![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
সরকারের কঠোর অবস্থান, একের পর এক যুদ্ধাপরাধীর বিচার, লাগাতার সন্ত্রাসী তৎপরতা আর গণজাগরণ মঞ্চের প্রভাবে ছোট হয়ে আসছে জামায়াত-শিবিরের বলয়। কোণঠাসা ও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত এ দলটি। নেতাদের সমন্বয়হীনতা, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আর জামায়াতের সঙ্গে শিবিরের মতবিরোধে কর্মসূচী দিয়েও সফলতার মুখ দেখছে না। চোরাগোপ্তা হামলা, ঝটিকা মিছিলে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে কর্মকান্ড। কর্মসূচী পরিচালিত হচ্ছে ই-মেইল, ফেসবুক, এসএমএসেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থান আর জনরোষের ভয়ে নেতাকর্মীরা দেশ ত্যাগ করে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। কেউ কেউ চাকরির চেষ্টা করছেন। দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে হতাশা। এদিকে দুর্বল হয়ে পড়েছে জামায়াতের পাওয়ার হাউস হিসেবে স্বীকৃত ছাত্রশিবির। শিবির করাকে আর ভাল চোখে দেখছে না পরিবারগুলো। অভিভাবকরা জেনে গেছেন জামায়াত-শিবির ইসলামী সংগঠন নয়, রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গেছে শিবিরের রিক্রুটমেন্ট। স্বাধীনতাবিরোধী এ গোষ্ঠীর অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, নিজেদের ভয়াবহ সাংগঠনিক দুবর্লতার কথা সম্প্রতি বেরিয়ে এসেছে জামায়াতের নিজেদের এক পর্যালোচনাতেই। যেখানে শিবিরের রিত্রুটমেন্ট বন্ধ, পরিবারগুলো থেকে সন্তানদের শিবির থেকে চলে আসার চাপসহ নেতাকর্মীদের নিজের স্বার্থে চাকরি বা বিদেশে চলে যাওয়ার প্রবণতাকে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমনকি জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, মোটা দাগে অন্তত পাঁচটি কারণে এই মুহূর্তে জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীটি। কারণগুলো হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে একের পর এক জামায়াতের শীর্ষনেতাদের ফাঁসির আদেশ ও রায় কার্যকরের উদ্যোগ, গুরু গোলাম আযমের মৃত্যু, স্বল্পসময়ের ব্যবধানে কয়েক হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার এবং মানবতাবিরোধী বিচার বন্ধে ক্রমশ বিদেশীবন্ধু রাষ্ট্রগুলোর হস্তক্ষেপ ও প্রভাব হ্রাস। নিবন্ধন বাতিলের সঙ্গে সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়েছে দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগে। শীঘ্রই বিল আকারে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদে উত্থাপনের প্রস্তুতি রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের। জনরোষের ভয়ে জোট ও ভোটবন্ধু বিএনপিও সেভাবে সমর্থন করতে পারছে না জামায়াতকে, যা জামায়াতের চিন্তার আর এক কারণ। তবে সব কিছু ছাপিয়ে সরকারের কঠোরতা ও সাধারণ মানুষের মাঝে লাগাতার সন্ত্রাসীমূলক কর্মকা-বিরোধী মনোভাব জেগে ওঠাকেই ভয় পাচ্ছে জামায়াত-শিবির। সাধারণ মানুষের মনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে তোলার জন্য গণজাগরণ মঞ্চকে ভয় পাচ্ছে এ গোষ্ঠী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধীরে ধীরে একা হয়ে যাচ্ছে জামায়াত।
©somewhere in net ltd.