![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
চলতি মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে তিন লাখ মেট্রিক টন আমন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। চালের এই দাম গত আমন মৌসুমের কেজিপ্রতি সংগ্রহমূল্য থেকে দুই টাকা বেশি। গত বছর ৩০ টাকা কেজি দরে সাড়ে তিন লাখ চাল সংগ্রহ করেছিল সরকার। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি এবারের আমন সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিবছর স্বল্প পরিমাণে সুগন্ধি চাল রপ্তানি করলেও সরকারীভাবে বড় পরিসরে সিদ্ধ চাল রপ্তানি এই প্রথম। কৃষকের স্বার্থ ও সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আমনের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার প্রতিকেজি আমন ধানের উৎপাদন ব্যয় পড়েছে ১৮ টাকা এবং চালের উৎপাদন খরচ ৩১ টাকা। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৪ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখন পর্যন্ত ৩ লাখ মেট্রিক টন বেশি খাদ্য মজুদ রয়েছে। বর্তমানে দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে এবার শ্রীলঙ্কায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন মোটা চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই চালের রপ্তানি মূল্য টনপ্রতি ৪৫০ ইউএস ডলার। আগামী নভেম্বর মাসের প্রথমার্ধে এই রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু হবে। মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের এক মাসের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল রপ্তানির চূড়ান্ত অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ প্রতিবছর স্বল্প পরিমাণে সুগন্ধি চাল রপ্তানি করলেও সরকারীভাবে বড় পরিসরে সিদ্ধ চাল রপ্তানি এই প্রথম।
শ্রীলঙ্কা থেকে একটি প্রতিনিধি দল আসার পর আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হবে। বর্তমানে আন্তজার্তিক বাজারে প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ৪০০ থেকে ৪২০ ডলার, যে চাল রপ্তানি করা হবে তার উৎপাদন খরচ ৪৩৬ ডলার, এ হিসাবে ১৪ মার্কিন ডলার লাভ থাকবে। দেশের চাহিদার অতিরিক্ত চাল রপ্তানির ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে সচল হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
©somewhere in net ltd.