নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাতজাগা পাখি

মাসুদ রানা হৃদয়

মাসুদ রানা হৃদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে খোলা আকাশের নীচে পাঠদান

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

প্রয়োজনীয় শ্রেণী কক্ষ ও আসবাবপত্রের অভাবে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে খোলা আকাশের নীচে পাঠদান। এতে করে মারাত্মকভাকে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান। ফলে বিরুপ প্রভাব পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে।
সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণী কক্ষ ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অভাবে বিদ্যালয়টির অফিস কক্ষের সামনে কয়েকটি বেঞ্চ ফেলে দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্লাস নেয়া হচ্ছে। গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। মারাত্মকভাকে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান। বিদ্যালয়ের প্রাচীর বিহীন একটি টিনের ঘরে চলছে প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাস কার্যক্রম। এছাড়াও বেঞ্চের অভাবে শিশু শ্রেণীতে ফ্লোরে বসে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়টিতে ১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ৬২৬ জন ছাত্র-ছাত্রী ও একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের জন্য রয়েছে মাত্র ৭ টি শ্রেণী কক্ষ। যা বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর তুলনায় অপ্রতুল। স্বাভাবিক ক্লাস কার্যক্রম চালাতে বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১২ টি শ্রেণী কক্ষের প্রয়োজন। বিদ্যালয়টিতে টয়লেট সমস্যা ছাড়াও বেঞ্চসহ অন্যান্য আসবাবপত্রের মারাত্মক সংকট রয়েছে। প্রয়োজন হয়ে পড়েছে আলাদা একটি অফিস কক্ষের। পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলাফল ও পাঠদানে গোবিন্দাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উপজেলার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। গত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাস করেছে শতভাগ। ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন শিক্ষার্থী।
খোলা আকাশের নীচে পাঠ গ্রহণরত দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারুফ, খাদিজা, নুরিয়া আক্তার, ফারজানা জান্নাত, সিয়াম আকন্দ, ফজলে রাব্বী নার্গিস, আল-আমীনসহ আরো অনেকেই জানায়, অন্যরা ক্লাস রুমে ক্লাস করছে আর আমাদের ক্লাস করতে হয় বাইরে। এতে আমাদের ক্লাস করতে ভালো লাগেনা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুর রহমান বলেন, শ্রেণী কক্ষ, বেঞ্চ ও অন্যান্য আসবাবপত্রের সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের পাঠদান কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রচেষ্টায় ক্লাস কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর মো.জাহিদুল কবির তুহিন জানান, গোবিন্দাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একটি ভালো প্রতিষ্ঠান। শ্রেণী কক্ষের চাহিদা ও অন্যান্য সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানের জন্য একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি সুনজর দিবেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

ঐ এলাকায় কি শুধু গরু বসবাস করে? মানুষ থাকলে তো কোন না কোন ব্যবস্হা করতো!

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

মাসুদ রানা হৃদয় বলেছেন: ভাই সবাই টাকার পেছনে ছুটে। মানুষের ভালো কেউ চায়না।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কি ঐ এলাকার লোক?

জুন/জুলাই মাসে আমার পোস্টে এসে ঐ স্কুলটার অবস্হা জানাবেন। আমি ব্যবস্হা নেবো।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: চাদগাজী কাকায় ভালো কইছেন। লাল সালাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.