![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এবার দেশে প্রথমবারের মতো লিকুয়েফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির বহুমুখীকরণ নিশ্চিত করতে খুলনায় এলএনজি ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল ৭৫০ থেকে ৮৫০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ভারতের কলকাতায় অবস্থিত এলএনজি টার্মিনাল থেকে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তরল গ্যাস এলএনজির জোগান আসবে। প্রায় ৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। উত্তর-পশ্চিম বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি লিমিটেড এটি বাস্তবায়ন করবে। বর্তমানে দেশের গ্যাস পরিস্থিতি বিবেচনায় ও আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের দাম যেভাবে ওঠানামা করছে তাতে দেশে বহুমুখী জ্বালানির বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত। জ্বালানির বৈচিত্র্য আনতে তরল গ্যাসচালিত এ বিদ্যুৎকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এবার সব ধরনের জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সরকার মনোযোগী হয়েছে। গত জুন মাসে ভারতের গ্যাস কর্তৃপক্ষ লিমিটেডের (জিএআইএল) সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। ঐ চুক্তি অনুযায়ী ভারতের গ্যাস পাইপলাইন বাংলাদেশ পর্যন্ত সম্প্রসারণ করবে। কলকাতার আড়ংঘাটা পাইপলাইন স্টেশন থেকে ৮০ কিলোমিটার পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশের বেনাপোল দিয়ে যশোর পর্যন্ত ৪৬ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। এ জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। দুটি প্রকল্পই সমান্তরালভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমান সরকারের বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে বহুমুখী ও বৈচিত্র্যময় জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে হবে। তা না হলে মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। দেশে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সরকারের এ উদ্যোগ বিশেষ ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
©somewhere in net ltd.