![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সন্ত্রাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈতনীতির সমালোচনা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসের প্রকৃতি না বুঝে সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে চাইলে সন্ত্রাস মোকাবিলা করা যাবে না, বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি সন্ত্রাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, শেখ হাসিনা যে সীমিত সক্ষমতা নিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একক লড়াই চালাতে গিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন বলে তিনি অবগত আছেন। কিন্তু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে আমাদের ভাবনা কি? আমরা কি সন্ত্রাসের প্রকৃতি অনুধাবন করতে পারছি। বাংলাদেশের সাবেক বিরোধীদল বিএনপির রাজনীতি কি আমরা সম্পূর্ণ অনুধাবন করতে পারছি? রাজনৈতিক দক্ষতা ও যোগ্যতার অভাবে বিএনপি একদিকে ক্রমে স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকায় অবর্তীর্ণ হচ্ছে, অন্যদিকে শুধুমাত্র ক্ষমতার মোহে দেশী-বিদেশী জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক জোরদার করছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে জাতীয় প্রেক্ষাপটে আমাদের এই বিষয়গুলোকে অবশ্যই মূল্যায়ণ করতে হবে। এটি মোটেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধিতা নয়, বরং বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন, জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসীদের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখার প্রশ্ন। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদের প্রশ্নে কোন নিরপেক্ষতা চলে না, স্পষ্টভাবে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদের বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে, এখানে নিরপেক্ষতার কোন জায়গা নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেকে এখনও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলার চেষ্টা করে পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদী, জঙ্গীবাদীদের পক্ষালম্বন করছেন। বলার অপেক্ষা রাখে না, জাতীয় প্রেক্ষাপটে তারা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদের প্রকৃতি বুঝতে ভুল করছেন। বিএনপি তাদের জোটগত রাজনৈতিক কারণেই সন্ত্রাসবাদ, আর জঙ্গীবাদী তৎপরতা থেকে দুরে থাকতে পারবে না। সেকারণে বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ দুর করতে হলে তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা বিএনপি ও জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে উচ্ছেদ করতে হবে। মুখে জঙ্গীবাদী তৎপরতার বিরোধিতা করা আর কাজে জঙ্গীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা বিএনপিকে গণতান্ত্রিক শক্তি হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা দ্বৈতনীতি পরিহার করতে হবে।
©somewhere in net ltd.