![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
প্রায় দেড়কোটি মানুষের আবাসস্থল রাজধানী ঢাকা। এই বিপুল সংখ্যক এবার নগরবাসীর নিত্যদিনের যন্ত্রণা যানজট নিরসনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। রাজধানীর শাহজাহানপুর থেকে বিমানবন্দর রোড সিগন্যালমুক্ত করার লক্ষ্যে ৬৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি আন্ডারপাস নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রতিটি আন্ডারপাসের গড় খরচ ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি টাকা। যানজটপ্রবণ রাস্তার সংযোগস্থলে মাটির নিচ দিয়ে স্বল্প দূরত্বের টানেলসদৃশ এ আন্ডারপাসগুলো নির্মাণ করা হবে। ট্রাফিক সিগন্যালের কিছুটা দূর থেকেই গাড়িগুলো টানেলের মধ্যে দিয়ে মাটির নিচ দিয়ে সিগন্যাল পয়েন্ট অতিক্রম করতে পারবে। ফলে ওইসব পয়েন্টে গাড়িগুলোকে দীর্ঘ সময় সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। প্রথম ধাপে ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর, ৭ নম্বর, ২ নম্বর, রাসেল স্কোয়ার, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নীলক্ষেত, ফকিরাপুল ও রাজারবাগ-শাহজাহানপুরের ইন্টারসেকশনে ভেহিকুলার আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। এছাড়া মিরপুর রোডের টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের মানিক মিয়া এভিনিউ ইন্টারসেকশনে হবে ইউটার্ন ভেহিকুলার আন্ডারপাস। এ দুটির মাধ্যমে গাড়িগুলো মাটির নিচ দিয়ে ইউটার্ন নিতে পারবে। এগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়নের পরে দ্বিতীয় দফায় পল্টন, এফডিসির পাশের রেলক্রসিং, বনানীর স্টাফ রোড রেলক্রসিং, মালিবাগ রেলক্রসিং, আগারগাঁও, গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বর, গ্রীন রোড-পান্থপথ ক্রসিং, তেজগাঁও নাবিস্কো মোড় এবং কাঁটাবন-এলিফ্যান্ট রোড ক্রসিংয়ে ১১টি আন্ডারপাস নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে উন্নয়নমুখী বর্তমান সরকারের। রাজধানীতে এ পদ্ধতি চালু করা হলে মতিঝিল থেকে বিমানবন্দর পৌঁছাতে কোনো যানজটে পড়তে হবে না। এতে মহানগরীর যানজট অনেকাংশে লাঘবের পাশাপাশি নগরীর নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়বে, কমবে অর্থ ব্যয়। এতে ভূমি অধিগ্রহণের কোনো প্রয়োজন হবে না। ফলে আন্ডারপাস সংলগ্ন এলাকার কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
©somewhere in net ltd.