নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান, বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প বিকাশেঃ (পর্ব-৪)

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩





শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু ঔষধ সেক্টরে নতুন বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ব্যাংকগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের নির্দেশ দেন এবং নতুন শিল্প-কারখানাগুলোকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ প্রদানের জন্য নবগঠিত ঔষধ প্রশাসন পরিদফতরকে নির্দেশ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুর এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশের ঔষধ সেক্টরে একটি ইতিবাচক ও উৎসাহমূলক পরিবেশ তৈরি হয়, ফলে অনেকেই তাদের মূলধন অন্যত্র বিনিয়োগ না করে ঔষধ কারখানা স্থাপনে এগিয়ে আসে এবং দেশে প্রয়োজনীয় ঔষধের উৎপাদন বাড়ার ফলে আমদানির পরিমাণ কমতে থাকে। তবে আমার মতে বঙ্গবন্ধুর যে অবদানটি বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পকে বিকশিত হতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে তাহলো ঔষধের ক্ষেত্রে পেটেন্ট না মানার সিদ্ধান্ত। এটি ছিল তখনকার প্রেক্ষিতে একটি অত্যন্ত যুগান্তকারী ও সাহসী সিদ্ধান্ত। চিরকালের বিদ্রোহী ও ন্যায্য কথা বলার এ মানুষটি গরিব-ভুখা-নাঙ্গা অসুস্থ মানুষকে বাঁচানোর স্বার্থে ঔষধের পেটেন্ট রাইট না মানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সময়ে এটি ছিল অভাবিত একটি সিদ্ধান্ত এবং তখনও পৃথিবীর ৫০টি স্বল্পোন্নত দেশের কোনটিই এ ধরনের দুঃসাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বিদেশী কোম্পানির পেটেন্ট রাইটের কারণে তাদের ঔষধের দাম অত্যন্ত বেশি হয় এবং অন্য কোম্পানি ইচ্ছে করলেও সেই ঔষধ তৈরি করতে পারে না। ফলে প্রয়োজনীয় ঔষধের ক্ষেত্রে বিদেশী কোম্পানির একচেটিয়া বাজার তৈরি হয়, গরিব মানুষ অসুস্থ হলে সেই ঔষধ কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে এবং তাদের পক্ষে প্রায়শই সেই প্রয়োজনীয় ঔষধটি কেনা সম্ভবপর হয় না। বঙ্গবন্ধু এতকাল ধরে চলে আসা আন্তর্জাতিক ট্রেড প্রটোকল ভেঙ্গে বিদেশী কোম্পানির পেটেন্টকৃত ঔষধ ভিন্ন বাণিজ্যিক নামে বাংলাদেশে উৎপাদনের অনুমতি দেয়ার জন্য ঔষধ প্রশাসন পরিদফতরকে নির্দেশ দেন। কোন কোন বিদেশী কোম্পানি এ জন্য বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াও করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছিলেন অনমনীয়। মামলার মুখে কী করণীয় তা ঔষধ প্রশাসন পরিদফতরের জিজ্ঞাসার উত্তরে পরিদফতরের তখনকার প্রধানকে বঙ্গবন্ধু যা বলেছিলেন তার স্বার্থ হলো, ‘সারাজীবন তো জেলই খাটলাম, না হয় গরিব মানুষকে অসুখের সময় ঔষধ খাওয়ানোর জন্য আবার জেলে গেলাম। বিদেশীরা যদি শেখ মুজিবরকে জেলে নিতে পারে তো নিক। জেল হইলে তো আমার হইবো। তোরা চিন্তা করিস ক্যান? তোদের কাজ তোরা কর। দেশী কোম্পানিগুলারে এই সব ঔষধ বানানের পারমিশন দিতে থাক। খালি মানটা যেন ঠিক থাকে। পেটেন্ট মানলে বিদেশীরা খুশি হইবো, কিন্তু আমার দেশের গরিব মানুষ ঔষধ কিনতে পারব না। এইসব পেটেন্ট-ফেটেন্ট মুজিবর মানবো না।’ ঔষধ প্রশাসন পরিদফতরের তৎকালীন প্রধানও (অধ্যাপক হুমায়ূন কে এম এ হাই, যিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা, ফার্মাকোলজির অধ্যাপক এবং এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বঙ্গবন্ধুর সঠিক নির্বাচন) বঙ্গবন্ধুর মনোভাব অনুধাবন করতে সক্ষম আদর্শবান ব্যক্তি ছিলেন এবং তিনি সে অনুযায়ী পেটেন্টকৃত ঔষধগুলো ভিন্ন ভিন্ন বাণিজ্যিক নামে মানসম্মতভাবে এদেশে উৎপাদনের জন্য দেশী কোম্পানিগুলোকে অনুমতি দেয়া শুরু করেন।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.