। ক্ষমতা লাভের আশায় হেন কোনো কাজ নেই, যা তারা করতে পারে না। তাছাড়া শিবিরের রগ কাটার অপসংস্কৃতি দেশে বহুল আলোচিত বিষয়। রগ কাটার সেই ধারা পরবর্তী সময়ে বহুমাত্রিক রূপ ধারণ করেছে। বলা বাহুল্য, তাদের বহুমাত্রিক নাশকতা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকিস্বরূপ। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, দেশের অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক দল বিএনপিও জামায়াতের সঙ্গে জোট বাঁধায় এদের নাশকতার বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে বরং তাদের প্রশ্রয়ই দিয়ে থাকে। এ ধরনের রাজনৈতিক কৌশল দলের জন্য তো নয়ই, দেশ ও জাতির জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর, সন্দেহ নেই। সে সম্পর্কে সরকারকে এখনই সচেতন হতে হবে। বাড়াতে হবে গোয়েন্দা তৎপরতা। রুখতে হবে তাদের বিরুদ্ধে, বাঁচাতে হবে দেশ ও জাতিকে।
©somewhere in net ltd.