![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ইমিগ্রেশন সুবিধা চালু হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই এই বন্দর দিয়ে মানুষ পারাপার করতে পারবে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৭ সালে বাংলাবান্ধায় নেপাল-বাংলাদেশ ট্রানজিট রুট চালু করা হয়। এরপর থেকে বাংলাবান্ধায় ইমিগ্রেশন সুবিধা চালুসহ পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তরের জোরালো দাবি ওঠে। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারতের অনীহার কারণে সে সময় পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তরিত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চালুর প্রক্রিয়া শুরুর পাশাপাশি ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিদেশীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট কার পাস চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াতের সুবিধা চালুর চেষ্টা করা হয়। অবশেষে ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি বাংলাবান্ধা ও ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য শুরু হয়। উদ্বোধনের পরই দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ট্রানজিট কার পাস চুক্তির মাধ্যমে দুই স্থলবন্দরের পণ্যবাহী ট্রাকের ওয়্যার হাউসে যাতায়াত শুরু করে। ইমিগ্রেশন সুবিধা চালু এবং বাংলাবান্ধা থেকে ভারতের শিলিগুড়ির দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার, জলপাইগুড়ি ৪০ কিলোমিটার, দার্জিলিং ৬০ কিলোমিটার, নেপালের কাঁকরভিটা ৫৯ কিলোমিটার, ভুটানের ফুয়েন্ট সিলিং ১২০ কিলোমিটার এবং চীনের নাথুলা সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ২শ’ কিলোমিটার হওয়ায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও পর্যটন সুবিধা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।
©somewhere in net ltd.