![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সম্পর্কে বলার কিছুই না। সাধা-সিধে মানুষ।।চাকরী করি, আইটি নিয়ে কাজ করি। গান শুনি। কবিতা-উপন্যাস/গল্প পড়ি। কারো চাটুকার করি না। সত্যকে উম্মোচন করি ।
অটোরিকশা- যাকে আমরা আদর করে ডাকি সিএনজি। এমন বাহন যারা চালান, তাদের প্রকাশ্য চাঁদাবাজির জন্য নগরবাসীর নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। সিএনজি অটোরিকশার এমন অত্যাচার চলতে থাকলে অদূর ভবিষত্যে গণআন্দোলন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ওই আন্দোলনের আগেই সচেতনতা এবং আন্দোলন প্রতিরোধের জন্য আজকের এই পোস্ট। কেননা আমরা আন্দোলনকে বড় ভয় পাই। এটি দেশের অগ্রগতির লাগাম পেছনে টেনে নিচ্ছে।
নগর জীবনের জন্য অটোরিকশা অতি প্রয়োজনীয় একটি বাহন। এই বাহনের কদর ছিল, আছে এবং থাকবে। অতীতে যখন টু-স্ট্রোক অটোরিকশা (বেবিট্যাক্সি) ছিল, তখন কোনো ভাড়ার মাপকাঠি ছিল না। তবে চালকরা নিতান্তই মানবিক ছিল বলে ইনসাফের সাথে ভাড়া চাইতেন, আবার পেসেঞ্জারের সাথে ভাড়ার দরকষাকষিতে তারা ভাড়া কমাতেন এবং ন্যায্য ভাড়া দিয়ে টু-স্ট্রোক অটোরিকশা (বেবিট্যাক্সি) চলাচল করত। বলাবহুল্য, তখন নগর জীবনে এতটা চাহিদা ছিল না বলে চালক ও পেসেঞ্জার উভয়েই স্বস্তিতে যাতায়াত করতেন কোনো ধরনের বিড়ম্ভনা ছাড়াই।
এরপর শুনলাম টু-স্ট্রোক অটোরিকশার পরিবর্তে নগরে যুক্ত হবে ফোর-স্ট্রোক অটোরিকশা (সিএসজি), যা আমদানি করা তেল ব্যতীত দেশের গ্যাস সম্পদ দিয়েই চলবে। আবার কালো ধোঁয়ামুক্ত এই বাহন পরিবেশবান্ধব বিধায় বাহনের গায়ের রং সবুজ করা হলো। যদিও বিআরটিএ’র আইন মতে, ভাড়ায় চালিত বাহনের ছাদ হলুদ রাখার বিধান ছিল।
আধুনিক নগরজীবনে ফোর-স্ট্রোক অটোরিকশা নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছিল এবং পেসেঞ্জারের অধিকারের কথা মাথায় রেখে ওই বাহনে মিটার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। পূর্বনির্ধারিত ভাড়া মিটারে হিসাব করে পরিশোধ করে নতুন বাহনে ভ্রমণ করার অনুভূতি আজও মনে করিয়ে দেয়- আমরাও সভ্য হতে চলেছি।
কিন্তু কিছুদিন পর নতুন আবদার- সিএনজি নিতে ওই বাহনের সময় নষ্ট হয়। তাই মিটার থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে। যাই হোক, চালকদের মানবিক আবেদন মেনে নিয়ে যাত্রীরা আরামের সিএনজিতে চড়ে বেড়াতেন।
বাঙালি জাতি বসতে চাইলে খেতে চায়, খেতে চাইলে শুতে চায়। আর ফোর-স্ট্রোক অটোরিকশা চালক বরাবরই বাঙালি জাতির জীন বহন করে চলছেন। তাদের নতুন আবদার- গাড়ি মালিকের জমা বেশি, তাই ভাড়াও বেশি, মিটার থেকে ২০ টাকা বা প্রয়োজনে আরও বেশি। যর্থাথই মানবিক আবেদন। আর বাঙালি জাতির আরেক গুণ সহ্যশীলতা ও সহনশীলতা। তাই বেশি ভাড়ার ভার সহন করে নিয়ে যাত্রীরা চলছেন।
এদিকে যাত্রী হয়রানি এবং অতিরিক্ত ভাড়া প্রতিরোধে মেট্রোপলিটন পুলিশ কিছু মোবাইল নাম্বার বিতরণ করল, যাতে করে যাত্রীরা পুলিশের কাছে অভিযোগসহ প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্যে নিতে পারেন। এখানেও বিপত্তি। বাংলাদেশের পুলিশ বলে কথা! পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নাম্বারে আর কলও যায় না, পুলিশও অভিযোগ পায় না। আমি নিজে কয়েকবার পুলিশকে ফোন করে শুধু একবার পেয়েছি।যদিও সমাধান পাইনি।
বাঙালি জাতির সহ্য ক্ষমতা অনেক। বাঁধ ভেঙে গেলেও প্রতিকার নেই বিধায় বেশি ভাড়া পরিশোধ করে যাত্রীরা নিজের প্রয়োজন মিটাচ্ছেন। আর সিএনজি অটোরিকশা চালকরা বেশি ইনকাম করে টাকা উড়াচ্ছে। এখন আর বেশি জায়গায় (ক্ষ্যাপ মারা) যাতায়াত করতে হয় না। অল্পতেই ভালো ইনকাম হয় বলে অবসরে বিশ্রামের সময় তাদের আর শেষ হয় না। তাই তো পছন্দের জায়গায় ছাড়া তারা একদম অন্যত্র যেতে চায় না, তা যতই সাধারণ যাত্রীর তাড়া থাকুক না কেনো। আর ভাড়া, সে তো ভয়ের বিষয়! এখন ফোর-স্ট্রোক অটোরিকশা ভাড়া আর মিটারকে স্পর্শ করে না। মিটার থাকে মিটারের জায়গায়। মিটারে রিডিংকৃত ভাড়ার দিগুণ বা তিনগুণেও চালকের মন/উদর ভরে না। চাই কমপক্ষে চারগুণ ভাড়া বা তারও বেশি সমপরিমাণ ভাড়া। তা না হলে ফোর-স্ট্রোক অটোরিকশায় চড়া নিষেধ। যে জায়গায় ভ্রমনে সাধারণত মিটারে ৫০ টাকা উঠে, সেই জায়গায় চালক ভাড়া হাকায় ২৫০ টাকা। এরপর রফাদফা করে হয়তো ২২০ টাকায় যাত্রীকে ভ্রমন করতে হচ্ছে। এতো ভ্রমন নয় যেন কাঁটা ঘাঁয়ে নুনের ছিটা। ইদানিং সরকারের মহান উদ্যোগে ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়েছে, কমেছে রাস্তার দৈর্ঘ্য। এখানে অটোরিকশা চালকদের আরও মজা। যাত্রাপথ কম, ইনকাম বেশি। অর্থ্যাৎ অটোরিকশা ফ্লাইওভার স্পর্শ করলেও ভাড়া আগের মতই।
এদিকে সাধারণ মানুষের ইনকাম বাড়ছে না। বাড়ি ভাড়া/দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে পাল্লা দিয়ে গাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি জনজীবনকে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলছে। বিশেষ করে যেসব স্বল্পআয়ের সাধারণ মানুষ গ্রাম থেকে ঢাকায় আসে চিকিৎসা সহ অন্যান্য কাজের জন্য, তারা দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁচাচ্ছে বর্ধিত ভাড়া দিয়ে। আবার জনজীবনে অন্যান্য প্রয়োজনে নাগরিকদেরকে অতিরিক্ত ভাড়ায় সিএনজি অটোরিকশায় চড়তে হচ্ছে।
সিএনজি চালকদের ইনসাফ বলে কিছু নাই। তারা রীতিমত যাত্রীদেরকে ঢেঁকিয়ে বেশি ভাড়া পরিশোধ করতে বাধ্য করছে। অগত্য সাধারন মানুষ তাদের প্রকাশ্য চাদাঁবাজীর টাকা পরিশোধ করে, তাদের যাত্রা পথ শেষ করছে। এই নিয়ন্ত্রণহীন চাদাঁবাজ/ বেইনসাফি আচরণ থেকে প্রতিকারে কোন ব্যবস্হা নাই। কিছুদিন আগে মেট্রোপলিটন পুলিশ মাঝপথে গাড়ি থামিয়ে ভাড়া ব্যাপারে জানতে চাইলে, তারা কিছুটা অপ্রতিরোধ্য থেকে প্রতিরোধের সীমানায় আসে। কিন্তু আবারও সে প্রচেষ্টা অতিত হয়। সিএনজি চালকরা যাত্রির প্রয়োজনকে কাজে লাগিয়ে, বেশি ভাড়া আদায় করছে।
আমি জানি আমার এই কথা, মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে বা সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির কাছে পৌঁছাবে না, সমাধান ও হবে না। ভুক্তভোগী বাঙ্গালী জাতির হাড্ডি সার যতদিন এক না হবে এবং ততদিন তাদের প্রতিরোধে জন্য গনআন্দোলনও শুরু হবে না। ফলে প্রস্তাবিত ডিজিটার বাংলাদেশের ডিজিটগুলো অ্যানালগ হয়ে উল্টো পথে হাঁটবে। ফলে জনগনের স্বপ্নের বাংলাদেশ স্বপ্নই থেকে যাবে।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭
বেগুনী ক্রেয়ন বলেছেন: সিএনজি ওলা দের সবার অভিযোগ তাদের গাড়ি মালিক দের প্রতিবেলা তে ১০০০+ টাকা জমা দিতে হয়| সেজন্য তাদের বেশি ভাড়া নিতে হয়, এটার জন্য তারা আন্দোলন করেছিলেন কোনো লাভ হয় নাই| মাঝখান থেকে বিপদ এ আচ্ছি আমরা|
আমার কাছে সিএনজি অলা দের প্রকাশ্য ডাকাত বলেই মনে হয়| এখন ঢাকা তে প্রতি স্টপেজ এর জন্যে গড়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিতে হয়| তবু তারা তাদের পছন্দ মত গন্তব্য ছাড়া কোথাও যায় না|
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০১
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের মন্ত্রীরা বড় আমলারা সিএনজিতে চড়েনা কিন্তু সিএনজির পারমিশন দিতে ঘু.. নেয় ফলে সিএনজির দাম চারগুন ছয়গুন হয়ে যায়। বাজারে প্রচুর সিএনজি ছাড়লেই ভাড়া কমে আসত কিন্তু এদেশে তা হবে না!
৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
ফেরদাউস দেশী বলেছেন: সময় উপযোগী লেখা, ধন্যবাদ।
৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২০
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: রোজার মধ্যে সিএনজি ভাড়া আরো একটু চড়া হয়েছে, এখন সেটাই স্ট্যান্ডার্ড হয়ে দাড়িয়েছে। শান্তিনগর থেকে কাওরান বাজার আগে ১২০ টাকা ভাড়া চাইতো, এখন ১৫০ এর নিচে কেউ আসেনা। অনেকে ২০০ টাকা চাচ্ছে। মিটারে গেলে ভাড়া ৫০ টাকার বেশি উঠবেনা। আবার মামা বাড়ির আবদারের মতো সিএনজি আলা পুলিশ ধরলে মিটারের কথা বলতে বলে। এই কাজটা আমাদের করা যাবেনা। গত সপ্তাহে একটাকে ধরা খাওয়াইছি, সিএনজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ
৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
এহতেশাম উদ্দিন বলেছেন: নক্শী কাঁথার মাঠ @Good Job
৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: এগুলো লিখে কি আসলে কাজের কাজ কিছু হয়? আমরা এই যুগের বাঙ্গালীরা deaf and dumb টাইপ হয়ে গেছি।
৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: এগুলো লিখে কি আসলে কাজের কাজ কিছু হয়? আমরা এই যুগের বাঙ্গালীরা deaf and dumb টাইপ হয়ে গেছি।
৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
johanbd বলেছেন: আমার মাঝে মধ্যে ইচ্ছা করে CNG চালকদের ধরে ইচ্ছামত পিটাই
১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
ফািহম্ বলেছেন: অন্য বাহনের অবস্থাও তাই। তাই নয় কি?
১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫০
সুমন কর বলেছেন: এটাকে দিন-দুপুরে ডাকাতিই বলা চলে
অসুস্থ রোগি/ পরীক্ষা/ অফিসে দেরী হলে তাদের নিবেন কিংবা মা-বোন-স্ত্রীকে নিয়ে একটু বের হবেন, তার কোন উপায় নেই।
তিনগুণ ভাড়া গুণতে হয়।
সময়োপযোগী পোস্ট।
++
১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪০
শিশির খান ১৪ বলেছেন: ভাই সিএনজি তে যে পয়সা দিতে হয় তা তো অত্যাচার রিকশা ভাড়াও কিন্তু লাফায় লাফায় বারতাছে। ............
১৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সিএনজি বয়কট করে পরিবেশবান্ধব সাইকেলের প্রসার ঘটাতে হবে। সাথে পাবলিক বাসগুলোর ও সংস্কার দরকার।
১৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
কি বলবো আর সিএনজির কথা!! যাহা বলেছেন কোনটাই মিথ্যে না। যানবাহনের ভাড়া বিষয়ক কোন জটিলতা বঙ্গদেশে কখনো সমাধান হয়নি হবেও না বলে মনে হচ্ছে।
নোয়াখালী থেকে বাসে সায়দাবাদ পর্যন্ত ৩০০-৩৫০ ভাড়া আর সায়দাবাদ থেকে মিরপুর ৩০০-৪০০ টাকা সিএনজি ভাড়া। উঠলে উঠেন না হয় কেটে পড়েন। রোগী নিয়ে ঘুরাঘুরির সময় কি রকম পস্তাতে হয় তা বলে প্রকাশ করা যাবে না।
রোড মেরামত করে শহরের ভিতর বাস সার্বিচ আর ভালো করা দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
ভাঙ্গা হৃদয় বলেছেন: ভাই লাভ কি লিখে? আমাদের মন্ত্রীরা তো আর সিএনজি তে চড়ে না।