নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

>>>>>>আবদুল্লাহ-আল-মাসুম

আবদুল্লাহ-আল-মাসুম

আবদুল্লাহ-আল-মাসুমব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নির্বাহীওয়ার্ল্ড টিভি লিমিটেড৩১ পুরারনা পল্টন।০১৭১৬ ০৮৯ ০৮৯.

আবদুল্লাহ-আল-মাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে ৫০০ টিভি চ্যানেল হলে ক্ষতি কোথায় ?

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১



আজ পাঁচটি বছর হয়ে গেলো-একটি টিভি চ্যানেলের অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি।



সিংগাপুরে একটি চ্যানেলের অনুমোদন দিতে সরকার সময় নেয় মাত্র ৬ সপ্তাহ, তদ্রুপ নেপালে

প্রয়োজন হয় সাড়ে তিন মাস। প্রয়োজন হয় ৫ হাজার ডলার বা সাড়ে তিন লাখ টাকা।

জার্মানিতে ৫০ ভাগ ইনসেনেটিভ দেয় সরকার।



আর,

আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে

সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থার ক্লিয়ারেন্স পেতেই লেগে গেলো ৪ বছর।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়,

এস বি, এন এস আই আর ডিজিএফআই এর ছাড়পত্র পাওয়া সত্বেও তথ্য মন্ত্রনালয় গত ১০ মাসে আমার চিঠিটি ইস্যু করে নাই।



অথচ-এতো বছর স্বরাষ্ট্রের ছাড়পত্রের জন্য আমাকে আটকে রেখেছে।

স্বরাষ্ট্র আমাকে ডিজিএফআই এর ছাড়পত্রের জন্য এন ও সি দিতে পারে নাই।



অপর দিকে প্রধানমন্ত্রীর মৌখিক সম্মতির জন্য ডিজিএফআই আমার ছাড়পত্র দেয় নাই।

অবশেষে., সাড়ে তিন বছর পর আমি ডিজিএফআই এর ও ছাড়পত্র এনেছি।

প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন করে, কার্যালয় থেকে এ জন্য চিঠিও ইস্যু হয়েছে।

৬ জন ব্রিগেডিয়া জেনারেল তদন্ত করেছে আর ৩ বছর অবজার্ভ করে ডিজিএফ্ছআই ছাড়পত্র

দিয়েছে আমাকে।



এখন তথ্য মন্ত্রনালয় নানান ছুতোয়

আমার প্রাপ্য চিঠিটি আমাকে দিচ্ছে না।

তথ্য মন্ত্রীর সঙ্গে আমি অনেক বার দেখা করেছি।

ভদ্রলোক ভালো মানুষ।

টাকা পয়সার কোনো লোভও নাই বিন্দু মাত্র।

দেখা করলেই উনি বলেন- প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে উনি ইনফরমালি কথা বলবেন।

আমি বলেছি - এই তো প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ছাড়পত্র ।

প্রধানমন্ত্রীর ভয়ে উনি পাশ কেটে যাচ্চেন না কি

প্রধানমন্ত্রীর নাম দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন আমি জানি না।

আজ আট মাস অতিবাহিত হলো, মন্ত্রী মহোদয় এ ব্যপারে নিশ্চুপ।

আমি যদি অনুমোদন না পাই, আমাকে কেন অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না, জানানো হচ্ছে না কেন >?

আর,

অনুমোদন যদি না ই দেয় হয় - পাঁচ পাঁচটি বছর ধরে এই ছাড়পত্র প্রদান নাটকের অর্থ কি ?

সাড়ে চারশ' আবেদনের মধ্যে মাত্র ৪ টি চ্যানেল সমস্ত ছাড়পত্র পেয়েছে।



সরকারকে ভ্যাট দেবো ,

ট্যাক্স দেবো।

শ' খানেক লোকের বেকারত্ব ঘুচাবো।

কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

আমি কাউকে একটি কানা কড়ি দেবো না, অনুমোদনের জন্য।

আমি দেখতে চাই-

এই দেশে- টাকা ছাড়া শেষ পর্যন্ত কাজ হয় কি না ঃ>?



বাংলাদেশে আমি গোটা পাঁচটি টিভি চ্যানেল চালাবো।

একটার অনুমোদন বের করতেই যদি এতো ভোগান্তি

...তাহলে উদ্যোক্তার মন নষ্ট করে সরকারের লাভ কি ?



যে কোনো উদ্যোক্তাকে ভদ্র আর সভ্য , গনতান্ত্রিক সমাজে একজন রাষ্ট্রপতিও সম্মান করে।

আমাদের দেশে ফাইল আটকে দিতে পারলেই একেক জন ইয়া বড় অফিসার মনে করে নিজেদের।

আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা আমি মনে করি না।



এটি আসলে এই সমাজের ব্যধিগ্রস্ত মানসিকতারই প্রতিফলন।



এই যে আমি ৫ বছর পেরেশানি হলাম- এ জন্য কে দিবে আমাকে ক্ষতি পূরন ?





আমার মনে শুধ্ু একটাই প্রশ্ন---

একটি রাষ্ট্র আর রাষ্ট্রের আইন, সরকার বড়

না কি

একজন ব্যক্তির মর্জি বড় ?



আমার টিভি চ্যানেলের অনুমোদন হয় না কেন ?

বিশেষ ব্যাক্তির মর্জি হচ্ছে না , এই জন্য /

না কি

বিশেষ ব্যবস্থায় চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে না , এই জন ?





খুব আশ্চর্য লাগে।

অনেক দিন জমে থাকা , মনের কথা গুলো বললাম।

আমাকে চোরা গোপ্তা হামলায় হত্যা করুন

নতুবা

অনুমোদন নিশ্চিত করুন।





আর ভালো লাগে না।

অন্তত কয়েক হাজার বার আমি স্ব রাষ্ট্র, তথ্য এবং গোয়েন্দা সংস্থা আর প্রধানমন্ত্রী

কার্যালয়ে দৌড় ঝাপ করেছি।

কেউ ই কিছু করতে পারে না।

আশ্চর্য।



বাংলাদেশে ৫০০ টিভি চ্যানেল হলে ক্ষতি কোথায় ?

রাস্ট্রীয় ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা দেখলে তো সরকার বন্ধ করে দিতে পারছে।

অসুবিধাটা কোথায় ?































মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.