নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার চরের উন্নয়নে কাজ করায় মঙ্গা নামের কলঙ্ক হতে উত্তরাঞ্চলের মানুষের মুক্তি লাভ

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫




বদলে গেছে তিস্তা পাড়ের চিত্র। উধাও হয়েছে মঙ্গা। এখন আর কেউ বেকার বসে থাকে না। কৃষি প্রযুক্তি ও কৃষির উন্নয়নের ফলে মঙ্গা আর তিস্তার চরের মানুষকে স্পর্শ করতে পারে না। এ যেন অভিশাপ থেকে মুক্তি। সাত বছর আগেও আশ্বিন-কার্তিক মাস এলেই রংপুর অঞ্চলের তিস্তার চরগুলোতে মৌসুমী কৃষি শ্রমিকের কাজের অভাব দেখা দিত, এখন সেটা যেন অভিশপ্ত অতীত। বাজারে খাদ্য দ্রব্যের অভাব থাকত না, কিন্তু কেনার সামর্থ্য ছিল না অনেকেরই। চরগুলোতে কৃষিভিত্তিক শ্রমের সুযোগ ছিল না। কাজের অভাবে চরের মানুষ বসে বসে অলস সময় কাটাত। শ্রমজীবী মানুষের হাতে তখন অর্থ থাকত না। ফলে খাদ্যদ্রব্য কেনারও ক্ষমতা হারিয়ে ফেলত তারা। আর এই সমস্যাকে উত্তরাঞ্চলের মানুষ নাম দিয়েছিল মঙ্গা। এই মঙ্গা দুর্ভিক্ষের মতো, কিন্তু দুর্ভিক্ষ নয়। আর্শ্বিন-কার্তিক মাসেও এখন চরে কাজ থাকে। কৃষিজীবী শ্রমিকরা মাঠে কাজ করে দুই মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে। চরের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ও সক্ষমতা বাড়াতে সাত বছরে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলোও চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছে। এছাড়াও চরের কৃষিজীবী মানুষগুলো ধূ ধূ বালুচরে লাগসই কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধান, পাট, গম, ভুট্টা, তামাক, আলু, বেগুন, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া, পুঁইশাক, লালশাক, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গরু-মহিষ, ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রতিপালন করছে। এমনকি চরে বিদেশী জনপ্রিয় ফল স্ট্রবেরি চাষ হয়। সারাবছর চরে কোন না কোন ফসল ফলাচ্ছে কৃষক। শুধু বর্ষায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে দুই-চারদিন কাজ থাকে না। বর্ষার পানি নেমে গেলে আবার শুরু হয়ে যায় কর্মযজ্ঞ। বর্ষা মৌসুমে চরের মানুষ মাছ ধরে। অনেকে আবার নদীতে বিশেষ পদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটেছে। সরকার ও এনজিওগুলো ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়তা করেছে। এক সময় চর বললেই চোখের সামনে ভেসে উঠত কংকালসার, পুষ্টিহীন ও সুবিধাবঞ্চিত অশিক্ষিত মানুষ। কিন্তু এখন সে রকম চর নেই চলেই চলে। চরগুলোতে শিক্ষার হার বেড়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই এখন শিক্ষিত ছেলে-মেয়ে পাওয়া যায়। কৃষির উন্নয়নের ফলে চরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। চরে এখন সৌরবাতি জ্বলে। সৌর বিদ্যুত ব্যবহার করে টিভিও দেখছে চরের মানুষ। বর্তমান সরকার চরের উন্নয়ন করেছে। লালমনিরহাট এখন খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। মঙ্গা নামের কলঙ্ক হতে উত্তরাঞ্চলের মানুষ মুক্তি পেয়েছে।
সরকার চরের উন্নয়নে কাজ করায় মঙ্গা বিতাড়িত হয়েছে।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.