নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একের পর এক আন্দোলন কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়ে সুফল পেতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এখন রণক্লান্ত

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

দল পাল্টানো ও ভোল পাল্টানোদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর পক্ষে তাদের দফায় দফায় আন্দোলনের ঘোষণার ধরনও পাল্টে গেছে। দলের চেয়ারপার্সন জানান দিয়েছেন, আর দিনক্ষণ দিয়ে নয়, এবার সময় মতোই সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। এতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইতোপূর্বে সংঘটিত ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে জনমনে সৃষ্ট অজানা উদ্বেগের আপাত অবসান ঘটেছে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহার দিন কূটনৈতিক ও সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এমন ঘোষণা দেয়ার পর বিএনপি ও তার জোটগত শরিকদের মাঝে নেমে এসেছে হতাশা। আর সরকারী দল আওয়ামী লীগসহ শরিক মহাজোটে সব দলের মাঝে এসেছে উৎফুল্ল মনোভাব। একের পর এক আন্দোলন কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়ে সুফল পেতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এখন রণক্লান্ত। বিগত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বহু আগ থেকে বিএনপি দফায় দফায় আন্দোলন কর্মসূচী দিয়ে তটস্থ করে রেখেছিল সরকার ও জনগণকে। আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ছাড়াও প্রাণহানিও কম ঘটেনি। ধ্বংসাত্মক ও প্রাণহানি ঘটনা থেকে আন্দোলন বেগবান করার প্রয়াস ছিল বিএনপির। কিন্তু এসব ঘটনা হয়েছে হিতে বিপরীত। বিএনপি ও তাদের জোটগত আন্দোলনে কর্মী সমর্থক ছাড়া সাধারণ মানুষ সাড়া না দেয়ায় ফলাফল রয়েছে শূন্যের কোটায়। ফলে আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা দিয়ে তা থেকে তাদের পেছানো ছাড়া আর কোন গত্যন্তর ছিল না। সর্বশেষ ঘোষণা ছিল ঈদ—উল-আযহার পরে সরকার পতন আন্দোলনের কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে। আশায় ছিল বিএনপি ও জামায়াত। কিন্তু সে আশাও গুড়েবালি হয়েছে দলীয় চেয়ারপার্সনের দিনক্ষণ ছেড়ে সময় মতো আন্দোলন করার ঘোষণায়। রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ‘সময় মতো আন্দোলন’ একটি বায়বীয় ঘোষণা। এর কোন প্রভাব সরকারী দলে যেমন নেই, জনমনেও নেই। ফলে হতাশায় ডুবে গেছে কর্মী ও সমর্থক মহল। এখন প্রশ্ন জেগেছে, এরপরে কি ঘোষণা আসতে পারে এবং তা আবার কখন পাল্টে যায় তা নিয়ে। বিএনপি ও তাদের শরিক জোটের আন্দোলনের শক্তিও নেই। বিএনপির পক্ষে মূলত মাঠে নেমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করত জামায়াত শিবিরের ক্যাডার বাহিনী। ঘোষণা না থাকলেও জামায়াত শিবির বিএনপি থেকে দূরে থাকার পথ বেছে নিয়েছে। তাদের শীর্ষ নেতাদের গলায় এখন ঝুলছে ফাঁসির রশি। সে নেতাদের বাঁচানোর কোন পথ বিএনপি যেমন সৃষ্টি করতে পারেনি, তেমনি তাদের কাছেও নেই। ফলে আন্দোলন করে বিএনপির অবস্থান সৃদৃঢ় করতে জামায়াত শিবির অনিচ্ছুক বললে অত্যুক্তি হবে না। সার্বিক দিক অনুধাবনে এনে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে তা আলোচিত হওয়ার পর দলের চেয়ারপার্সন তার ইতোপূর্বেকার ঘন ঘন আন্দোলন কর্মসূচী থেকে সরে গিয়ে এখন দিনক্ষণ থেকে সময় মতো কর্মসূচী দেয়ার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে প্রতীয়মান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.