![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
তুলনামূলকভাবে ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই সাফল্যের কারণে এই অঞ্চলের অনেক দেশ সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মডেলের প্রতি আরো ঘনিষ্ঠভাবে মনোযোগ দিচ্ছে। একসময় বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হিসেবে চিহ্নিত বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আকর্ষণীয় উন্নতি করেছে। প্রতিবেশি দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি মন্থর হলেও তা নাটকীয় অগ্রগতি লাভ করেছে। ২০১৫ সালের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এমডিজি) আটটি লক্ষ্যের মধ্যে সবগুলো পূরণের ক্ষেত্রে দেশটি সঠিক পথে রয়েছে। বাংলাদেশ দেখিয়েছে যে মাথাপিছু কম আয় ও কম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও ভালো সামাজিক ফলাফল অর্জন করা সম্ভব। কেবলমাত্র মোট দেশজ উৎপাদন ছাড়াও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরো অনেকগুলো বিষয় রয়েছে। বিশ বছরের অল্প কিছু বেশি সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ অর্ধেক গরীব জনগণকে দারিদ্র্যসীমার উপরে নিয়ে আসতে পেরেছে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা এবং খাদ্যের মাধ্যমে সর্বনিম্ন পরিমাণের চেয়ে কম ক্যালরি গ্রহণকারী সাধারণ জনগণের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে। ১০০% স্কুল সম্পন্ন করার লক্ষ্য অর্জনের পথে রয়েছে বাংলাদেশ, এবং মাধ্যমিক শিক্ষায় ছেলেদের সাথে মেয়েরাও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করছে। নবজাত শিশুদের মৃত্যুর হার এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের ১৩টি বড় রাজ্যের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। এদেশের মানুষ এমন ধরনের জীবনযাত্রার মান উপভোগ করছে এখন যা প্রতিবেশি দেশের চেয়েও উন্নত মানের। সমাজের মধ্যমণি হিসেবে নারীদের উপর আমাদের গুরুত্বারোপের ফল পাওয়া গেছে। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীরা শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে পুরুষদের তুলনায় বেশি বিনিয়োগ করেছে। নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তির ফলে শিশুরা ভালো খেতে পারছে এবং মেয়েরা স্কুলের লেখাপড়া শেষ করতে পারছে। এটা সম্ভব হতো না যদি গতানুগতি কুলীন সমাজকে নির্বিঘ্ন অবস্থায় ফেলে রাখা হতো৷ সার্বিক ভাবে বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশি দেশ ভারতের চেয়েও অধিক সাফল্য অর্জন করে চলছে।
©somewhere in net ltd.