![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরিপোশাক শিল্পের রপ্তানি তিনগুন বৃদ্ধি পাবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে মার্কিন ও ইউরোপীয় ক্রেতাদের সাথে সাথে নতুন ক্রেতারাও এই দেশের বাজারে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এবং তারা বাংলাদেশকে দ্বিতীয় চীন হিসেবে দেখছে। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিলের রানা প্লাজার ঘটনার পর থেকে সরকার, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতারা দেশের পোশাক শিল্পে কাজ করার পরিবেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন ওয়েজ বোর্ড প্রণয়নের ফলে শ্রমিকদের বেতন নিয়ে যা অসন্তোষ ছিল তাও দূর হয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের জন্য আশির্বাদ, যেন সোনার ডিম পাড়া হাঁস। বাংলাদেশ বর্তমানে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরিপোশাক রপ্তানিকারক দেশ। চীনের পরই এর অবস্থান। মাত্র নয়টি কারখানা নিয়ে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ এই সম্ভাবনাময় শিল্পে প্রবেশ করে এবং ৬৯ হাজার মার্কিন ডলার আয় করে। গত তিন দশকে এই শিল্পে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সরকারের নীতিগত পৃষ্ঠপোষকতা, ব্যক্তিগত উদ্যোক্তাদের সক্রিয়তা এবং সর্বোপরি শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমের কারনেই এই সাফল্য এসেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানা আছে ৬ হাজারেরও বেশি এবং রপ্তানি আয় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ১৪৮টি দেশে নিট গার্মেন্টস ও ১৩২ টি দেশে ওভেন গার্মেন্টস পন্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ চীনে ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরী পোশাক রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৬৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাকের চাহিদা সৃষ্টি হবে যার মধ্যে বাংলাদেশ ৪৪.৫৬ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখতে পারবে। দেশের কারখানা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আরও দক্ষতা ও সুস্থ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে বাংলাদেশ পরবর্তী ‘চীন’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
©somewhere in net ltd.