![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
যেসব আত্মস্বীকৃত জঙ্গী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ভিআইপিদের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল সেই অপরাধীদের যে বিচারকরা জামিন দেন তাদেরই বিচারের আওতায় আনা উচিত। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আছে। গত কয়েক বছর ধরে জঙ্গীরা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছে। সম্প্রতি আটক জঙ্গীদের মদদপুষ্ঠরা একটি বড় ধরনের ষড়যন্ত্র ও ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনার করছিল। কয়েক বছর ধরে তারা বর্ধমানসহ পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি শহরে ঘাঁটি গড়ে তুলেছে। সেখানকার দু’একটি রাজনৈতিক সংগঠন তাদের মদদ যোগাচ্ছে। জঙ্গীরা গত আগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এমনকি তারা পরিকল্পনা কার্যকরের পর কিভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যাবে সেই পথও ঠিক করে রেখেছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে তাদের সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়। তবে জঙ্গীরা যে এখনও তৎপর সে সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। জঙ্গীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে চায়। জামায়াত ও পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে রয়েছে ঘনিষ্ঠ সংযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখার জোরদারের লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পরিচালিত সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে কয়েক স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন । এ দেশের মাটিতে যাতে জঙ্গীদের একটি ঘাঁটিও না থাকে, সে লক্ষ্যে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণই প্রয়োজন। বিচারে দোষী সাব্যস্ত জঙ্গীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এটা একটি বিপজ্জনক অবস্থার আভাস দেয়। এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত দরকার। দেশ ও জাতির স্বার্থে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
©somewhere in net ltd.