![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
এ চুক্তি সাক্ষরের মাধ্যমে সেতু নির্মাণের প্রস্তুতিগত দিকগুলোর আরও এক ধাপ অতিক্রম করলো সরকার। সেতু নির্মাণ ও নদী শাসনসহ প্রকল্পের প্রতিটি কাজ স্বচ্ছতার সাথে সম্পাদনের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে বাংলাদেশ সরকার। দুর্নীতি বা কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দেবেন না সরকার। নদী শাসনে আর্থিক প্রস্তাবে তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে সিনোহাইড্রো সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়। সিনোহাইড্রোর প্রস্তাবিত দর প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ কম। এছাড়া বেলজিয়ামের প্রতিষ্ঠান ‘জান ডি নাল এনভি ট্রাগেল’ ১৬ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা এবং কোরিয়ার ‘হুন্দাই ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি’ ১২ হাজার ১২২ কোটি টাকা প্রস্তাব করেছিল। এতে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। মোট ব্যয়ের ৩০ শতাংশ বাংলাদেশী এবং ৭০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে। চুক্তির মেয়াদ হবে ৪৮ মাস। ইতিমধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকায় চার বছরের মধ্যে সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে আরেকটি চীনা কোম্পানি মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত ১৭ জুন সরকারের এই চুক্তি হয়। পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এছাড়া প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন দেশের বৃহত্তম এ প্রকল্প যাতে সফলভাবে শেষ করতে পারে সেজন্য জনগণের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছে সরকার।
©somewhere in net ltd.