![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও প্রবলভাবে সক্রিয়। ১৯৭১ সালে যারা ইয়াহিয়ার পা-চাটা কুকুর, তারা বাংলাদেশের অগ্রগতি ব্যাহত করতে চায়। তারাই ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট ও ১৭ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অগ্রগতি থামানো যাবেনা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির নেই যে, স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের উন্নতি করেছে। সরকার ১৯৭২ সাল থেকেই লক্ষ্য করে আসছিল যে, স্বাধীনতার চেতনা যেন ভোঁতা হতে চলেছে। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্য আগস্টের ট্র্যাজেডির আগেই নানা ছদ্মবেশে, মিষ্টি কৌশলে বাংলাদেশের প্রশাসনে স্বাধীনতাবিরোধীরা প্রশ্রয় পেয়ে গেছে। কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর প্রশস্তি গাইত কিন্তু স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গুলি খাওয়া বাঘের মতো জেগে উঠেছিল ওরা পাকিস্তানি চেতনায়। বঙ্গবন্ধুর খুনি ডালিমও বীরউত্তম খেতাব পেয়েছিল। ১৯৭৬ সালে মওলানা ভাসানী লন্ডনে গিয়েছিলেন চিকিত্সার জন্য। তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল ডালিম। মওলানা ভাসানী ডালিমকে বলেছিলেন, ‘এই বুড়া সারা জীবন যা করতে পারে নাই, তুই আর তোর সাথীরা ১৫ আগস্ট সেই কাজ কইরা জালেমের হাত থেকে দেশ বাঁচাইছোস’। তদুপরি আমাদের দু’জন মুরুব্বী দেশ স্বাধীনের পরপরই স্বাধীনতার মূল্যবোধের বিপরীত বিন্দুতে দাঁড়িয়ে তাদের অভিমত প্রচার করতে শুরু করেছিলেন। এদের একজন আবুল মনসুর আহমদ, অন্যজন মওলানা ভাসানী। দ্বিজাতিতত্ত্বকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে যেখানে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, সেখানে আবুল মনসুর আহমদ বলতে শুরু করলেন যে, দ্বিজাতিতত্ত্ব মিথ্যা প্রমাণিত হয়নি। এও বললেন যে, বাংলাদেশ কোনো সেক্যুলার দেশ নয়, মুসলিমপ্রধান দেশ। অন্যদিকে মওলানা ভাসানী স্বাধীন দেশে সরাসরি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা তাদের জবানবন্দিতে বলেছে ‘বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রেখে দেশের পরিবর্তন সম্ভব ছিল না’। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল তিনি পাকিস্তান ভেঙে একটি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে সত্যি সত্যি নামে মাত্র বাংলাদেশ ছিল। জিয়াউর রহমানকে সামনে রেখে স্বাধীনতাবিরোধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে ফেলেছিল। রাজাকাররা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্পিকার পর্যন্ত হয়েছে। তারা দেশের বেকারত্বকে কাজে লাগিয়েছে। কিন্তু ঘটনার এক পিঠ বিশ্লেষণ করলে লাভজনক হবে না। ১৫ আগস্টের পরে স্বাধীনতার শত্রুরা রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য পেয়ে চূড়াস্পর্শী সোচ্চার হয়ে ওঠে। অতীতে স্বাধীনতাপক্ষের লোকজনের শৈথিল্য স্বাধীনতার শত্রুরা কাজে লাগিয়েছে। এখনো স্বাধীনতার মূল্যবোধে বিশ্বাসী, সংবিধানের চার মূলনীতিতে বিশ্বাসী লোকেরা ঐক্যবদ্ধ না হলে বিপদ ঘটতে বিলম্ব হবে না।
©somewhere in net ltd.