নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গোড়ামী বাদ দিয়ে সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন

মাজিদুল ইসলাম

গোড়ামী বাদ দিয়ে সত্য কথা বলার চেষ্টা করুন

মাজিদুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষিতদের সম্মান করতে শিখুন জাতি সম্মানিত হবে

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

একটা জাতী তখনই উন্নত হয় যখন তারা শিক্ষা-দিক্ষায় উন্নত হয়।


বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হচ্ছে একেবারে ভিন্ন।
এখানে তুমি যতবড় অশিক্ষিত-মূর্খ তুমি ততটাই দামী।

লজ্জা লাগে আমাদের মন মানষিকতা দেখলে, আমরা আজ কোন পর্যায়ে গিয়ে দাড়েয়েছি। আমরা আমাদের শিক্ষিত সমাজকে বেকার-কর্মহীন করে অকর্মা মূর্খদেরকে দিয়ে সমাজ পরিচালনা করছি। লজ্জা লাগে।
আমার কথা বিশ্বাস হয় না?

একবার নিজেথেকে খূজে দেখেন, আপনার গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা, বিভাগ এমনকি দেশেরে প্রত্যেকটি প্রয়োজনীয় অবস্থানটি বেশিরভাগ মূর্খদের দখলে।
এটা কিসের আলামত?

একটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার দেখা যায় এসএসসি পাশ বা ফেল, কিন্তু তার সচিব হওয়ার জন্য আপনাকে ঠিকই শিক্ষিত হতে হবে।
একজন মন্ত্রী কোন রকমে এসএসসি পাশ বা ফেল কিন্তু তার হুকুমে যারা কাজ করবে তাদের উচ্চ শিক্ষিত হতে হবে।
কেন?

এই মূর্খ ব্যাক্তিটি কেমন করে জানবে যে, সমাজকে কেমনে উন্নত করা যায়?

এতো গেলো শিক্ষিত আর মূর্খদের কথা। এদরে ব্যাপারে অন্যদিন লিখবো।

শিক্ষিতদেরকে আবার বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়, প্রথমত আপনি কি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নাকি স্কুল/কলেজের শিক্ষার্থী।
এসবের মানে কি?

শিক্ষার্থীতো শিক্ষার্থী, সেখানে মাদ্রাসা আর স্কুল কি?

আর আজ-কালতো সিলেবাস সমান, বরং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আরো অতিরিক্ত কিছু বিষয় নিয়ে স্টাডি করে, যা অবশ্যই ভালো দিক। তবে কেন তাদেরকে অবহেলা করা হয়?

শিক্ষিতদের সম্মান করতে শিখুন জাতি সম্মানিত হবে। আর মাদ্রসার শিক্ষার্থীদের সম্মান করতে শিখুন জাতি নৈতিকতা শিখবে।
আজ-কাল দেখাযায় বিভিন্ন জায়গায় যখন চাকরির জন্য আবেদন করে তখন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বাদ দেয়া হয় কারন নাকি মাদ্রাসার সার্টিফিকেটের থেকে কলেজের সার্টিফিকেটের দাম বেশি।

এজাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি আসলেই উদ্ধিগ্ন।
আমাদের মন-মানষিকতা পরিবর্তন করা জরূরী।
আমাদের মনে রাখতে হবে, সমাজেকে বদলে দেয়ার জন্য উন্নত করার জন্য সু-শিক্ষিতদের বড়ই প্রয়োজন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শেষ লাইনের শেষ দুটি কথাই কিছুটা মুল্যবান।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পোস্টের শিরোনামটির সাথে পুরোপুরি একমত নই, তবে একেবারে শেষের বাক্যটির সাথে পুরোপুরি একমত। কারণ? কারণ ঐ একটিমাত্র উপসর্গ "সু" ই 'শিক্ষিত' শব্দটির পূর্বে বসে ব্যবধানটুকু তৈরি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা তো সর্বোচ্চ শিক্ষিত। তাদের কারো কারো আচরণ দেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি, তাদের কেউ কেউ ভয়ানক রকম কুশিক্ষিত। তাদের দ্বারা সমাজের কোন উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে বিশ্বাস করি না।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পোস্টের শিরোনামটির সাথে পুরোপুরি একমত নই, তবে একেবারে শেষের বাক্যটির সাথে পুরোপুরি একমত। কারণ? কারণ ঐ একটিমাত্র উপসর্গ "সু" ই 'শিক্ষিত' শব্দটির পূর্বে বসে ব্যবধানটুকু তৈরি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা তো সর্বোচ্চ শিক্ষিত। তাদের কারো কারো আচরণ দেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি, তাদের কেউ কেউ ভয়ানক রকম কুশিক্ষিত। তাদের দ্বারা সমাজের কোন উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে বিশ্বাস করি না। --- সহমত.....।

দেশ অশিক্ষিতদের চেয়ে কুশিক্ষিতদের দ্বারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হচ্ছে। লেখক কি মনে করেন একজন কুশিক্ষিত সচিব একজন
কম শিক্ষিত প্লাম্বারের চেয়ে বেশি উপকারী?

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৩

আহা রুবন বলেছেন: আমাদের সমাজে শিক্ষিত মানুষের চেয়ে সার্টিফিকেটধারীদের সংখ্যা বেশি, এরাই দেশকে দাবড়াচ্ছে।

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষিত মানূষেরাই মন্দ কাজ বেশী করে। একজন কৃষক মন্দ কাজ করেন না। আমাদের সু শিক্ষার বড্ড অভাব।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শিক্ষিত অশিক্ষিত প্রতিটি নাগরিকই সম্মান পাওয়ার যোগ্য।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার এসএসসি পাশ না ফেল এই প্রশ্ন অবান্তর।
সচিব ডিসি বা ইউএনও মাষ্টারস পাস হলেও আইনত উনি একজন পাবলিক সার্ভেন্ট।
পরিষদ যত ছোট হোক চেয়ারম্যান বা মেম্বার একজন পাবলিক প্রতিনিধী, জনপ্রতিনিধীর পজিশন সচিব বা জন সার্ভেন্ট চেয়ে আনেক উপরে।

৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৯

রাশিয়া বলেছেন: শিক্ষার্থী তো শিক্ষার্থীই - স্কুল মাদ্রাসা আবার কি?

ব্লগ পন্ডিত চাঁদগাজী সাহেবকে জিজ্ঞেস করে দেখেন তো, কি উত্তর দেয়?

৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

কানিজ রিনা বলেছেন: কারণ এদেশে মুক্তিযোদ্ধারা সবই ছিল অশিক্ষিত। শিক্ষিতদের প্রেরণায় তারা যুদ্ধক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করেছিল।
শিক্ষিতরা ছিল সবি বুদ্ধিজীবী। আর তিরিশ লক্ষ লোক শহীদ হওয়া বেশিরভাগই অশিক্ষিত ক্ষেতমজুর তাঁতি দিনমজুর ধরনের আত্মত্যাগী মানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.