নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু দেশ গড়েছেন আর তাঁর কন্যা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন। নরেন্দ্র মোদীর এই বক্তব্যে বিএনপির বহুল প্রতীক্ষার সেই আশার কফিনে শেষ পেরেকটিই পড়ল

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে কোন মত ও পথেই কুলিয়ে উঠতে পারছে না ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া বিএনপি। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। এ নির্বাচনের আগে ও পরে এবং হালনাগাদ পর্যন্ত বিএনপির সব হুঙ্কার, হুঁশিয়ারি সবই ধুলায় মিশে গেছে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কৌশলের কাছে। এ দেশের রাজনীতিতে বিদেশীদের নাক গলানো ও প্রভাবের একটি বিষয় বহুল আলোচিত। ভারতের নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপি সরকারের ভরাডুবির পর মোদি সরকার ক্ষমতায় আসায় বিএনপি-শিবিরে রীতিমতো উল্লাস সৃষ্টি হয়েছিল এই মনে করে যে, এবার আওয়ামী লীগ সরকারের বারোটা বেজে যাবে। অর্থাৎ, মোদি সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পাবে বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন জোট। কিন্তু সে আশা এখন গুড়েবালি। মোদি বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়ার পাশাপাশি সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত এক সুতোয় গাঁথা। মোদি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ বানায়া, উসকি লাড়কি দেশ বাঁচায়া।’ অর্থাৎ, বঙ্গবন্ধু দেশ গড়েছেন আর তাঁর কন্যা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম সরাসরি বৈঠক হয় নিউইয়র্কে। শেখ হাসিনা বৈঠককালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্থল সীমানা চুক্তি কার্যকর এবং তিস্তা চুক্তিসহ দুই দেশের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো সমাধানের উদ্যোগ নেয়ার আন্তরিক আহ্বান জানান। মোদির জবাব ছিল ‘ম্যায় রাস্তা নিকাল রাহাহু’ (আমি সমাধানের পথ খুঁজছি)। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি স্থল যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়গুলো তুলে নিতে মোদি সরকারের সহযোগিতা চাইলে তাতেও তিনি ইতিবাচক সাড়া দেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর পর পর প্রদত্ত এ সব বক্তব্য ইতিবাচক তাৎপর্য বহন করে বলে মনে করছেন। তাঁদের মতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট দেশীয় রাজনৈতিক অঙ্গন সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে উত্তপ্ত করতে ব্যর্থ হয়ে বিদেশীদের বিশেষ করে পার্শবর্তী দেশ ভারতের কাছ থেকে যে আশা অপেক্ষা করছিল প্রধানমন্ত্রী মোদির এ ধরনের বক্তব্যের পর তাঁদের বহুল প্রতীক্ষার সেই আশার কফিনে শেষ পেরেকটিই মেরে দেয়া হয়েছে বলে মত ব্যক্ত করা হচ্ছে। বিএনপির ধারণা ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপি সরকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যে সম্পর্ক বিরাজিত ছিল সে সম্পর্কের উল্টো ফলাফল ঘটবে নরেন্দ্র মোদি সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে সব আশা-আকাঙ্ক্ষা মোদির বক্তব্যের পর রীতিমতো ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.