নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গোড়ামী বাদ দিয়ে সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন

মাজিদুল ইসলাম

গোড়ামী বাদ দিয়ে সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন

মাজিদুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা সমাজ

২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

একটু সময় নিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

আমি বড় হয়েছি ৯০'র দশকে তখন আমার জানামতে বর্তমান সময়ের মতো এতো শিক্ষিত ছিলোনা। বেশিরভাগই ছিলো দরিদ্রসীমার নিচে। তকনকার সময় বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজকেই নিজেদের ভবিষ্যৎ মনে করত। তবে অল্পসংখ্যক লোক শিক্ষিত ছিল বলে যে, তারা শিক্ষিত লোকদের সম্মান করতনা তা কিন্তু নয়।

কোন গ্রামে যদি কোন শিক্ষিত লোক থাকে তবে তাকে গ্রামের সবাই নিজেদের অবিভাবক মনে করত। নিজেদের সহায়-সম্পত্তির দলিল বা নথি পত্র সব সেই লোকটির মাধ্যমেই করাতো।
একে অন্যের প্রতি ছিলো অগাদ ভালোবাসা। হঠাৎ যদি কারো অসুস্থতার খবর পায় তাহলে পুরো গ্রামের মানুষ বেকুল হয়ে যেতো লোকটির জন্য। আর সবাই মিলে তার চিকিৎসার ব্যাবস্থা করত।
হঠাৎ যদি কেউ কোন প্রকারের বিপদে পড়ে তাহলে সবাই মিলে তাকে সহযোগীতা করতো।
আর কেউ মারা যাওয়ার খবর আসলেতো আর উপায় নেই। মনে হতো যেন তার একান্ত কোন এক আপনজন মনে হয় মারা গেছে।

আমরা দেখেছি এমনকি আমরাও, প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন শরীফ তিলাওয়াত করতো সবাই উচ্চস্বরে।

আত্মিয় স্বজন বলতে তখনকার সময় গ্রাম,পাড়া মহল্লার সবাইকে বোজানো হতো।

অনেক দূরের সম্পর্কের লোকটিও সমান সমাদর পেত নিকটাত্মিয়দের মতো।

তবে হ্যাঁ, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া, মারামারি ছিলো বটে কিন্তু সেটাও মিটমাট হয়ে যেতো খুব সহজভাবেই। মাজেমধ্যে দু-একটি দূর্ঘটনা ঘটতো।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমরা যারা ঐসময় ছিলাম বা যারা আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম যারা আছেন তাদের কাছে জানতে চাই যে, তখন
* দূর্ণীতির মাত্রা কতটুকু ছিলো?
* নারী কেলেংকারীর মাত্রা?
* ঘুষখোরের মাত্রা?
* গলাবাজীর মাত্রা?
* অশ্লিলতার মাত্রা?
* বৃদ্ধাশ্রমের মাত্র?
* ইভটিজিংয়ের মাত্রা?
* ধর্ষন
* শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর মাত্রা?
* গৃহবধুকে স্বামির বন্ধুদের ধারা ধর্ষন
* তালাকের মাত্রা?
* ব্ল্যাকমেইলের মাত্রা?

গোলাপ কিন্তু যতক্ষন গাছে আছে ততক্ষনই সে সৌন্দর্জ প্রকাশ করবে। কিন্তু তাকে বেশি ভালোবেসে যদি গাছ থেকে ঘরে নিয়ে আসেন তাহলে অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই তার সৌন্দর্জ বিলীন হতে থাকবে।

তো আমার মনে হয় আমরা মানব সমাজ আসলে সভ্যতাকে খুঁজতে গিয়ে আজ এমন একটা পর্যায়ে এসে পৌছেছি যে, এখন মনে হচ্ছে গোলাপটাকে গাছ থেকে ঘরে আনা হয়েছে। যার কারণে আস্তে আস্তে আমাদের থেকে সভ্যতাটা আবার চলে যাচ্ছে।

কস্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি জানি আমার লেখার ভাষায় হয়তো অনেক ভূল থাকতে পারে, আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
-মাজেদ

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সামাজিক অবক্ষয় বাড়ছে। মূল্যবোধ হারাচ্ছি আমরা দিন দিন। আগে ডাক্তার আর শিক্ষককে মানুষ সব চেয়ে বেশী সম্মান করত। এখন মানুষ এদেরকে ভয় পায় (ব্যতিক্রম ছাড়া। অনেকে অনেক ভালো)। তবে আমরা অনেক শম্ভবনাময় একটি জাতি। আশা করি অচিরেই আমরা আরও সমৃদ্ধ ও উন্নত হব সম্পদে ও মননে।

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৯

মাজিদুল ইসলাম বলেছেন: আমিও আশা করি।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

২| ২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: পড়তে সময় বেশি লাগে নাই।
মিথ্যা কিছু লিখেন নাই।

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৩০

মাজিদুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

আসলে মানুষটা ছোটতো, তাই লেখাটাও ছোট। হা হা হা...

৩| ২৬ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানব সভ্যতা বলতে কি শুধু বাংলাদেশকে বুঝায়?

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৭

মাজিদুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু বলতে চাই যে, আমার লেখাটি মনে হয় ভালো করে পড়া হয়নি,
দয়া করে আরো একবার শিরোনামসহ পড়ুন।

আর সবচেয়ে বড় কথাটি হচ্ছে যে, বাংলাদেশের সভ্যতা এখন নষ্টের দিকে আর ওয়েস্টার্ন কালচারে গেলেতো আর সভ্যতাটা মনে হয় অনেকটা মরেই গেছে।

নিজের অভিগ্যতা থেকেই বলা। কারণ অনেক সময় অনেক কালচারের মানুষের সাথে বসতে হয়।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:০৯

জগতারন বলেছেন:
আমার জন্ম ১৯৬০ সালের প্রারম্ভে। বড় হইয়াছি ৭০ ও ৮০ দশকে। ফিল্ড মার্শাল আয়ূব খাঁন-এর শাসনামল অল্প কিছু দেখিয়াছি। ১৯৬৬ সালের পাকভারতের যুদ্ধের কথা অল্প অল্প মনে আছে। ১৯৬৯ সালে অ্যামেরিকা কর্তৃক চাঁদে লোক পাঠানোর কথা স্পষ্ট মনে আছে। তখন আমি ক্লাশ ফোরে পড়ি। তার আগের ক্লাশে, ক্লাশ থ্রীতে চাঁদ নিয়া বা সেখানে মানুষ যাওয়া নিয়া "সবুজ সাথী" বাংলা বইতে একটি মনোরম একটি গল্প পড়ানো হইয়াছিল আমাদের। ঐ সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাপক কর্ম যজ্ঞের উন্নয়ন তখন আয়ূব খাঁন যে ভাবে আরম্ভ করিয়াছিলেন তা এক অভৌতপূর্ব ব্যাপার। তখন আমি গ্রমে বড় হইতেছিলাম। আমাদের গ্রামটি ছিল ঠিক কবি বন্দে আলী-র কবিতা
"আমাদের গ্রম খানি ছবির মতন" -এর মতো। এই কবিতাটি আমাদের সময়ে ক্লাশ থ্রী'তে পড়ানো হইয়াছিল। তখনও সমাজে অভাব অনটন ছিল বটে তা উপেক্ষা করিয়াও দেশের মানুষ খুউবই শান্তিতে বসবাস করিত। মানুষদের মাঝে ছিল: সম্মান বোধ, সম্ভ্রম, চক্ষুলজ্জা। সমাজে কোনই অনাচার, অবিচার ছিল না। সমাজে বা পরিবারে কোন অশ্লীল কার্যকলাব পরিলক্ষিত হইতো না। ছেলে ও মেয়ে উভয় ক্ষেত্রেই শতকরা ৯৯ ভাগ সত ও সতি (vergin) অবস্থা বিবাহ বন্ধনে আবাদ্ধ হইতো।আত্মীয়দের মাঝে ছিল গভীর বন্ধন। সমাজে মুসলমানদের মাঝে তাহাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ খুব গুরত্ব সহকারে রক্ষা করিয়া চলিত। সেই সময়ে নিন্মবর্নের হিন্দুরা (নমশূদ্ররা) আয়ূব খাঁনকে ও তাহার সাশনকে খুউব সম্মান করিত। কারন পাকিস্থান হওয়ার আগে নমশূদ্ররা এবং গরীব মুসলমান প্রজারা উচ্চ বর্নের হিন্দু বা ব্রক্ষ্মন দ্বারা ও জমিদার অকথ্য নির্জাতন করিত।

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৮

মাজিদুল ইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার লেখাটির জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.