নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথ্যপ্রযুক্তি সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত। বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার শিল্প যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকায়

০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

প্রতিযোগিতার দৌড়ে বাংলাদেশের তৈরি সফটওয়্যার বিদেশের বাজারেও জায়গা করে নিয়েছে। দেশে তৈরি সফটওয়্যারের চাহিদাসম্পন্ন বাজার গড়ে উঠছে ইউরোপ, আমেরিকাসহ ৩৫টি দেশে। মেধাবী তরুণ-যুবকদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে চলা শিল্পটি এখন গতি পেতে শুরু করেছে। পরিচিতি পেয়েছে শতকরা ৫০ ভাগ প্রবৃদ্ধির ব্যতিক্রম শিল্প হিসেবেও। বাংলাদেশে বর্তমানে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী ছয় শতাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে ২৫ হাজার তরুণ-যুবক কাজ করছেন। তাছাড়া আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে আরও প্রায় ২০ হাজার তরুণ ব্যক্তিগতভাবেও সফটওয়্যার প্রস্তুতের কাজ করে থাকেন। তবে আগামী বছরের মধ্যে সফটওয়্যার শিল্পে দশ লাখেরও বেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ কাজ করবেন বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। সফটওয়্যার শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে অনেক তরুণ প্রচলিত ধারার চাকরি না খুঁজে নিজেদের উদ্যমেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তি পেশায় আগ্রহীদের অভাব নেই। কর্মক্ষেত্রে এদের অনেকেই ভালো করছেন। চলতি বছরে সফটওয়্যার রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ১০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর এ আয়ের পরিমাণ ছিল ৭০ মিলিয়ন ডলার। আশা করা হচ্ছে এ খাতে আগামী বছর রপ্তানির পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্বের বড় বড় মোবাইল ফোন কোম্পানির ফোনসেটের নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারও বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন, বড় বড় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কাজের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করে নেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। এসব কাজে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে ব্যক্তিগতভাবেও তরুণরা যুক্ত হচ্ছেন। বাংলাদেশে এখন ২০ হাজার তরুণ আছেন যারা ঘরে বসেই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করে বাইরে পাঠাচ্ছেন। তাদের প্রত্যেকের আয় মাসে গড়ে লক্ষাধিক টাকা। এ খাতে নতুন উদ্যোক্তা যেমন যোগ হয়েছে, তেমনি বিদেশিদের আস্থাও বেড়েছে আমাদের ওপর। সে কারণে রপ্তানির পরিমাণ দিন দিনই বাড়ছে। সরকারের অগ্রাধিকার খাত হিসেবে এ খাতকে শিল্পের স্বীকৃতি দেওয়ার কাজে সরকার কাজ করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ৫-৬ বছর ধরে বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে ‘দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল’ যুক্ত হতে যাচ্ছে ও ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.