নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাপান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সুচনা করবে। দেশ এগিয়ে যাবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭





প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সফরকারী জাপানী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুটি দেশের সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। দুটি দেশই একে অপরের স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সহযোগিতার হস্ত সম্প্রসারিত করেছে। তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ২০১৬-২০১৭ মেয়াদে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদে জাপানের সমর্থনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ। অপরদিকে বাংলাদেশকে আগামী ৫ বছরে ৬০০ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা দেবে জাপান। এর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি) বাস্তবায়ন। জাপানী প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে ঢাকা ও টোকিও থেকে প্রকাশিত যৌথ ইশতেহারে বলা হয়, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে স্থান নির্বাচন, প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা নিশ্চিত করা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ শ্রমিকের জোগান নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এশিয়ায় ভৌগোলিক অবস্থান ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কারণে বাংলাদেশ যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা অনেকেই স্বীকার করে নিয়েছেন। এখানকার বিপুলসংখ্যক শ্রমশক্তি বিনিয়োগকারীদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে বিদ্যুত ও জ্বালানি সুবিধা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জাপানী প্রধানমন্ত্রী। কয়েক বছর ধরে বিদ্যুত উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তবে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের চাহিদা পূরণের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুত উপাদন আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। দুটি দেশে প্রধানমন্ত্রী বিগ-বি উদ্যোগের আওতায় যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন, সার্বক্ষণিক বিদ্যুত সরবরাহ ও বিশেষ উন্নয়ন অঞ্চল গড়ে তুলতে এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপান বিপুল আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। বস্তুত জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী। তবে বিশ্বায়নের এ যুগে বাংলাদেশ যেমন জাপানের দ্বারা উপকৃত হবে তেমনি জাপানও বাংলাদেশের দ্বারা লাভবান হবে। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের বিশাল এলাকাজুড়ে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সাগরের বিপুল সম্পদ আহরণে জাপান হতে পারে আমাদের অন্যতম সহায়ক দেশ। দেশ ও জনগণের উন্নয়নে এ সম্পদ কাজে লাগানো জরুরী। জাপানী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে নিঃসন্দেহে দুটি দেশই লাভবান হবে। আগামীতে এ সহযোগিতা আরও জোরদার হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

















মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.