![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
মংলাসহ সুন্দরবনের আশপাশ এলাকায় এখন কাঁকড়া চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগৃহীত কাঁকড়া এ অঞ্চলের চাষীরা তাদের পুকুর, ডোবা, পরিত্যক্ত খালে ব্যাপকহারে চাষ করতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে এ কাঁকড়া চাষে তাদের ব্যাপক সফলতাও দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও বাড়ছে এর ব্যাপক চাহিদা। সুন্দরবনের কাঁকড়া আহরণকারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, আধুনিক পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলে প্রতিবছর এ খাত থেকে কয়েক শ’ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁকড়ার চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি দামও বাড়ছে। আষাঢ় মাস থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত কাঁকড়া আহরণ মৌসুমে সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকার সহস্রাধিক জেলে বন বিভাগ থেকে নির্দিষ্ট রাজস্বের বিনিময়ে পারমিট সংগ্রহ করে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। গহীন সুন্দরবনসহ সাগর মোহনা থেকে জেলেরা কাঁকড়া আহরণ করে। এছাড়া উপকূলীয় জেলা খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার দেড় লক্ষাধিক হেক্টর চিংড়ি ঘেরে প্রাকৃতিকভাবেই কাঁকড়া উৎপন্ন হয়। সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ১১ প্রজাতির কাঁকড়া পাওয়া যায়। চীন, মিয়ানমার, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, হংকংসহ বিভিন্ন দেশে সুন্দরবনের কাঁকড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে বিদেশে প্রথম কাঁকড়া রপ্তানি শুরু হয়। এর পর প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে আবার বিদেশে কাঁকড়া রপ্তানি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বাড়তে থাকে। পাশাপাশি বাড়তে থাকে এ খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রার আয়। সুন্দরবনে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত প্রচুর পরিমাণে যে কাঁকড়া ধরা পড়ে তা সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি, কাঁকড়া চাষীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও সরকারীভাবে ব্যাংকঋণের সুবিধা দিয়ে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভুমিকা রাখতে পেরেছে।
©somewhere in net ltd.