![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।
পদ্মা নদীর বুক চিরে জেগে উঠছে স্বপ্ন- যে স্বপ্নের নাম পদ্মা সেতু। সকল বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রায় ৫ কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। যার পুরো কৃতিত্ব বর্তমান সরকারের। সরকার ঘোষণা দেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করব নিজেদের টাকায়। দিকে দিকে গ্লোগান ওঠে, ‘আমাদের পদ্মা সেতু আমরাই করব।’ তাঁর সেই প্রত্যয়ে, সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ সত্যি হতে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের মধ্যেই পদ্মায় মাথা তুলে দাঁড়াবে দেশের বৃহত্তম- ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের বৃহৎ স্বপ্ন সেতু। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতু নির্মাণে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। কোথাও চলছে রাস্তা নির্মাণের তোড়জোড়, কোথাও মাটি পরীক্ষার কাজ, কোথাও আবার চলছে নদীর ওপর প্লাটফর্ম নির্মাণ। আবার কোথাও বসানো হচ্ছে পাইল, তৈরি হচ্ছে বিরাটাকার ওয়ার্কশপ। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ নাগাদ পদ্মা সেতুর মূল অংশের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। সেতুর নির্মাণকাজের জন্য মাওয়ায় প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ পাইল ফেব্রিকেশন ওয়ার্কশপ বানানো হচ্ছে। ওয়ার্কশপে তৈরি হবে সেতুর পাইল। সেই পাইলের স্টিলের প্লেট আনা হবে চীন থেকে। বিভিন্ন মালামাল নিয়ে বড় বড় জাহাজ ওয়ার্কশপের পাশে ভেড়ানোর সুবিধার্থে একটি জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই জেটির জন্য কংক্রিটের পাইল তৈরির কাজও চলছে। সেতুর জাজিরা প্রান্তে মাওয়ার কুমারভোগের মতো আরেকটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। সেতুর কাজের সুবিধার্থে মাওয়া ঘাটকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কুমারভোগের শিমুলিয়ায়। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ঘাটের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের কাজ। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তাটিও প্রায় প্রস্তুত। সর্বশেষে পদ্মা নদীর বুক চিরে জেগে উঠবে আমাদের নিজেদের অর্থায়নের স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
©somewhere in net ltd.