![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেইসবুকে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই কুরবানির উদ্দেশ্য বলতে বুঝতে চাইতেছেন, মনের পশুকে বদ করা । তাঁরা কুরবানী মর্ম বুঝতে অজ্ঞ। কুরবানী শব্দের অর্থ কারো নিকটবর্তী হওয়া। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট ব্যাক্তির আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরষ্কার লাভের আসায় নির্দিষ্ট পশু জবেহ করা। কুরবানী নিয়ে সাম্প্রতিক অতি মানবতাবাদী একদল গোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটেছে। তাহারা অলোকসাধারণকে অবহিত করাইতে চাইতেন এই বলে যে, মহামারীর এসময়ে কুরবানির পশু ক্রয়ের সমূদয় অর্থ গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিবেন। এই মতাদর্শীরা প্রথমত কুরবানির তাৎপর্যকে নস্যাৎ করার ধর্মবিদ্বেষে আক্রান্ত । মূলত দানশীল হতে হলে ধনবান হওয়া অন্যতম শর্ত নয়, অনেকেই প্রচুর বিত্তবৈভবের মালিক হয়েও দুটাকা দান করতে পারে না। দান করার জন্য একটা দানশীল মন থাকাই যথেষ্ট। দ্বিতীয়ত গরীব মানুষেরা কুরবানী দিন গরুর গোস্তের স্বাদ বা আমিষের সংস্থান হয়। প্রবাসীরা বিভিন্ন ভাবে টাকা পাঠিয়ে সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের কুরবানির ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। সবাই মিলে বছরের একটি দিন ভাল খেতে পারেন। এদিকে কুরবানির ঈদ আসলে আরেক একশ্রেণীর পশুপ্রেমী গোরক্ষক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটে। তাঁহারা পশু কুরবানিকে পশু হত্যা বলে প্রচারণা চালায়। অথচ তাঁরা সারা বছর প্রাণীজ আমিষভোজন করেন। হযরত ইব্রাহিম (আ) স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে হযরত ইসমাইল (আ) কুরবানী দেওয়ার জন্য নিয়ত করেন। এইভাবে ইসলামে কুরবানির প্রচল। তখনও নবীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শয়তান ধোঁকা দিয়েছিল। বর্তমান যুগেও সেই ধোঁকাবাজদ শয়তানের বংশধরেরা কুরবানির তাৎপর্য নস্যাৎ করার জন্য তৎপর।
©somewhere in net ltd.