![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টাঙ্গাইলে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র ও পরিবহন শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাপক ভাংচুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গুরুতর আহত দুই ছাত্রকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এঘটনার জের ধরে টাঙ্গাইল বাস টার্মিনাল থেকে সকল প্রকার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পলিটেকনিক কলেজের সামনে ছাত্ররা বাসের চালক ও হেলপার কে মারধর করলে এ সংঘর্ষের সুচনা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, সকালে টাঙ্গাইলের সাগরদীঘি থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি বাস টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সামনে পৌছলে চার/ পাঁচজন ছাত্র বাসটি থামিয়ে চালক হাবিব মিয়া ও হেলপার মো. লিটন কে মারধর করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হেলপারের মাথা জখম হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল থেকে শ্রমিকরা লাঠিসোটা নিয়ে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ও মহাসড়ক অবরোধ করে। শ্রমিকদের একটি অংশ ইন্সটিটিউটের ভেতরে ঢুকে ভাংচুর চালায়। তারা কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারীকেও মারধর করে। ইন্সটিটিউট বন্ধ থাকায় এসময় কিছু আবাসিক ছাত্র অবস্থান করছিল ক্যাম্পাসে।
এরপর বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা পলেটেকনিক ইন্সটিটিউটের সামনে রাইস ডিপ্লোমা ভর্তি কোচিং সেন্টার ভাংচুর করে। সে সময় ক্লাসে ৪০/৪৫ জন ছাত্র ছিল। শ্রমিকদের লাঠির আঘাতে অন্তত ১০ ছাত্র আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আশংকাজনক অবস্থায় দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে পুলিশ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের একটি আবাসিক ভবনে তল্লাশী চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
গাড়ির হেলপার লিটন জানায়, গাড়ি ভাড়া নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। এরা পলিটেকনিকের ছাত্র না। চার পাঁচ জন কলেজ গেটের সামনে গাড়ি থামায়। পরে আমার মাথায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লিটন আরো জানায়, আমার গাড়ির যে স্টাফ ছিল তাকে মারতে আসলে সে পালিয়ে যায়। তাকে না পেয়ে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
©somewhere in net ltd.