![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মতিউর রহমান নিজামীর নেতৃত্বাধীন আলবদরের সদস্যরা কিছু লোকদের ধরে নিয়ে যায়। বিজয়ের পর তাঁদের ক্ষত বিক্ষত লাশ পাওয়া যায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি এবং মিরপুরের আশপাশে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে ২০১০ সালে বিচার শুরু হয়েছিল। নানা বিপত্তি পেরিয়ে বিচার এগোচ্ছে। এর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় আলবদরদের দন্ড দেয়া হয়েছে, একজন আলবদরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডেমরা ও বাউশগাড়ি গ্রামে প্রায় ৪৫০ জনকে হত্যার নির্দেশ। আলপাড়া ও ভূতেরগাড়ি গ্রামে ১৯ জন, ধুলাউরা গ্রামে ৩০ জনকে হত্যা। তার নির্দেশে আলবদর বাহিনী সারা দেশে গণহত্যা বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী হত্যা পরিচালনা করে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের মধ্যে তার নৃশংসতা তুলনাহীন। অর্থাৎ নিজামী এমন এক বাহিনী তৈরি করেছিলেন, সেই ৪০ বছর আগে যাদের হৃদয় কেটে রোবোটিক যন্ত্রপাতি বসিয়ে দেয়া হয়েছিল। আলবদর বাহিনী পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করলেও তাদের নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য ছিল বাঙালী পেশাজীবীদের হত্যা। মাইক্রোবাস, পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর জীপ ও তৎকালীন ইপিআরটিসির বাস নিয়ে তারা প্রতি রাতে বেরিয়ে পড়ত নিজামী বা মুজাহিদের নির্দেশে। যাদের ধরে নেয়া হতো তাদের প্রধানত রায়েরবাজার ও মিরপুর নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করে আশপাশের জেলায় ফেলে দেয়া হতো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর একটি যথার্থ কাজ করেছিলেন তা হলো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ করেছিলেন। ৭৫-এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসীন হন এবং জামায়াতীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রসংঘ শুধু ধর্মভিত্তিক দলই ছিল না, এ দু’টি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের খুনী-ধর্ষকদের দল।
©somewhere in net ltd.