নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ুন

আমি একজন সাধারণ মানুস।তাই বেশী কিছু লিখবো না।

মেসি০০৭০০৭

আমি একজন স্টুডেন্ট তাই ভালো কিছু করতে চাই।

মেসি০০৭০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে, ৪২ বছরে ধীরে ধীরে রাষ্ট্রের সেই ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র নষ্ট করছে জামাত বিএনপি

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪





দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক অপতৎপরতা এবং জঙ্গীবাদ নিমূর্ল করতে হলে এর বিরুদ্ধে যৌথভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাদের অর্থ উৎস বন্ধ করে দিতে হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তি শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। স্বাধীনতার ৪২ বছরে দেশে ধীরে ধীরে সাম্প্রদায়িক শক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রবেশ করে রাষ্ট্রীয় চরিত্র নষ্ট করে দিয়েছে। সাম্প্রতিককালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাকে এখনই নিমূর্ল করা না গেলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না। দেশে জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার মূলে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত চেতনাকে বিনাশ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হলে এখনই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। উপমহাদেশে স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে টিকিয়ে রাখতে হবে। বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে। কিন্তু ৪২ বছরের ধীরে ধীরে রাষ্ট্রের ধর্ম নিরপেক্ষ চরিত্র নষ্ট করা হয়েছে। ৭৫ সালের পট পরিবর্তনের ফলে সংবিধানের মূলনীতি থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা তুলে দেয়া হয়েছে। অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে আবার রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধনীর ফলে ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরে এলেও রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে এখনও রয়ে গেছে। কিন্তু এ দুটি বিষয় সংবিধানে কিভাবে পাশাপাশি থাকে। সাস্প্রতিককালে দেশে জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপতৎপতরতা বৃদ্ধি পেলেও নাগরিক সমাজকে এর বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। অথচ ৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজকে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা নিতে দেখা গেছে। ২০০৩ সালে দেশে প্রথম জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটে। সে সময়ে বিএনপি সরকারের পক্ষ থেকে দেশে কোন জঙ্গীবাদ নেই বলে অস্বীকার করা হয়েছিল। পরে অনুসন্ধানে জঙ্গীবাদের আস্তানা পর্যন্ত আবিষ্কার করা হয়েছিল। ১৯৭১ সাল থেকে যেসব সংগঠন আইনের চোখে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে সেসব সংগঠনকে এখনই নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত করতে এবং রায় কার্যকর করতে হলে জনগণের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে। নারী সমাজের সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ কাজে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.