![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
President and entrepreneur at Muktijoddhar Itihas Songrokkhon Committee Bangladesh
“মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ”
মোঃ জগলুল পাশা
পরিচিতি
নাম মোঃ জগলুল পাশা
পিতার নাম আলহাজ্ব আঃ সোবহান
মাতার নাম হাসিনা ভানু
স্ত্রীর নাম মাকসুদা আক্তর জাহান
মোবাইল ০১৬৭১-৪১৯০৪৭/০১৭১১-৫২০০৯৬
গ্রাম চিলার বাগ
ইউনিয়ন সোনারগাঁও পৌরসভা
উপজেলা সোনারগাঁও
জেলা নারায়াণগঞ্জ
বিভাগ ঢাকা
অন্যান্য তথ্য
মুক্তিবার্তা নং : ০১০৪০৩০৩৪৫
ভারতীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট নং : জানা নাই
বাংলাদেশ গেজেট নং : ৫৩৭
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রালয়ের সনদ নং : ম-১৬৫৬৬০/ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর সনদ নং ২০৪২৬/২১ ডিশেম্বর-১৯৯৯
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান কি না? : yes
সন্তানদের নাম ও বয়স
নাম বয়স শিক্ষাগত যোগ্যতা
মোঃ মহিবুল হাসান পাশা ৩৬ বছর এম বি এ
ডাঃ আমাতুল্লাহ্ উম্মুল ওয়ারা ( টুম্পা ) ৩১ বছর এম বি বি এস
যুদ্ধের ইতিহাস
(১) ১৯৭১ইং উত্তোর প্রদেশ দেড়াঁদুন টান্ডুয়া মিলিটারী একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহন। (২) বৈদ্যার বাজার থানা কমান্ডার BLF বর্তমান সোঁনার গাঁও উপজেলা। (৩) জাতীর জনককে নির্মম ভাবে হত্যার প্রতিবাদে ১৯৭৫ইং প্রতিবাদ সংগঠন “প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদ” এর সিনিয়র কমান্ডার ( ৩৬ জন কম্পানী কমান্ডারের মধ্যে ১ জন) এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র আন্দোলন ও যুদ্ধে লিপ্ত। (৪) মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রিয় কমান্ড কাউনসিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (এক সময় ) (৫) ১৯৬৭ইং জগন্নাথ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্র নেতা। (৬) ১৯৬৯ইং গন অভ্যুথানে সত্রিয় অংশগ্রহন এবং ছাত্রলীগের সাথে কার্যক্রম পরিচালনায় রাজ পথের কর্মি। ১৯৭১ ইং মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের সোনারগাঁও থানার কিছু গেরিলা যুদ্ধের ঘটনাঃ ************************************************* ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭১ এর আমরা সহযোদ্ধা। উল্লেখিত সময়ে আমরা সকলে গণতান্ত্রিক ও স্বাধীকার আন্দোলন এবং ৭১ এর মহান মুক্তিযোদ্ধেরও সহযোদ্ধা। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় এক সাথে ভারতে যাই। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগড়তলায় ‘শ্রীধর ভিলায়’ এক সাথে কিছু দিন যাপন করার সময় কেরানীগঞ্জ থানার সাবেক সাংসদ বোরহান উদ্দীন আহম্মদ গগন, কালীগঞ্জের নিবাসী সাবেক ছাত্র নেতা মফিজুর রহমান খান, সাবেক ছাত্র নেতা ও মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক আ.স.ম আবদুর রব, সাবেক ছাত্র নেতা ও অন্যতম সংগঠক শাহজাহান সিরাজ সাবেকমন্ত্রী সাবেক সাংসদ এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুসলেম উদ্দীন খান (হাবু ভাই) পাট বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের, সাবেক মন্ত্রী শেখ সেলিম এবং ২নং সেক্টর কমান্ডার বিএলএফ (BLF) সাবেক ছাত্র নেতা ও আবদুল কুদ্দুস মাখন ভাই সহ অনেক নেতার সহিত মুক্তিযোদ্ধাদের সাংগঠনিক কাজে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ ছিল। আমরা বিশেষ করে ৫ বন্ধু সাবেক প্রতিমন্ত্রী হাবু ভাই (মানিকগঞ্জ), সাবেক সাংসদ নবাব গঞ্জ দোহারের হারুন ভাই/বদি ভাই সহ আরও অনেকে ভারত সীমান্তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বুড়ীচং থানা হয়ে ভারতে প্রবেশ করি। আমার ৫ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন সাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং ঢাকা শহর ছাত্র লীগের সাবেক ছাত্র নেতা এবং মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক। উত্তর প্রদেশের দেড়াঁদুন টানডুয়া মিলিটারী একাডেমী থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। নং ৭ম ব্যাচ। বি.এল.এফ.। ১। শেখ আতাউর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা ২। কাজী জাহাঙ্গীর আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা ৩। পংকজ মনোহর (দেলোয়ার হোসেন) বীর মুক্তিযোদ্ধা ৪। ফজলুর রহমান ভুলু বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫। মোঃ জগলুল পাশা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেকেই গ্রুপ কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় এবং আমি সোনারগাঁও থানার কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করি। আমার সাথে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন সোনারগাঁও/নারায়নগঞ্জ বৈদ্যার বাজার (বর্তমান সোনারগাঁও) এবং ঢাকার বেশকিছু মুক্তিযোদ্ধা। বেশকিছু জায়গায় গেড়িলা কায়দায় যুদ্ধ পরিচালনা করি। আমার সাথে ছিলেন মোঃ শাহ আলম, মরহুম হাজী জিয়াউল ফারুক, প্রফেসর রুহুল আমীন বাদশা, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম, মোঃ আলম, এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর, হাজী রফিকুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার আবিদুর, মোঃ ইসমাইল হোসেন, ডাক্তার ফরহাদ, শহীদ আজিজুল এবং তার গ্রুপ, মরহুম সাবেক সাংসদ মোবারক হোসেন, মরহুম মোতাহার হোসেন সহ ৪৫ জনের একটি গ্রুপ (বিএলএফ) ভারত থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত আমাদের সাথে যুদ্ধ চলাকালীন ঋ.ঋ. ট্রেনিং প্রাপ্ত (ভারত) কমান্ডার মাসুদ গ্রুপ, ওসমান গনি গ্রুপ, সোহেল গ্রুপ, শফিকুর রহমান গ্রুপ, শহীদ মালেক গ্রুপ, আমিনুল ইসলাম বাদশা ভাই গ্রুপ, মীর মোতাহার হোসেন গ্রুপ সহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেকেই শহীদ হয়েছেন যুদ্ধ চলাকালীন। স্থানীয় ভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হয়ে অনেকে যোদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। বরিশালের ঢাকায় অবস্থানরত আ.স.ম মোস্তোফা কামাল স্থানীয় ভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং আমার সাথে ঢাকায় ও অন্যান্য স্থানে যোদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১। ভারত থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র সহ প্রবেশের সময় সিএন্ডবি রাস্তা পার হওয়ার পর একটি বিরাট বিল পাড়ি দেওয়ার সময় বুড়ি চং থানা এলাকায় যাবার কাছা কাছি রাজাকারদের পাহাড়া দেওয়ার সময় ওদের খবরের ভিত্তিতে গভীর রাতে পাক হানাদার বাহিনী আমাদের গ্রুপের উপর অতর্কিত হামলা চালান। স্থানীয় কিছু জনতার সহযোগিতায় রাতের আধারে আমরা ঐ আক্রমন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছি। তবে কুমিল্লার ১টি গ্রুপের কয়েকজন গুরুতর আহত হন। রাস্তা পরিবর্তন করে আসার সময় ওদের কোন খোঁজ খবর নিতে পারিনি। ২ দিন যাবত আমরা কিছু খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারিনি। আমরা ছিলাম ক্লান্ত কারন তখন প্রস্তুত ছিলাম না। গ্রামবাসীরা ২ দিন পর দুপুরের সময় কিছু শুকনো চিড়া/গুড় এবং বড় ধরনের আটার রুটির ব্যবস্থা করে দিয়ে ছিলেন। প্রান ভরে সকলেই খেয়ে দেয়ে আবার রওনা দেই বৈদ্যার বাজার থানার উদ্দেশ্যে। অবশ্য ঐ সময় কিছু সময়ের জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বৈদ্যার বাজার বর্তমান সোনারগাঁও উপজেলা যাওয়ার উাদ্দেশ্যে বিরাট নদী মেঘনা পার হওয়ার সময় সাংঘাতিক বিপদের মুখে পরি। আমরা তখন কিছুটা প্রস্তুত অবস্থায় ছিলাম। এবং ক্লান্তিও কিছুটা কমে আসছিল। মহান আল্লাহ পাক তখন আমাদের শক্তি দান করেছিলেন। বিরাট মেঘনা পার হওয়ার সময় দেখি বেশ দূরে পাক হানাদার বাহিনীর দুইটি গানবোট পর পর আসছে। আমরা সাহসিকতার সাথে নৌকা গুলো নদীর পারে নিয়ে গেলাম। কিছু মুক্তি যোদ্ধা অস্ত্র ও গোলাসহ এবং 2” মটার, ও বাঘা LMG সহ বাদশা কে বললাম এক মাত্র উপায় ওদের সাথে গুলি বিনিময়। নতুবা আমরা পাক হানাদারদের এ্যাটাকে পরে যাব। ওরা তখন দূর থেকে দূরবিন যন্ত্র দিয়ে নিশ্চই দেখেছে তা না হলে গান বোটের গতি বাড়াল কেন। তাই হল কথা মত কাজ আমরা পজিশন নিয়ে নিলাম বিভিন্ন যুদ্ধের কৌশলে। পাক হানাদারদের গান বোটের গতি বাড়িয়ে দিল আমাদের নাগালের কাছে আসতেই ওরা প্রথম গান বোট থেকে গোলা ছোড়ল গ্রামবাসীর উপর। মহিলা/বাচ্চা বুড়ো সবাইকে তখন গ্রাম ছেড়ে অনেক দূরে সড়িয়ে দিলাম। অবশ্য গ্রামের যুবক ও পুরুষগণ আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন। তারা আমাদের উপর গোলা ছোড়ার সাথে সাথে ঐ চলন্ত লঞ্চের উপর আমরা LMG থেকে SLR এবং রাইফেল থেকে গুলাবর্ষন শুরু করলাম, 2” মর্টার ব্যবহার করিনি এবং Hand গ্রেনেড ও ব্যবহার করতে হয়নি। ৩০ মিনিট যুদ্ধ চলার পর তাদের গান বোটের বেশ ক্ষতি হয়। ১টি গানবোট ফেলে পিছু হটে যায়। তারা পিছু চলে যাওয়ার পর হতাহত হওয়ার কোন খবর তাৎক্ষনিক পাইনি। আমাদের কোন হতাহত হয়নি। তারা ভেবেছিল আমরা অনেক শক্তিশালী এবং সংখ্যায় অনেক বেশী। আমরা নদী পথ বদল করে সোনারগাঁয় চলে গেলাম যদিও পরের দিন তারা ঐ গ্রাম পুড়ে দিয়েছিল। কোন হতাহত হয়নি। আমরা খুব ক্লান্ত ২ দিন বিশ্রাম নিলাম। গ্রামবাসী আমাদের ভাগ করে বিভিন্ন বাড়ীতে ঘরের কাড়ে এবং ঘরের মাচায় থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং ভাত/ডাল ও আলু ভর্তার ব্যবস্থা করেছিলেন। অনেকে অসুস্থ্য হয়ে গিয়েছিলেন। ডাঃ রোস্তাম আলী (গ্রামবাসী) এবং ওনার সহযোগী আমাদের সাহায্য/ঔষধের ব্যবস্থা গুলি বের করার চিকিৎসা করতেন। বর্তমানে ওনি বেঁচে আছেন কিন্তু খুব অসুস্থ্য। আমরা গেরিলা যুদ্ধের নিয়ম অনুযায়ী পাক হানাদার বাহিনীর উপর এবং রাজাকারদের উপর আক্রমন শুরু করলাম। আমাদের কৌশল ছিল হিট এন্ড রান। তাই তারা ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পরতে লাগলো। একটি কথা শুরুতেই লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম। এপ্রিল মাসের শেষে তখনও ভারত যাইনি। আমি এবং আমার বাল্য বন্ধু বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোতাহার হোসেন খোকা। ভারত থেকে নিয়ে এসেছে গ্রেনেড এক বন্ধু নারায়নগঞ্জের বন্দর থানার মুক্তিযোদ্ধা শুনে হানাদার বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে চাউলের বস্তায় করে আমি ও খোকা ১টি গ্রেনেড লুকিয়ে হানাদার বাহিনীর সামনে দিয়ে নানীর বাড়িতে নিয়ে আসি এবং নানির হাতেই দিয়েছি বাড়ির ঘরে কারের মধ্যে রাখার জন্য। নানী বললেন এইটা কিরে আমি বলেছি একটি লোহার কমলা লেবু। আমার নানীতো মাকে নিয়ে কোথায় পালাল। ভয় পেয়েছিলেন। ঐ গ্রেনেডটি বিষ্ফোরোন ঘটাই আমি ও বন্ধু খোকা মোগড়া পাড়া বাজারের এক সরকারী তহ্শিল অফিসে। তখন ঐ অফিসের কাছেই পাক হানাদার বাহিনী রাজাকার ও তাদের সহযোগীরা স্কুলে বসে মিটিং করছিল। সময়টা ছিল এশার নামাজের আযানের পূর্বে। তখন জোড় বৃষ্টি হচ্ছিল। বিষ্ফোরোনের শব্দে হানাদার বাহিনী মুহূর্তের মধ্যে ছুটে পালাল এবং গ্রাম বাসী ভয়ে ভীত হয়ে কয়েকদিন গ্রাম ছাড়া। তবে হানাদার বাহিনী ঐ এলাকায় আসা মোটামোটি স্থগিত করেছিল। ভারত থেকে আমরা আসার পরতো এলাকা আমাদের দখলেই ছিল। পর পর অনেক আঘাত করেছি তাদের উপর। ওরা চলা ফেরায় কোনঠাসা হয়ে পরেছিল। জীবনের ভয় কার না থাকে। সীমিত লিখতে বলেছেন তাই অল্প কথায় শেষ করব। ১। নাঙ্গল বন্দ ব্রীজে আক্রমন করেছি হতাহত ওদের এবং আমাদের ও রাত ১১ ঘটিকার সময়। জীবিত ধরতে পারিনি। BLF এবং FF বাহিনীর যৌথ অভিযানে। FF কমান্ডার শহীদ মাসুদ সাহেব ছিলেন আমাদের সাথে যুদ্ধোক্ষেত্রে। ১৬ই ডিসেম্বর এর পরে কে বা কাহারা ওনাকে হত্যা করেন। ২। মদনপুর ব্রীজে আক্রমণ পাক হানাদার বাহিনীর পলায়ন আমাদের আহত হয়েছে নিহত হয়েছে ২ জন। ৩। কাঁচপুরে আক্রমন করেছি সিএন্ডবি রোডে গাড়ী বহরে আমাদের গুলিতে নিহত ওদের কয়েকজন পরের দিনে ওরা আক্রমন করে গ্রামের জনগণের ওপর সেখানে নিহত হন। কয়েকজন মিলে গ্রুপ কমান্ডার শহীদ আজিজুল এবং তার পিতাকে হত্যা করা হয়। বেয়নট চার্য করে হত্যা করে। ইতিহাসে সত্য লিখতে হয়। আনন্দ বাজারে আক্রমণ করে ওদের পাকহানাদার বাহিনীর মালামাল জব্ধ করি আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা। হতাহত নেই। কিছু দিন পর শহীদ কমান্ডার মালেককে এন.এম চৌধুরী বাচ্চু গং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিশোধ মূলক আক্রমণ করে হত্যা করে। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি এবং ঐ হত্যার প্রতিশোধ নিতে দিধাবোদ করিনি। ৩। ওরা শহীদ হল আমাদের মহাকুমা কমান্ডার এনএম চৌধুরী বাচ্চুর হাতে। হত্যা করে নারায়নগঞ্জের বাচ্চু গং। ৪। ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এবং প্রতি হিংসার বশিভূত হয়ে রাজাকার কাচপুর ব্যবসায়ী ওমর আলী মিস্ত্রি তাদেরকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ৫। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা রায়হানকে হত্যা হয় একই কায়দায়। আমি সব সময় অন্যায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি এবং ফলাফলও পেয়েছি। ৬। বৈদ্যার বাজার থানার উপর সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আক্রমন করেছি হতা হত হয়েছে অনেক পাক বাহিনী ও রাজাকার আহত হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধারাও। ৭। সোনারগাঁও পার্কের সামনে এমবোস করেছে এবং আক্রমন করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনির নেতৃত্বে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা এনটি ট্যাংক মাইন পোতা হয়েছিল পাক হানাদার বাহিনীর যাতায়াত পথে। একদিন পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের প্রতিমন্ত্রী পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী এসএম সোলায়মান ঐ রাস্তায় যাওয়ার কথা ছিল। ভাগ্যক্রমে সে যায় নি। শিকাড়ে পরিনত হয়েছিল যাতায়াত না করো সত্যেও তাহাজউদ্দীন, গ্রাম্য বালক বসু, ড্রাইভার আলাউদ্দিন সে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল। আজও সে বেঁচে আছেন। কিছু দিন পর নিষেধ করা সত্যেও জাপানী ২জন সাংবাদীক ভক্স ওয়াগণ গাড়ী সহ উড়ে যায় মাইনের বিষ্ফোরনে। সংবাদপত্রও ছাপা হয়েছিল। ঐ বিষ্ফোরন কে কেন্দ্র করে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাক হানাদার বাহিনীর উত্তেজনাকারী যুদ্ধ হয়। তাদের ও নিহত হয়েছিল কয়েকজন। এবং আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাও শহীদ হন কয়েকজন। আহত হন অনেকে। খন্ড খন্ড অনেক যুদ্ধ হয়েছিল সোনারগাঁয়ে। তখন কার সংবাদপত্রে খবর ছাপা হত রিতিমত। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকেও সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। আকাশবানী বেতার কেন্দ্র ও বিবিসি থিকে প্রচার হয়েছে যথারিতি। সবচাইতে বড় যুদ্ধ হয় কাইকারটেক থেকে আরম্ভ করে নবীগঞ্জ হয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর এপার ওপার। মিত্রশক্তি ও আমরা একসাথেই যুদ্ধ করেছি। ঐ দিন অনেক হতাহত হয়েছিল। দিনগুলি ছিল ১২ই ডিসেম্বর থেকে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে। ১৯৭৫ ইংঃ ******* মহান জাতির মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর বসে থাকতে পারলাম না। আমার মনে হয়েছিল সেটা আমার জন্য কাপুরুষে কাজ হত। আমার পিতার কোন আর্থিক অভাব ছিল না। আমার নামে সারা দেশে কোন মামলা/জিডি ছিল না সুতরাং ভারতে গিয়ে কোন অন্যায় করিনি। যাওয়ার কথা ছিল না। বিবেকের তারনা একটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর মত মহনা নেতাকে হত্যা করল। যিনি দেশ দিলেন/পতাকা দিলেন এদেশের মানুষকে ভাল বেসে জীবনে প্রায় ১৪টি লাল গোলামের মত বৎসর কারাগারে জীবন যাপন করলেন। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলেন। সবই তো আমাদের জন্য এবং আমাদের দেশের জনগনের জন্য। আমাকে উনি ব্যক্তিগত ভাবে ভাল বাসতেন যখনই সুযোগ পেতাম ৩২ নং সেই বাড়িতে উনাকে সালাম করতে যেতাম আদর করে বলতেন পাশা এসেছিস, তোরা ভাল আছিস তো। ঠিকঠাক মত কি কাজকর্ম চলছে বলে ১০০ টাকার ১টি নোট আমাক হাতে গোজে দিতেন। বলতেন খেয়ে নিস। জিজ্ঞেস করে বলে দিতেন ঢাকা কলেজের রাস্তার ওপারে ১টি হোটেল আছে কলেজ বরাবর ওখানে বড় রুই মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডালের মুড়ি ঘন্ট তৈরী হয়। তোরা পেট ভরে খেয়ে নিস। কাজ কর লেখাপড়া কর ভয় নেই। আমরা ওনার সাথে মাঝে মধ্যে অনেক গল্প করার সুযোগ পেতাম । যদিও আমি সালাম করতে গিয়ে ওনার কোমড় পর্যন্ত পরে থাকতাম প্রতিবার দেখা হলে আমার ঘাড় নিচু করে হালকা ভাবে আদর কিল মারতেন। ১টি ছোট গল্প বলব। আমাকে নিয়ে ওনার প্রিয় আব্বার চেহলামে আমাকেও নিয়ে গিয়েছিলেন টুংগীপাড়ায় গাজী স্টীমারে দুই দিন আমরা ওখানে ছিলাম হাসিনা আপা শেখ কামাল ভাই সহ বিশ্বাস ঘাতক খন্দকার মুসতাক আহাম্মেদ, কোরবান আলী, গাজী গোলাম মোস্তাফা সহ অনেকেই টংঙ্গীপাড়ায় ছিলাম। আসার সময় পদ্মা নদীতে গাজী স্টীমার থামিয়ে সূর্য উঠে উঠে সময়ে উনি নিচের ডেকে নেমেছেন নাইট ড্রেস পড়া হাতে সেই চিরাচরিত নিয়মে পাইপ। দেখতে সূর্যের কিরন সত্যিই বাংলাদেশের রাজার মত। রাজার রাজা। সাথে ছিলেন বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহাম্মেদ, পাশে বাংলার মীর জাফর বঙ্গবন্ধুর ঘাতক খন্দকার মোস্তাক আহমদ এবং পাশে কোরবান আলী ও মহান নেতার বডিগার্ডগণ এবং শেখ ফজলুর হক মনি ভাইও ছিলেন। আমি এবং সৈয়দ শামসুল কাউনাইন কুতুব (শ্যামলী) হঠাৎ স্টীমার থামল নেতার নির্দেশে। পদ্মায় তখন ইলিশ মাছ ধরছিল জেলেরা। স্টীমার গাজী থামতেই ইলিশমাছের নৌকাগুলো সব ভিড় জমালো ডেকের পাশে। তাৎক্ষণিক জেলেরা বঙ্গবন্ধুকে চিনতে পারছিলেন না। বঙ্গবন্ধু জেলেদের জিজ্ঞেস করলেন তোমাদের মাছ গুলো সব আমি কিনে নেব। কত হবে দাম। এক একজন একেক রকম বললেন। তোফায়েল ভাই ব্যাপারটা বুঝতে পারছিলেন ভাবলেন ওরাতো বঙ্গবন্ধুকে খেয়াল করছে না। তাই একটু জোরে সোরে তোফায়েল ভাই বলে উঠলেন এই যে জেলে ভাইগণ তোমরা তো বঙ্গবন্ধুর সাথে দরদাম করছ। বলতে না বলতেই সবাই লাফিয়ে স্টীমারের ডেকে উঠে সালাম করতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন সব মাছ বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে দিলাম। বঙ্গবন্ধু বললেন বেশ ভাল। তোমরা ভাল আছ। আমি সব মাছ নিয়ে নিলাম। কিন্তু আমার কাছে তো এখন অত টাকা কাছে নেই। অবশ্য জোক করেই বলছেন আর হাসছেন। দাও আমাকে দিয়ে দাও। যা কথা তাই কাজ। সবগুলো মাছ তোলে দিল জেলেরা। মহান নেতা তোফায়েল ভাইকে বললেন ওদের যত টাকা ন্যায্য দাম তার চেয়ে বেশি পরিমান দেওয়ার ব্যবস্থা করেদিয়ে দাও। তাই হল। কি আশ্চর্য ইতিহাসের পাতা ও কথা। বঙ্গবন্ধু স্টীমার ছাড়ার নির্দেশ দিলেন এবং বলে দিলেন। আমার সাথে যারা অতিথি সবাইকে ২টি করে মাছ দিয়ে দাও। বাসায় নিয়ে খাবে। বঙ্গবন্ধুর এই মিষ্টি কথা এই দৃশ্য কি কখনো ভুলা যায়। তাই আমি, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দীকি বীর উত্তমের ডাকে প্রতিবাদের যে ঝড় উঠেছিল সেই প্রতিবাদ করার জন্য ১৯৭৫ প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদে যোগদান করি। যোগ্যতা অনুযায়ী ৩৬ জন কোম্পানী সিনিয়র কমান্ডারের মধ্যে আমিও স্থান পেয়ে যাই। সীমান্তে প্রতিবাদ করেছি সশস্ত্র যুদ্ধ করেছি সে এক করুণ ইতিহাস। আরো অনেক বলার আছে। কষ্টের কথাতো উল্লেখ করলাম না। (মোঃ জগলুল পাশা) বীর মুক্তিযোদ্ধা “প্রতিরোধ যোদ্ধা পরিষদের সিনিয়র সংগঠক” সোনারগাঁও, বাংলাদেশ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ।। তবে তথ্যসুত্রই যে প্রধান এটা ভুলে গেলে চলবে না।। ব্লগে দিন দিন প্রতিষ্ঠিত হোন এই কামনায়।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪
ওমেরা বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।