![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বিনা নিড়ানি পদ্ধতিতে পাট আবাদ পাবনার চাটমোহর উপজেলার কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এই পদ্ধতিতে পাট আবাদ করে কৃষকের খরচ কমেছে বিঘাপ্রতি অন্তত ৬ হাজার টাকা। আর কৃষিবিদদের মতে পাট আবাদের এ পদ্ধতি জেলার সব উপজেলার কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলে বছরে পাট নিড়ানি দেবার শ্রমিক খরচ বাবদ সাশ্রয় হবে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সহযোগিতায় এবছর ৬ হাজার বিঘা জমিতে এ পদ্ধতিতে পাট আবাদ করেছেন কৃষকরা। এ পদ্ধতিতে আবাদ করলে পাটের জমি নিড়াতে হয়না। পাটও ভাল হয়। এক বিঘা জমির পাট নিড়াতে প্রায় ৩০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। অনেকে শ্রমিকের খরচ যোগাতে না পেরে পাটের আশানুরুপ ভাল ফলন পাননা। পাট বোনার পর নিয়ম অনুসারে কিছু সার প্রয়োগ করলে পাট দ্রুত বড় হয় এবং ঘাসসহ অন্যান্য আগাছা পাটের নিচে পড়ে যায়। কার্বন ডাই অক্সাইড ও অক্সিজেনের অভাবে ঘাস মরে যায়। ফলে পাট উৎপাদন বেশি হয়। চাটমোহর উপজেলা পাট উৎপাদন করতে গিয়ে কৃষকের মুলত শ্রমিক খরচটাই বেশি হয়। এবছর পাবনা জেলার নয়টি উপজেলায় পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার ৯৯৩ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে পাট আবাদ হয়েছে ৩৯ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে। আর প্রথমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৭৩ বেল। কিন্তু পাট আবাদ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫ বেল। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাট চাষ করতে পারলে,পাট চাষে ফিরে আসবে এক অমুল উন্নিতির ধারা, দেশ ফিরে পাবে তার পুরাতন ঐতিহ্য।
©somewhere in net ltd.