নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জলজ

...........অন্তরালে থাকব, তবুও ভাববো তোমায়......ভাববো তুমি ছিলে আমার কবিতার বনলতা সেন......

মাজহার সৌরভ

আমি জানতাম আমি একা কিন্তু জানতাম না আমার কেউ নেই...... জানতাম আমি বোকা কিন্তু জানতাম না আমার চেয়ে বোকা কেউ নেই......

মাজহার সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০১০ সালে যে গাড়িগুলো চমক দেখাবে!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪০

গাড়ি প্রেমিকদের জন্য বেশ নতুন আকর্ষণ নিয়েই আসছে ২০১০ সাল। সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিন জানিয়েছে এসব নতুন আকর্ষণের মধ্যে কোন ১০টি গাড়ি এবার আসছে বছরেও বাজার মাতাতে পারে। চলুন তাহলে দেখে নিই কোন ব্র্যাণ্ডের গাড়ির কোন কোন মডেল রয়েছে এ তালিকায় আর তাদের বাজার দখলের অস্ত্রগুলোই বা কি কি-



০১. কিয়া সোল



KiaSoul







মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিয়া মোটর্সের ডিজাইন ট্র্যাডিশন খুব একটা নেই, ফলে দক্ষিণ কোরিয়ান এ কোম্পানির আমেরিকান ডিজাইনাররা এবার এনেছেন ইউনিক, আই ক্যাচিং শেপ। সোল নামের এ গাড়িটিতে রয়েছে সুপরিসর ইন্টেরিয়র, কার্গো বা স্পোর্টস গিয়ার বহনের জন্য চমৎকার একটি বাহন। এতে আরো রয়েছে স্যাটেলাইট রেডিও কানেকশন ও ম্যাপ লাইট।



কিয়ার সোল গাড়িটির ইঞ্জিন ১৬০০ সিসির, ক্ষমতা- ১৪০ হর্সপাওয়ার এবং দাম- ১৭,০০০ ডলার।













০২. হিউন্দাই জেনেসিস কুপ



HyundaiGenesisCoupe







হিউন্দাইয়ের জনপ্রিয় জেনেসিস সেডানের টু ডোর ভার্সন হলো নতুন জেনেসিস কুপ। এ বছর জানুয়ারিতে মার্কিন মুলুকের ডেট্রয়েটে এ গাড়িটি জিতে নেয় ‘নর্থ আমেরিকান কার অফ দি ইয়ার’ এর শিরোপা। এর সাসপেনশন বানানো হয়েছে রেসিংয়ের বিষয়টি মাথায় রেখেই। জুড়ে দেয়া হয়েছে ভি- ৬ ইঞ্জিন। সেই সঙ্গে আরো যোগ করা হয়েছে ব্রেমবো ব্রেক, যা সাধারণত ২৫ হাজার ডলারের কমদামী কোনো গাড়িতে থাকেনা।



আরো আছে প্রজেক্টার হেডল্যাম্প, ব্লু-টুথ, আইপড কানেকশন ও ইলেকট্রনিক স্ট্যাবিলিটি কনট্রোল।













০৩. ফোর্ড টরাস শো



FordTaurusSHO







ফোর্ডের ফুল সাইজ ২০১০ টরাস মডেলের আরো পাওয়ারফুল ভার্সন হলো টরাস শো। এতে আছে ‘ইকো বুস্ট ইঞ্জিন’ যা আসলে ভি-৮ ইঞ্জিনের ৩৬৫ হর্সপাওয়ার ক্ষমতায় কাজ করে, কিন্তু তেল খায় ভি-৬ ইঞ্জিনের সমান। এর রয়েছে ৬ স্পিড অটোম্যাটিক গিয়ার বক্স। অল হুইল ড্রাইভ এ গাড়িটি ওভারহল করা হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই রায় দিয়ে ফেলেছেন যে, এটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে ভালো ফোর্ড সেডান।



এতে আছে অ্যাডাপটিভ ক্রুজ কনট্রোল, রয়েছে সেফটি সিস্টেম যা সংঘর্ষের সম্ভাবনা হলে গাড়িকে রক্ষায় সহায়তা দেবে।









০৪. ক্যাডিলাক সিটিএস ওয়্যাগন



CadillacCTSWagon







মার্কিন অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটর্স এবছর ডিজাইন করেছে ‘স্লিক’ ওয়াগন এর, বিশেষ করে ইউরোপিয় ক্রেতাদের জন্য- যেখানে লাক্সারি ওয়াগন বেশ জনপ্রিয়। এখন দেখার বিষয় নতুন এ ক্যাডিলাক অন্যান্য দেশের ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে পারে কি না।

জনপ্রিয় সিটিএস চেসিসের সঙ্গে ভি-৬ ইঞ্জিন যোগ করে যদি বলা হয়, হাইওয়েতে এ গাড়ি প্রতি গ্যালনে ২৬ মাইল চলবে, তবে যোগফলটি দাঁড়ায় ক্যাডিলাক সিটিএস ওয়্যাগন। এতে যোগ করা হয়েছে জিএম-এর অ্যান্টিথেফট প্রটেকশন যা চুরি হলে গাড়িটিকে থামিয়ে দেবে।









০৫. জিপ গ্র্যান্ড চেরোকি



JeepGrandCherokee







৯০এর দশকে বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই জিপের চেরোকি গাড়িটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। তবে ক্রাইসলারের মতে তাদের জিপে নতুন কিছু যোগ করার সময় এসেছে। তারই ফল হচ্ছে-অ্যারোডিনামিক শেপের নতুন এই চেরোকি।



এ গাড়িটি আগের মডেলের তুলনায় খানিকটা খাটো, কিন্তু আরাম আয়েসের কথা মাথায় রেখেই বোধহয় ইন্টেরিয়রে যোগ করা হয়েছে লাক্সারি আইটেম। ভি-৬ ইঞ্জিননির্ভর এ গাড়িটি বাজারে আসবে ২০১০ সালের শেষার্ধে।













০৬. টয়োটা ভেনজা



ToyotaVenza







এ বছরের শুরুতেই আসার কথা ছিল টয়োটা ভেনজার। টয়োটার জনপ্রিয় ক্যামরি সিরিজের ওপর ভিত্তি করেই ডিজাইন করা হয়েছে নতুন এ সিরিজটি। প্রচলিত স্টেশন ওয়্যাগনের চেহারায় ভি-৬ ইঞ্জিন ও ২৮৬ হর্স পাওয়ারের এ গাড়িটি নানা কাজে ব্যবহার উপযোগী, সেটা মানুষ বা মালপত্র বহন, যাই হোক না কেনো।









০৭. নিশান ৩৭০ জি



Nissan370Z







নিশানের লেটেস্ট উপহার হলো ‘জি কার’ বা ‘জেড কার’। একে বলা হচ্ছে স্লিক অ্যান্ড স্পোর্টি রোডস্টার। নতুন এ গাড়ির ইঞ্জিন ৩৭০০ সিসির, ক্ষমতা ৩৩২ হর্সপাওয়ার। প্রতি গ্যালনে চলবে ২৬ মাইল। নিশান ৩৭০ জি’তে রয়েছে কার্বন ফাইবার ড্রাইভ শ্যাফট এবং সেভেন স্পিড অটোম্যাটিক ট্রান্সমিশন আর সেনসিটিভ পাওয়ার স্টিয়ারিং।









০৮. সুজুকি কিজাশি



SuzukiKizashi







সাধারণত ছোট গাড়ির প্রস্তুতকারক হিসেবেই পরিচিত সুজুকি। এবার তারা আমেরিকা টার্গেট করে বানালো নতুন গাড়ি কিজাশি সেডান। ফ্রেশ আউটলুকের এ গাড়ির ভেতরে পাবেন স্পোর্টি সিট। নতুন চার সিলিন্ডার অ্যালুমিনিয়াম ইঞ্জিন দুই ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এক হলো সিক্স স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন অথবা কন্টিনিউয়াস ভেরিয়েবল অটোম্যাটিক ট্রান্সমিশন। বলা হচ্ছে প্রতিযোগিতার বাজারে এ গাড়িটি রীতিমতো ভীতিপ্রদ হয়ে উঠতে পারে জনপ্রিয় টয়োটা আর হন্ডার গাড়িগুলোর জন্য। এর দাম হবে ২০,০০০ ডলারের কিছু কম।









০৯. ভক্সওয়াগন গলফ



VolkswagenGolf







আমেরিকার রাস্তায় ভক্সওয়াগন গলফ নতুন নয়। ২০০৬ সালে অবশ্য তারা র‌্যাবিট নামে নতুন একটি সিরিজ নামিয়েছিলো। যাই, হোক সে সিরিজটি বাদ হয়ে যাচ্ছে ২০১০ সালে এবং আসছে গলফ-এর সিক্সথ জেনারেশন। ২৫০০ সিসির গ্যাসোলিন ইঞ্জিন নিয়ে আসলেও ক্রেতার জন্য থাকছে ২০০০ সিসির ডিজেল ইঞ্জিনযুক্ত গাড়ি নেয়ার অপশনও। দাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তবে ২৫০০ সিসির গাড়িটির দাম ১৮,০০০ ডলারের কম হবার সম্ভাবনাই বেশি।













১০. মার্সেডিজ বেঞ্জ ই-ক্লাস



Mercedes-BenzE-Class







নতুন এই মার্সেডিজ বেঞ্জটিকে দেয়া হয়েছে এক্কেবারে নতুন চেহারা। সেই রাশভারী বেঞ্জ পাল্টে গিয়ে এখন আসছে স্লিক আর আধুনিক চেহারার গাড়ি। এতে যোগ করা হয়েছে অ্যাডভান্সড ড্রাউজিনেস ডিটেকশন সিস্টেম যা মোট ৭০টি উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখবে চালকের কারণে দুর্ঘটনার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা। গাড়িটি এমন অবস্থায় চালককে সতর্ক করে দেবে। সর্বশেষ ব্যবস্থা হিসেবে আছে অটোম্যাটিকভাবে সানরুফ বন্ধ করা সহ অন্যান্য সিস্টেম যা ভেতরের কেবিনকে ঘিরে দেবে এক নিরাপত্তা বলয়ে। আরো আছে ইমারজেন্সির ক্ষেত্রে বাড়তি ব্রেকিং ফোর্স।



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:২৫

রাজর্ষী বলেছেন: ছবি নাই ক্যান? আর ২০০৯ এই ২০১০ এর গাড়ি বাজারে চলে আসে। আমি যে কুনডা কিনুম বুঝতেসিনা।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৫০

অপ্রয়োজন বলেছেন: আমি কিয়া সোউল বা নিশান ৩৭০ জি কিনার প্ল্যান এ আছি ;) নিশান এর চান্সই বেশি।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৫১

অপ্রয়োজন বলেছেন: যাই হোক, সাথে ছবি দিয়ে দিলে ভালো হতো।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:২৪

দ্যা ডক্টর বলেছেন: কাতারে এখন ২০১১ মডেলের গাড়িও চলে।


ট্রাক লাভার রা এটি নিতে পারেন।

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছবি থাকলে চয়েজ করতে সুবিধা হৈতো।

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:১৮

সাধারণমানুষ বলেছেন: Toyota Venza ২০১০


নিশান ৩৭০ জি


ক্যাডিলাক সিটিএস ওয়্যাগন ২০১০


জিপ গ্র্যান্ড চেরোকি ২০১০


সুজুকি কিজাশি ২০১০


ভক্সওয়াগন গলফ ২০১০

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৪

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: এক বাঙালি টয়োটা ভেনজা কিনলেন সরাসরি জাপান থেকে কাস্টোমাইজ করে শিপমেন্ট ২০০৯ এর শেষ দিকেই হাতে পেয়ে গিয়েছেন, মূল্য ৪০,০০০ ডলার মাত্র।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.