![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষের মুখের ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি পুনর্বার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন ‘আসুন আমরা সবাই মিলে এমন একটি বিশ্ব গড়ে তুলি, যা দারিদ্র্য, ক্ষুধা, যুদ্ধ এবং মানবিক দুঃখ-দুর্দশা নির্মূল করতে পারে এবং মানুষের কল্যাণের জন্য বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে’। স্থায়ী শান্তি এবং নিরাপত্তা ব্যতীত আমরা টেকসই উন্নয়ন অর্জন করতে পারব না। আন্তর্জাতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অস্থিতিশীল বৈশ্বিক নিরাপত্তা অবস্থা এখনও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্বের যেকোন স্থানে শান্তি বিঘ্নিত হলে তা গোটা মানবজাতির জন্য হুমকিস্বরূপ। আর বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের বৈধ রক্ষক হিসেবে জাতিসংঘের ভূমিকার প্রতি দৃঢ়ভাবে আস্থাশীল। সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থা বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায়। সরকার সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সহিংসতা, চরমপন্থা, উগ্রবাদ এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রতি জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী। প্রতিবেশী বা অন্যদের বিরুদ্ধে যেকোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে না দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আমাদের রাষ্ট্রের প্রগতিশীল এবং উদার চরিত্রকে নস্যাত করতে সদা তৎপর। তারা সুযোগ পেলেই ধর্র্মীয় উগ্রবাদ এবং সহিংসতা ছড়িয়ে দেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। তাঁর পদ অনুসরণ করে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা যতবার প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন ততবারই প্রতিবছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। বিশ্বমন্দা সত্ত্বেও গত পাঁচ বছরে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের জন্য সরকার কয়েকটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
©somewhere in net ltd.