নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তীর্থক

এহতেশাম উদ্দিন

আমার সম্পর্কে বলার কিছুই না। সাধা-সিধে মানুষ।।চাকরী করি, আইটি নিয়ে কাজ করি। গান শুনি। কবিতা-উপন্যাস/গল্প পড়ি। কারো চাটুকার করি না। সত্যকে উম্মোচন করি ।

এহতেশাম উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫-১৭ মে ২০১৪ অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল ই-বাণিজ্য মেলা ২০১৪ !

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৫০

গতবছর ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং লন্ডনে সফলভাবে ই-বাণিজ্য মেলা সম্পন্ন হবার পর চলতি বছরে ১৫ই মে তারিখে বিভাগীয় শহর বরিশালে প্রথম ই-বাণিজ্য মেলা ২০১৪ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মেলাটি হবে বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে। ৩ দিন ব্যাপি এ মেলা শেষ হবে আগামী ১৭ তারিখে। মেলাটি আয়োজন করছে কমপিউটার জগৎ এবং বিভাগীয় প্রশাসন, বরিশাল। সহযোগিতায় রয়েছে জেলা প্রশাসন, বরিশাল এবং মেলাটি পৃষ্ঠপোষক করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, তথ্য প্রযুক্তি বাংলাদেশে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযু্ক্তি মন্ত্রণালয়। মেলা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। বরিশাল এবং ঢাকার বিভিন্ন ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা সমূহ মেলায় আগত দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরবে। ই-বাণিজ্য মেলার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এহতেশাম উদ্দিন মাসুম বলেন, দেশে ই-বাণিজ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।”







বাংলাদেশে এক দশকেরও বেশি সময় ই-বাণিজ্য চালু হয়েছে।কিন্তু প্রয়োজনীয় আইন, অনলাইনে নিরাপদ লেনদেন ব্যবস্থার অভাব এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ই-বাণিজ্য সেভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে অনলাইনে অর্থ লেনদেন চালু হয় এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশে ই-বাণিজ্যের যাত্রা শুরু হয়।কিন্তু ই-বাণিজ্য নিয়ে জনসাধারণের মনে অনেক সন্দেহ এবং ভয়ভীতি বিরাজ করত।মানুষের মন থেকে ই-বাণিজ্য সম্পর্কে সন্দেহ দূর করতে, ই-বাণিজ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং দেশীয় ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবা সকলের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্য সরকার বিভাগীয় শহরগুলোতে ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে।



মেলায় দেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি মোট ৩০টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য এবং সেবা সমূহ জনসাধারণের কাছে তুলে ধরবে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জাতীয় মহিলা সংস্থা, রূপালি ব্যাঙ্ক, এস এস এল কমার্জ, স্মার্ট প্রিন্টিং সলিউশন্স, টেক ওয়ার্ল্ড, লার্ণিং এন্ড আর্নিং, মৌ-চাষি কল্যাণ সমিতি, ক্রিয়েটিভ আইটি, গিগাবাইট, বাংলালিঙ্ক, ই-সুফিয়ানা, আই-মেশ, সোনালি ব্যাংক লিঃ, আপনজোন.কম, বাংলালায়ন ওয়াইম্যাক্স, অ্যারামেক্স, জবসবিডি.কম, সাত রঙ, বরিশাল জেলা, বরগুনা জেলা, ভোলা জেলা, ঝালকাঠি জেলা, পটুয়াখালী জেলা, পিরোজপুর জেলা, উপ-পরিচালকঃপ্রাথমিক শিক্ষা, বরিশাল বিভাগ, উপ-পরিচালকঃকৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, পরিচালক, বাংলাদেশ টেলি-কমিউনিকেশন লিঃ এবং কমপিউটার জগৎ।



পণ্য এবং সেবা প্রদর্শনীর পাশাপাশি মেলায় ই-বাণিজ্যের উপরে বিভিন্ন সভা এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে যেখানে আইসিটি সেক্টরের অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্বরা মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন।



মেলার প্ল্যাটিনাম স্পন্সর হলো কমজগৎ টেকনোলজিস, গোল্ড স্পন্সর ই-সুফিয়ানা.কম, এবং সিলভার স্পন্সর হচ্ছে রিকোহ এশিয়া প্যাসিফিক প্রাইভেট লিঃ। মেলার গেমিং জোন পার্টনার হলো গিগাবাইট, কমিউনিকেশন পার্টনার আপনজোন.কম, মিডিয়া পার্টনার হলো বরিশাল নিউজ এবং ওয়েবটিভি নেক্সট, ক্রিয়েটিভ পার্টনার হলো ক্রিয়েটিভ আইটি, ব্লগ পার্টনার হচ্ছে সামহোয়্যার ইন...ব্লগ, এবং সাতরং সিস্টেমস হচ্ছে মার্কেটিং পার্টনার।



মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ গাউস এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এন আই খান, সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ্ম সচিব শ্যামা প্রসাদ বেপারি, বরিশাল পুলিশ কমিশনার মোঃ শামসুদ্দিন, বরিশাল জেলার ডেপুটি কমিশনার মোঃ শহিদুল আলম, এবং সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল হক।



মেলার বিভিন্ন আপডেট পেতে http://www.facebook.com/ECommerceFair ঠিকানায় ভিজিট করুন। এছাড়া মেলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট http://www.e-commercefair.com থেকেও জানা যাবে প্রয়োজনীয় তথ্য।



পিছন ফিরে দেখাঃ

কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় আইসিটি ম্যাগাজিন। আইসিটি সেক্টরকে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তোলার জন্যে পত্রিকাটি নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করা ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরণের মেলা, সভা, সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে এসেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে কমপিউটার জগৎশাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গ্রন্থাগারে প্রথম তিন দিনব্যাপী ই-বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে। এই মেলার শ্লোগান ছিল “ঘরে বসে কেনাকাটার উৎসব।”ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এই মেলার উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য যে, দেশের প্রথম ই-বাণিজ্য মেলা হিসেবে ঢাকার এই মেলাটি বিশাল সাফল্য লাভ করে। মেলাতে ৮০,০০০ দর্শনার্থীর সমাগম হয়। মেলাতে সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে সর্বমোট ৩১টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে এবং তাদের পণ্য ও সেবা দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরে। মেলাতে পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি পাঁচটি সেমিনারের আয়োজন করে যথাক্রমে বেসিস, ক্রিয়েটিভ আইটি, ডেভসটিম, ঢাকা ডিসি অফিস এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)। এসব সেমিনার গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ‘ই-কমার্স নেটওয়ার্কিং।’এতে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম খান (এন আই খান), ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব জিল্লুর রহমান প্রমুখ। সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ ই-বাণিজ্য বিষয়ক নীতিমালা বাস্তবায়নের কথা বলেন। ‘ইন্টারনেট মার্কেটিং ফর ই-কমার্স’শীর্ষক সেমিনারে ই-কমার্স সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে আলোচনা করেন ডেভসটিম লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাসির উদ্দিন শামীম। বিডিওএসএন এর আয়োজনে ‘ই-বাণিজ্য: গল্পগাঁথা’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ই-বাণিজ্য সাইট এখনি ডটকমের প্রধান নির্বাহী শামীম আহসান ও রকমারি ডটকমের প্রধান নির্বাহী মাহমুদুল হাসান সোহাগ।



কমপিউটার জগৎ মেলাটি লাইভ ওয়েবকাস্ট করে যা সারা বিশ্বে ৫০,০০০ দর্শক উপভোগ করেন।  

মেলার আহ্বায়ক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা একটি প্রাথমিক পর্যায়ের জরিপে দেখেছি, বাংলাদেশে প্রায় ২০০টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে ই-কমার্সের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। আমরা এসব প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছি আমাদের আয়োজনে।’ ই-বাণিজ্য মেলা ২০১৩ এর প্ল্যাটিনাম স্পন্সর ছিল টেলিটক বাংলাদেশ এবং সেল বাজার, গোল্ড স্পন্সর ছিল বিকাশ এবং এসএসএল কমার্স। মেলার অর্গ্যানাইজিং পার্টনার ছিল কমজগৎ টেকনোলজিস, সিজেসফট, ওয়েবটিভি নেক্সট, এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক। সাপোর্টিং পার্টনার ছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস(বেসিস), পার্টনার ছিল আজকের ডিল.কম, এখনি.কম, মিডিয়া পার্টনার ছিল সময় টিভি, রেডিও পার্টনার ঢাকা এফএম, স্ট্রাটেজিক পার্টনার ওয়ালেটো, ওয়েবসাইট পার্টনার বাংলানিউজ২৪.কম, ব্লগ পার্টনার সামহোয়্যারইন...ব্লগ, নলেজ পার্টনার বিডিওএসএন, কমিউনিকেশন পার্টনার সফটকল এবং ইন্টারনেট পার্টনার ঢাকাকম।



ঢাকা্ ই-বাণিজ্য মেলা ২০১৩ এর সাফল্য কমপিউটার জগৎকে আরও উৎসাহিত করে। তারা তখন দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঐ বছরের এপ্রিলে সিলেটে ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হয়।সিলেট জিমনেশিয়ামে ৪ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল এ মেলার আয়োজন করা হয়।সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলে।এ মেলা সকলের জন্যে উন্মুক্ত ছিল। সিলেট ই-বাণিজ্য মেলার শ্লোগান ছিল ‘ঘরে বসে কেনাকাটার উৎসব।’

সিলেট জেলা প্রশাসন এবং কমপিউটার জগৎ এ মেলার আয়োজন করে।মেলার প্ল্যাটিনাম স্পন্সর ছিল এসএসএল কমার্জ ও কমজগৎ টেকনোলজিস। গোল্ড স্পন্সর ছিল ই-সুফিয়ানা ও সিজে সফট।মেলার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পার্টনার ছিল অর্পণ কমিউনিকেশন লি:, ক্রিয়েটিভ পার্টনার ছিল ক্রিয়েটিভ আইটি লিমিটেড, গেমিং জোন পার্টনার ছিল গিগাবাইট, এএমডি, বিডিওএসএন ছিল

নলেজ পার্টনার, সফটকল ছিল কমিউনিকেশন পার্টনার, সামহোয়্যার ইন ব্লগ ছিল ব্লগ পার্টনার এবং

ওয়েব পার্টনার ছিল বাংলানিউজ২৪ ডটকম। মাননীয় অর্থমন্ত্রী, আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সিলেট স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে এ মেলার উদ্বোধন করেন। তিনদিন ব্যাপী এই মেলাতে ১২টি সরকারী প্রতিষ্ঠান, ৮টি স্থানীয় ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা থেকে ২৫টি ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। মেলাতে ৩০,০০০ দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। কমপিউটার জগৎ ঢাকা মেলার মতো এই মেলাটির লাইভ ওয়েবকাস্ট করে এবং ২০,০০০ এর বেশি দর্শক তা উপভোগ করে। এই মেলাতে ই-বাণিজ্যের উপরে দুটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় এবং দুটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশগ্রহণ করে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- তিন দিনের এ মেলায় অংশ নিচ্ছে এসএসএল কমার্জ, ই-সুফিয়ানা, কমজগৎ টেকনোলজিস, এখনি ডটকম, বগুড়ার দই, রূপকথার জামদানি, জেডকাইট৯, টি-জোন, ওঅনলাইনশপ, অ্যাট২ক্লিকস, বিডিহাট, আপনজোন, ওয়েবশহর (সিটিসেল), অ্যারামেক্স ঢাকা লিমিটেড, জোন ৮৩, বাংলাদেশ পোস্ট অফিস, শাম্মা’স মেহেদী আর্টসহ ঢাকা ও সিলেটের ই-বাণিজ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার পক্ষ থেকে এ মেলায় অংশগ্রহণ করে সিলেট জেলা ই-সেবা কেন্দ্র ও সিলেট সদর, দক্ষিণসু রমা, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র।



ঢাকা এবং সিলেটের পরে জুলাই মাসে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ‘চট্টগ্রাম ঈদ ই-বাণিজ্য মেলা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০১৩’ এর আয়োজন করা হয়।৪জুলাই থেকে ৬ জুলাই এ মেলা চলে।

এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে এ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম খান। এন আই খান তাঁর বক্তৃতায় বলে “সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টর ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে এবং এ খাতে আমাদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ভারতের কাছাকাছি।কিছুদিন আগেও এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টর অনেক পিছিয়ে ছিল কিন্তু এখন অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।বর্তমানে আমাদের আইসিটি সেক্টর খুবই দ্রুত বর্ধনশীল একটি সেক্টর। বর্তমান সরকার আইসিটি খাতকে বেগবান করার জন্যে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এটি তারই ফসল।” তিনি সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আশির্বাদ পৌছে দেবার উপরে জোর দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মান্নান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইব্রাহীম করিম, এবং প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইফতেখার মনির।



চট্টগ্রাম ই-বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনদিন ব্যাপী এই মেলাতে ৫২টি স্টলে ৫১টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মেলাতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ দর্শনার্থীদের জন্যে বিভিন্ন অফারের ব্যবস্থাও করে। এই মেলাতেও পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম ঈদ ই-বাণিজ্য মেলা ২০১৩ এর নলেজ পার্টনার ছিল সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ক্রিয়েটিভ পার্টনার ছিল ক্রিয়েটিভ আইটি লিঃ, নেটওয়ার্ক পার্টনার ছিল চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), মিডিয়া পার্টনার ছিল চ্যানেল২৪, গেমিং জোন পার্টনার ছিল এএমডি এবং গিগাবাইট, রেডিও পার্টনার ছিল রেডিও টুডে ৮৯.৬, ব্লগ পার্টনার ছিল সামহোয়্যার ইন ব্লগ, কমিউনিকেশন পার্টনার ছিল আপনজোন.কম, এবং ইন্টারনেট পার্টনার ছিল বিডিশপিং.কম। যেসব প্রতিষ্ঠান মেলায় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-রয়েক্স, আপনজোন.কম, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (চুয়েট), সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, জনতা ব্যাঙ্ক লিঃ, বেচাবিক্রী.কম, ইটএনএঞ্জয়.কম.বিডি, এবং দ্রাশন আইটি।



দেশের তিনটি বিভাগীয় শহরে সফল ভাবে ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজনের পর কমপিউটার জগৎ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়)দেশের বাইরে বসবাসরত বাংলাদেশীদের মধ্যে বাংলাদেশের ই-বাণিজ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তারই ফলশ্রুতিতে সেপ্টেম্বর মাসে লন্ডনে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ ই-বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়। লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশী লোকদের কাছে বাংলাদেশের ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান গুলোর পণ্য ও সেবা তুলে ধরাই ছিল এ মেলার মূল উদ্দেশ্য। ‘ক্লিকেই বাণিজ্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সেন্ট্রাল লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয় তিন দিনের ‘যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ ই-বাণিজ্য মেলা। দেশের বাইরে এটিই ছিল প্রথম ই-বাণিজ্য মেলা। লন্ডনের দ্য মিলেনিয়াম গ্লুচেস্টার হোটেলে আয়োজিত এ মেলার আয়োজক ছিল বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (তৎকালীন), লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন, এবং কমপিউটার জগৎ। মেলার স্পন্সর হিসেবে ছিল রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ও টিম ইঞ্জিন লিমিটেড। ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। আমাদের স্বপ্ন একুশ শতকের বাংলাদেশ হবে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক স্বপ্নময় ডিজিটাল বাংলাদেশ। আর সে স্বপ্নকে ধারণ করেই বর্তমান সরকার চায় ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে। দেশকে এগিয়ে নিতে বিশ্বের যেখানেই বাংলাদেশী রয়েছেন, সেখানেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ই-বাণিজ্য মেলার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের এ প্রচেষ্টা সফল এবং সার্থক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।



তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের সহ-সভাপতি লর্ড শেখ, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য কেইথ ভাজ। উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মুকিম আহমেদ ও বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নূর-উর রহমান খন্দকার পাশা।



বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য থেকে ৩২টি ই-বাণিজ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা মেলায় প্রদর্শন করে। এর মধ্যে ছিল ১৯টি বাংলাদেশের ও ১৩টি যুক্তরাজ্যের। মেলার সাপোর্ট পার্টনার হিসেবে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও এফবিসিসিআই। পার্টনার হিসেবে ছিল টিম ইঞ্জিন, অপটিমাম সল্যুশন অ্যান্ড সার্ভিসেস, বাংলানিউজ২৪, সামহয়্যার ইন ব্লগ, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন যুক্তরাজ্য, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, চ্যানেল আই, রিভ সিস্টেমস, ওয়ালেটো ও ই-সুফিয়ানা।



ই-বাণিজ্য মেলার ফলে দেশে ই-বাণিজ্যের সম্প্রসারণঃ

ই-বাণিজ্য যে শুধু বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে একে জনপ্রিয় করে তুলেছে তাই নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ই-বাণিজ্যকে ছড়িয়ে দেবার ক্ষেত্রেও এ মেলা ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে। ২০০৯ সালের জুন মাসের শেষ নাগাদ দেশে ক্রেডিট কার্ডধারীর সংখ্যা ছিল চার লক্ষ এবং বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী ২০০৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ১১০০ কোটি টাকার মতো লেনদেন হয় যা বিশ্বের সবচেয়ে কম লেনদেন গুলোর একটি।এ চিত্র থেকে আমরা বাংলাদেশে অনলাইন লেনদেনের সে সময়ের একটি সামগ্রিক চিত্র পাই।



অনলাইনে অর্থ লেনদেনের অনুমোদন দেবার পরপর ই-বাণিজ্যের যে সেক্টরটি সবচেয়ে বৃদ্ধি পায় তা হচ্ছে আউটসোর্সিং। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়তে থাকে এবং ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতে থাকে। ২০১০ সালে বিশ্বের বিখ্যাত আইটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান GARTNER Inc. (http://www.gartner.com) তাদের ‘Top Outsourcing Country’ তালিকায় বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করে। ২০১১ সালে বাংলাদেশের ফ্র্রিল্যান্স আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মীরা ওডেস্ক থেকে ১৩মিলিয়ন ডলার আয় করে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যাণ্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)এর তথ্যমতে বিদেশে সফটওয়্যার রপ্তানির মাধ্যমে ২০১১ সালে ৭০ মিলিয়ন ডলার আয় হয়। ২০১২ সালে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স ওয়েবসাইট, ওডেস্ক (https://www.odesk.com/) বিভিন্ন কাজে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের নামের তালিকা প্রকাশ করে সে তালিকার প্রথম বিশটিতে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের নাম উঠে আসে। ২০১২ সালের শেষ নাগাদ বেসিস এর তথ্যমতে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সারদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫,০০০-এ এবং আউটসোর্সিং সেক্টরের আকার দাঁড়িয়েছিল প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারে।২০১২ সালে ওডেস্ক ফেসবুকে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যার মূল উদ্দেশ্য ছিল এটা দেখা যে কোন কোন দেশের লোক ওডেস্কে সবচেয়ে বেশি কাজ করে।প্রতিযোগিতায় দুটি দেশের নাম সবার উপরে আসে- ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশ। এ প্রতিযোগিতার পরে ওডেস্ক দুটি দেশেই “Contractor Appreciation Days” উদযাপন করে। বাংলাদেশে এ ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন ওডেস্কের এন্টারপ্রাইজ অ্যাণ্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাট কুপার এবং এন্টার প্রাইজ মার্কেটিং বিভাগের মণিকা চুয়া।



কিন্তু তাই বলে অন্যান্য ক্ষেত্রে ই-বাণিজ্যের বৃদ্ধি একেবারে থেমে থাকেনি। বাংলাদেশে ই-বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে ২০১২ সালে ৪৫ কোটি টাকার ই-বাণিজ্য হয় এবং ব্রাক ব্যাঙ্কের কার্ড ডিভিশনের প্রধান তৌফিক হাসান বলেন ২০১২ সালে তার বিভাগে ই-বাণিজ্যের মাধ্যমে ২০ কোটি টাকার লেনদেন করে।



ই-বাণিজ্য মেলা একদিকে যেমন ই-বাণিজ্য সম্পর্কে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় তেমনি দেশীয় ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান গুলোর ব্যবসাও বাড়িয়ে দেয়।ই-বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করেন যে ২০১৩ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ই-বাণিজ্যের আকার দাঁড়াবে ২০০ কোটি টাকায়। ২০১৩ সালে ব্রাক ব্যাঙ্কের কার্ড ডিভিশন ই-বাণিজ্যের মাধ্যমে ১০০কোটি টাকা লেনদেন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।



বেসিস এর সূত্র মতে বর্তমানে দেশে ৩০-৪০টি ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যেমে ভোক্তাদের কাছে পণ্যে এবং সেবা বিক্রী করে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বাইরেও আরো কয়েকশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পণ্য ও সেবা পৌছে দিচ্ছে। ই-বাণিজ্য মেলার বদৌলতে এ কথা এখন নিশ্চিত ভাবে বলা যায় বাংলাদেশে এখন ফেসবুক ভিত্তিক ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।



বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ই-বাণিজ্য ওয়েবসাইট আজকের ডিল ডট কম (http://www.ajkerdeal.com) এর প্রধান নির্বাহী অফিসার, এ.কে.এম ফাহিম মাশরুর গতবছরের জুলাইতে ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এক বছর আগে আমরা দৈনিক ৩০টি পণ্য বিক্রী করতাম এখন বিক্রী বেড়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ১০০টি পণ্যে।”



একই মাসে আরেকটি জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট এখনি ডট কম (http://www.akhoni.com) এর প্রধান নির্বাহী শামীম আহসান সাংবাদিকদের বলেন যে বর্তমানে প্রতি মাসে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ১০-১৫ কোটি টাকার লেনদেন করছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই মাসিক লেনদেনের পরিমাণ ১শ’ কোটি টাকা ছুঁয়ে যাবে।



২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের সফটওয়্যার রপ্তানির পরিমাণ ১০০ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।ধারণা করা হচ্ছে যে ২০২১ সালে এ রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে যাবে।



বাংলাদেশের ই-বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ খুবই সম্ভাবনাময়। ই-বাণিজ্য ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে আরও জনপ্রিয় হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। বাংলাদেশ সরকার দেশের আরও অন্যান্য বিভাগীয় শহর গুলোতেও এক এক করে ই-বাণিজ্য মেলার আয়োজন করবে। এছাড়াও এ বছরে সরকারের যুক্তরাষ্ট্রে ই-বাণিজ্য মেলা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এটাতে কোন সন্দেহ নেই যে ই-বাণিজ্য চালু হলে বাংলাদেশে একদিকে যেমন নতুন ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হবে তেমনি অন্যদিকে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে। এ বিবেচনায় ই-বাণিজ্য মেলা খুবই ভাল একটি উদ্যোগ।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.