নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাসুদ সিকদার

মাসুদ সিকদার

মাসুদ সিকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক কে

১৭ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

নাস্তিক কে
১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
কিছু দিন ধরে ব্রগে , সংবাদপত্রে , ফেইসবুকে সর্বোপরি টকশোতে একটা শব্দ খুবই প্রচারিত হচ্ছে । তা হলো নাস্তিকতা । যার ইংরেজি প্রতি শব্দ হলো Atheists বা Athism । একজন দর্শনের ছাত্র হিসাবে এই শব্দটি অতিমাত্রায় প্রয়োগ বা অপ প্রয়োগ খুবই ভাবিয়া তুলেছে । প্রশ্ন হলো Atheist কারা । বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দর্শনের পন্ডিতদের দুইটি অংশ দেখা যেত , এক আস্তিক দুই নাস্তিক । যেহতো নাস্তিক শব্দটি বেশি উচ্ছারিত হচ্ছ নাস্তিক নিয়েই আলোচনা করবে। নাস্তিক শব্দটি করো মুখে শুনলেই আমাদের গাঁ শিউরিয়ে উঠে । নাস্তিক বল্রই খারাপ । আসলে কি তাই । প্রথম দেখা যাক নাস্তিক শব্দটি কি । উইকিপিডিয়াতে নাস্তিকতাবাদরে তিনটি অর্থ দেওয়া হয়েছে - এক . বৃহদার্থে খোদা, দেবদেবি , অতিন্দ্রয়তা , অতিপ্রাকৃতিক ইশ্বরের বিশ্বসাকে প্রত্যাখান করা । দ্বিতিয়ত- There is no god. আর পরিষ্টকার করে বলা যায় - নাস্তিকতা হলো খোদা বা দেব দেবির উপর কোন প্রকার বিশ্বস্ না থাকা । দর্শন পাঠ করতে গিয়ে বিভিন্ন দার্শনিকের সন্ধান পায় যারা নাস্তিক - অগাস্ট কোৎ , গডউইন , হিরাক্লিটাস, কার্ল মাক্স , স্টুয়াট মিল, নিটশিয়ে সংশয়বাদী হিউম সহ আরও অনেকেই । উল্লেখিত দার্শনিকদের তত্ত্বের আলাচনা কম বেশি করেছিলাম । তার দর্শন আলাচনাতে শুধুমাত্র ধর্মটাকে বাদ দিয়েছেন মনে প্রাণ । তার প্রমান করতে ছেয়েছেন , জগতে ইশ্বর বলতে কিছুই নেই । জগতে যা ঘটে প্রত্যটকা ঘটনা একটা অপর একটি ঘটনার পরম্পরা ছাড়া কিছুই নয় । অনেকেই আবার মানুষের আচরনের প্রতিক্রিয়াকে মাথায় রেখে দর্শন আলোচনা করেছেন । তার মানুষের সহজাত প্রবিত্তিকে বিশ্লেষন করেছেন। - বাখ্যা করেনছেন , মানুষের সহজা প্রবিত্তি হলো সে অন্যকে নিয়ন্ত্রন করবে সাথে সাথে অন্যর দ্বার নিয়ন্ত্রিত হওয়া ।এই ভাবে যে বৃহৎ অংশকে বা রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রন করে সেও একজন নিয়ন্ত্রক খোজে । এই ভাবে খোদা বা ঈশ্বরের উপর বিশ্বস স্থাপন করে । যাই হোক কোন কোন নাস্তিক দার্শনিক দর্শন আলোচরা করতে গিয়ে মনবাতবাদী দর্শনের দিকে অগ্রসর হন শেষ মেশ মনবাতবাদী দর্শনিক বলে পরগতিন হন । আবর অনেকেই বৃদ্ধ বয়সে আস্তিক হয়েপড়েরন । খোদর উপর বিশ্বস স্থপন করেন । যেমন বৃদ্ধ বয়সে এসে ডেবিড হিউম সর্ম্পূর্ণ আস্তিক হয়েপড়েন । সবচেয়ে বড় নাস্তিক হলো - গৌতম বুদ্ধ । গৌতম বুদ্ধ নিজেই কোন দেবদেবির উপর বিশ্বস করতেন না , আর তিনিই মানব ধর্মের কথা বলেছেন । বলেছেন সগতের সকল প্রানি সুখি হোক । অর্থৎ উল্লেখিত কোন দার্শনিকই কোন ধর্ম বা ধর্মের বিশ্বস উপর কুরাচিপূর্ণ কথা বলেননি । ধর্মগুরুদের পবিত্র জীবন ব্যক্তিগত জীনন নিয়ে কখনো কু মন্তব্য করেননি। কয়েকজন আছেন যার শস্তা জনপ্রিয়তা লভের আশায় নিজ ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করেছেন । যেমন তাসলিমা নাসরিন অথবা সালমান রুশদি। অবশ্যই নাস্তিকতা কে অনেকেই প্যাশান হিসাবে গ্রহন করে থাকে , নিজেকে নাস্তিক বলে অনেকেই একধরনের বহবা খুজেন । অথচ প্রকৃত নাস্তিকেরা কখনো কোন ধর্ম গুরু অথবা ধর্ম কে নিয়ে কটুউক্তি করেন নি , বরং সন্মন দেখিয়েছেন আরেকজনের বিশ্বস কে । পত্রিকার মারপতে আমরা যা দেখলাম অথবা ব্লগে যা পড়লাম তা এত কুরুচিপুর্ন যে মুখে উচ্চারণ করা যায়না । উক্ত কথাগুলো যদি আমার বাবা অথাব অন্য কারো বাবাকে নিয়ে অথবা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবনন্ধুকে নিয়ে বলা হতো । তাহলে আমার বা আপনার অথবা সমগ্র দেশের অবস্থা কি হতো । মানুষের সবছেয়ে স্পর্শকাতর বিষয় হলো তার ধর্ম । মানুষের এই জায়গায় কেউ হাত দিতে পারেনা । তার সবচেয়ে বড় উদাহরন হলো - সম্পতি আমেরিকায় চিত্রিত Nosiness of Muslim. এর প্রতিক্রি
য়া । উক্ত ছবির পরিচালকের বিরুদ্ধে নাস্তিক দেশ ব্রাজিল গ্রেপ্তারী পরোয়ানা যারি করে । আমেরিকার সরকার তকে গ্রেপ্তার করে । আমর কথা হলো্ ঐ সমস্ত লোকগুলো যাদেরকে নাস্তিক বলা হচ্ছে যারা ব্লগে বা ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধর্ম বা ধর্মগুদের নিয়ে যে কুরুচিকর কাথা বা কাহিনি লিখতেছে তার আসলে নাস্তিক না । তারা হলো ধর্ম বিদ্বেষি বা ধর্মদ্রোহি । এদরেকে নাস্তিক বলে সন্মানিত করা বা প্রকৃত নাস্তিকদের কাতার আনবেন না ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.