![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
হঠাৎ করে এ কে খন্দকারের ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ নিয়ে সবাই যেন বিস্মিত ও বিমূঢ় হয়েছেন। তাকে সবাই সজ্জন বলেই জানেন। কিন্তু এই কাজটা তার জন্যে কি জরুরী ছিল? আবার একই সঙ্গে এই প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে, তিনি নিজে এই বই লিখেছেন কিনা? তার মতো মানুষ অন্যের লেখা বইয়ে নিজের নাম ব্যবহার করতে দেবেন? তাও ভাবতে কষ্ট হয়। এ কে খন্দকার সাহেব এই বইতে যা লিখেছেন তা কখনই তিনি প্রমাণ করতে পারবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় গোপন দলিল থেকে এখন স্পষ্ট করে অনেক তথ্য জানা যায়। ইয়াহিয়া খান সব সময় বলেছেন, ‘শেখ মুজিবের শক্তি বাঙালী জাতি ও বাঙালী জাতীয়তাবাদকে ঘিরে। এর বাইরে তাঁর করার কিছুই নেই।’ ১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়াশিংটনস্থ এশিয়ার নিকটপ্রাচ্য বিভাগের সহকারী সচিব যোসেফ জে. সিসকো, পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম পি রজার্স বরাবর নিচের গোপন তথ্য স্মারকটি পাঠান- “পূর্ব পাকিস্তানের শাসনভার মুজিবের হাতে, ইয়াহিয়ার ঢাকা গমন।” এই শিরোনামযুক্ত স্মারক বিবরণটি নানান কারণে আমাদের কাছে দারুণ বলে বিবেচিত হয়েছে। কি কি কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পূর্ব পাকিস্তানের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নিতে হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন। এ কে খন্দকার তার বইয়ের ৩০ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, শোনা যায়, মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমানে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ছাত্ররা নিজ উদ্যোগে পুরনো ৩০৩ রাইফেল নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছিল। আবার তিনিই প্রশ্ন তুলেছেন যুদ্ধের জন্য কোন রাজনৈতিক নেতাদের প্রস্তুতি ছিল না। আসলে খন্দকার সাহেব মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট বুঝতে অসমর্থ হয়েছিলেন। মীর জাফররা যুগে যুগে বাঙালী জাতির ভেতরে ছিল। যুদ্ধের আগে ও পরে মোশতাক ও তার সহযোগীরা সংগোপনে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। সবকিছু বিবেচনা করে তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে মুজিবনগর সরকার খন্দকার মোশতাক আহমদের যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করে। অনেকটা আকস্মিকভাবেই প্রতিনিধি দলের নেতা নির্বাচিত হন লন্ডনে অবস্থানরত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। একই সময় বাংলাদেশ সরকার আওয়ামী লীগের সব সদস্যকে বিদেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ ক্ষেত্রে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার পরামর্শ প্রদান করে। এ কে খন্দকার সাহেব বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে কোন দিক-নির্দেশনা পাননি। কিন্তু তিনি হঠাৎ করে এ রকম একটি বই লেখার দিক-নির্দেশনা কোথা থেকে পেলেন। নাকি এ কে খন্দকার সাহেব ভেবেছেন, এটাই মোক্ষম সময়। তার ইচ্ছা, ইতিহাস বিকৃতির মহানায়ক হওয়া।
©somewhere in net ltd.